মেয়েরা পরকীয়া কেন করে - পরকিয়া করার কৌশল

পাঠক বৃন্দ আজকের আলোচনা করব মেয়েরা কেন পরকীয়া করে। আসলে কি কি প্রয়োজনে কি কি কারণে তারা পরকীয়াটা করে, তা আমাদের সকলেরই জানা নেই। এবং কোন কোন মেয়েরা আসলে পরকের মধ্যে জড়ায়, এগুলো আমরা অনেকেই জানিনা, চলুন জেনে আসি কেন মেয়েরা পরকীয়ায় জড়ায়।
মেয়েরা পরকীয়া কেন করে - পরকিয়া করার কৌশল
পরকীয়া প্রেমের কি কি উপকারিতা এবং আপনার স্ত্রী পরকীয়া করলে আপনি কিভাবে বুঝবেন যে সে পরকীয়ার মধ্যে জড়িত এবং তাকে কিভাবে আপনি পরকীয়া থেকে বাঁচাবেন এবং মুক্তির পরামর্শ দিবেন, আশা করি এই সমস্ত বিষয়ে আপনাদের সকলেরই জানা দরকার। বিস্তারিত জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ মেয়েরা পরকীয়া কেন করে - পরকিয়া করার কৌশল

পরকীয়া প্রেমের উপকারিতা

আসলে আমরা জানি যে পরকীয়া একটি সামাজিক ধরনের অপরাধ। যদি কোন ব্যক্তি বিবাহ বহির্ভূত অপরাধ। যখন কেউ এ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তাহলে আমরা সেটাকে তখন পরকীয়া বলি। আর যদি আরো ক্লিয়ার ভাবে বলতে চাই তাহলে বলা যায় যে বিবাহিত পুরুষ এবং অবিবাহিত কোন নারী, কিংবা অবিবাহিত পুরুষ কিংবা কোন বিবাহিত নারী। 

বাদ সময়ে এ সম্পর্কে জড়িয়ে থাকে অর্থাৎ নারী এবং পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার যে প্রক্রিয়ায় সম্পর্কটাকে বলা হয় পরকীয়া। আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা মনে করেন বিবাহিত সঙ্গীর সঙ্গে মানুষের দূরত্ব থেকেই আমাদের মাঝে পরকীয়ার সম্পর্কে ছড়িয়ে পড়ে। অর্থাৎ স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টির কারণ হলো এই পরকীয়া। 
সম্প্রতি কিছুদিন আগে একটি অনলাইন পত্রিকায় জানিয়েছে যে, নারীরা পরকীয়া করে এরকম প্রায় ৫২ শতাংশ এই অভ্যাসে জড়িত। অর্থাৎ এটি কোন ভালো কিছু নয় এটি একটি খারাপ কালচার। সুতরাং এই সকল অভ্যাসগুলো আমাদের পরিত্যাগ করা উচিত। এটার কোন উপকারিতা নেই এবং এটা একটি জঘন্য পাপ বলে গণ্য।

স্ত্রী পরকীয়া করলে বোঝার উপায়

প্রিয় পাঠক মন্ডলী আমাদের মধ্যে অনেক ব্যক্তি রয়েছে যাদের স্ত্রী পরকীয়া করে কিন্তু তারা বুঝতে পারে না। আর বুঝতে না পারার কারণে তাদের সংসারে বিভিন্ন রকমের অশান্তির সৃষ্টি হয়ে থাকে। সুতরাং আমাদের সকলেরই জানা দরকার যে কিভাবে বুঝা যায় যে স্ত্রী করতেছে। 

কারণ এটা শুধু আমাদের পরিবারের সংসারের সমস্যা করে না বরং এটি আমাদের সন্তানের উপর প্রভাব অনেকটা প্রভাব ফেলে। তো চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক যে কিভাবে বোঝা যায় যে আপনার স্ত্রী পরকীয়া করে।
স্ত্রী পরকীয়া করলে বোঝার উপায়ঃ
  • আপনি প্রায় সময় দেখবেন যদি আপনার স্ত্রী ফোন কিংবা ইন্টারনেটে আসক্ত হয়ে পড়েছে।
  • আপনার সঙ্গে যদি আপনার এবং আপনার পরিবারের সাথে সময় কম ব্যয় করে তখন বুঝবেন আপনার স্ত্রী পরকীয়ায় আসক্ত।
  • আপনার সঙ্গের মুখে যদি শুনেন বিভিন্ন রকমের নাম, তাহলে বুঝবেন সে পরকীয়ায় আসক্ত।
  • পরকীয়ায় আসক্ত হলে আপনার স্ত্রী অকারণে / কারণে রেগে যাবে।
  • পরকিয়া যখন আপনার স্কুলে আসক্ত হবে তখন সে যৌনতা সম্পর্কে উদাসীনতা করবে আপনার সাথে।
  • আপনি প্রতিদিন তার রুটিন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জিজ্ঞাসা করবেন বা দেখবেন।
  • আপনার সঙ্গে যদি হঠাৎ করে নিজের সম্পর্কে খুব বেশি সচেতন হয়ে ওঠে, তাহলে মনে করবেন না আপনার স্ত্রী পরকীয়াই আসক্ত।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে এই সমস্ত পরিবর্তন যদি আপনি দেখেন আপনার স্ত্রীর মধ্যে তাহলে মনে করবেন যে, সে পরকিয়ায় আসক্ত।

পরকীয়া থেকে মুক্তির উপায়

আপনার স্ত্রী যদি পরকে আসক্ত হয় তাহলে তাকে কি থেকে মুক্তি করবেন এবং কি কি করণীয় আপনার তখন, চলুন যে বিস্তারিত জেনে আসি। সর্বপ্রথম যদি দেখেন আপনার স্ত্রী পরকে শক্ত হয়ে গেছে তখন তার ভুল বা অন্যায়গুলো খুঁজে খুঁজে বের করে প্রতিটি কথার জন্য তাকে কড়া কড়া ভাবে শাসন করতে থাকবেন না। এবং যেকোনো বিষয়ে তাকে খোঁচাখুঁজি দিয়ে কথা বলবেন না। 

কারণ এইগুলোর মাধ্যমে তার মধ্য থেকে লজ্জাবত্যা পরিপূর্ণ হয়ে দূর হয়ে যাবে। এবং সে তার ভুল সংশোধন করবে এবং সঠিক পথে আসবে। তাই আপনার শাসন কিংবা জিন্দা শাহ সম্পর্ক হতে হবে ভারসাম্য রোজা রেখে। আর এর সাথে সাথে আপনার তার প্রতি হতে হবে বিশেষ আন্তরিকতা এবং ভালোবাসা। 
এবং তার কাছে আপনার ব্যক্তিত্বকে আরো বেশি ভাবে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা ক্রুন। এবং আপনি অফিসে কিংবা বাড়ির বাইরে কোথাও গেলে কয়েকবার তাকে ফোন দিয়ে তার খোঁজ-খবর নিন এবং তার সাথে তারপর কথা বলার চেষ্টা করুন। কেননা আল্লাহর ভয়ের অভাব থাকলে মানুষ অনেক সময় স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে থাকে। 

সুতরাং অধিকাংশ সময় তাকে ইসলামিক যত বই আছে সকল বিষয়ে ধারণা দিন এবং পড়তে বলার চেষ্টা করুন। এবং যতক্ষণ বাড়িতে থাকবে ততক্ষণ বিভিন্ন আলেম-ওলামাদের বক্তব্য গুলা নসিহত পূর্ণ বক্তব্য গুলো শোনার পরামর্শ দিন। এবং বাড়ির বাইরে যদি ভাই হয় তাহলে আপনি অবশ্যই তাকে পর্দা করে বাহির হওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করবেন। 

এবং মোবাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনি সতর্কতা অবলম্বন করতে বলতে পারেন। আশা করি এই সমস্ত বিষয়গুলো যদি তাকে বলতে পারেন এবং চেষ্টা করতে পারেন তাকে পড়াতে তাহলে সে এই সকল অবৈধ কাজ থেকে মুক্তি পাবে। এবং পাশাপাশি আল্লাহর পাশে বেশি বেশি দোয়া করা।

পরকীয়া কি অপরাধ

পরকীয়া কি অপরাধ বলতে গেলে আমাদের বাংলাদেশের আইনে দন্ডবিধির মধ্যে যে - ৪৯৭ ধারা রয়েছে। এই ধারাতে পরকীয়ার শাস্তির কথা বলা রয়েছে। এই ধারাতে বলা হয়েছে যে, যখন যদি কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তির স্ত্রীর সাথে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হয় বা হওয়ার চেষ্টা করে যা ধর্ষণ বলে গণ্য নয়। 

তবে সেই ব্যক্তি ব্যভিচারের অপরাধে অপরাধী বলে গণ্য হতে হবে। সেক্ষেত্রে পাঁচ বছর পর্যন্ত দণ্ডিত করা হবে। তবে এর শাস্তি আরো অধিক করা উচিত। তবে ৪৯০ থেকে এটা আরো নিচে আনা দরকার। কারণ এটা একটি অনেক বড় অপরাধ হয়ে ও সমাজে দাঁড়িয়ে গেছে। 

কিছুদিন পূর্বে বগুড়ার জজ কোর্টের সাবেক পিপি মোহাম্মদ আব্দুল বাসেত তার দৈনিক পত্রিকায় জানান যে, পরকীয়ার যে শাস্তির কথা বলা হয়েছে আইনে তা কিন্তু খুবই নগণ্য পরকীয়ার মত অপরাধ আরো কঠিন আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিকভাবে সচেতনতা আমাদেরকে গড়ে তুলতে হবে। 

তবে এই পরকীয়াটা ইসলামিক দিক দিয়ে ধরতে গেলে অনেক বড় ধরনের একটি অপরাধ। যে অপরাধের শাস্তি যদি কেউ শুনে তাহলে সে একবার হলেও চিন্তাভাবনা করবে পরকীয়া জড়ানোর পূর্বে। আমি মনে করি এরকম ধরনের শাস্তির ব্যবস্থা আমাদের বাংলাদেশের আইনের আওতায় আনা দরকার। কারণ এটি আমাদের সমাজে এখন একটু বিষ ফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পরকিয়া করার কৌশল

আসলে মেয়েরা কিভাবে পরকীয়াটা করে কিংবা পরকীয়াটা করার কৌশল কি। এবং কি কি কারণে তারা এভাবে পরকীয়ায় জড়ায়, নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
  • নিজের স্বামী যদি কোন স্ত্রীকে পূর্ণতা না দিতে পারে কিংবা পণ্য সুখ না দিতে পারে, তাহলে তখন ওই স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে।
  • যখন কোন স্বামী তার স্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা হারিয়ে ফেলে তখনও স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে।
  • যখন কোন স্বামী তার স্ত্রীকে সঠিকভাবে ভালো ব্যবহার কিংবা আচরণ দিতে পারেনা তখন ওই স্ত্রী পরকিয়াই জড়িয়ে পড়ে।
  • যখন কোন স্বামী তার স্ত্রী যেটা চাই সেটা দিতে পারে না তখন স্বাভাবিকভাবেই ওই স্ত্রী অন্য কোন পুরুষের সাথে পরকীয়া জড়িয়ে পড়ে।
  • এরকম কোন পুরুষ যখন নেশা দ্রব্য পান করে আসে কিংবা এসে স্ত্রীর সাথে খারাপ ব্যবহার করে তখন স্ত্রী স্বাভাবিকভাবে ভালো কোনো পুরুষের সাথে জড়িয়ে পড়ে।
  • যখন কোন স্বামী তার স্ত্রীর খাবারের বদনাম কিংবা অন্যান্য বদনাম কুসংস্কার বলে বেড়ায় তখনও স্ত্রী ওই স্বামী দেখতে পারে না তখন সে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে।
  • যখন কোন স্বামী তার স্ত্রীকে নিজের চোখের আড়ালে রাখতে পারেনা তখন ওই স্ত্রী শয়তানি করে অন্য পুরুষের সাথে পরকীয়া করার চেষ্টা করে।
  • যখন কোন স্বামী তার স্ত্রীকে কোনোভাবেই পাত্তা দেয় না সব সময় অন্যদিকে খেয়াল করে থাকে, এবং স্ত্রীর যৌন চাহিদা টা পূরণ করতে পারে না তখন ওই স্ত্রী যৌন চাহিদার জন্য অন্য পুরুষের সাথে পরকিয়া জড়িয়ে পড়ে।
  • যখন কোন পুরুষ তার স্ত্রীকে রেখে বাহিরে কিংবা কোথাও যায় এবং সেখানে বছরের পর বছর কাটিয়ে দেয় তখন সে স্বামীর স্ত্রী পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ার চেষ্টা করে।

বাংলাদেশের কোন জেলায় পরকীয়া বেশি

বাংলাদেশের কোন জেলায় মেয়েরা পরকীয়ায় বেশি জড়িয়ে পড়ে এই কথাটা যখন বলা হয় তখন প্রথমে নারায়ণগঞ্জের কথা মাথায় চলে আসে। কারণ নারায়ণগঞ্জ এর ভেতরে মাত্র 14 থেকে 18 বছর বয়সী মেয়ে দের ভিতরে শতকরা প্রায় 42 জন করে মেয়ে ছেলেদের সাথে সম্পর্ক তৈরিতে খুব বেশি আগ্রহী। 

এবং ১৯ থেকে ২৭ বছর বয়সে মেয়েরা সম্পর্ক করার জন্য খুব বেশি আদা জল খেয়ে থাকে। আর জানা গেছে যে ২৮ থেকে ৪৪ বছর মহিলাদের ভেতরে প্রায় শতকরা বিশ জন করে মহিলারা পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। তবে জানা গেছে নারায়ণগঞ্জ শহরের মেয়েদের ভেতরে এই প্রবণতা অনেক ক্ষেত্রে বেশি। 
এবং অবাক করার মত বিষয় হলো নারায়ণগঞ্জে প্রায় ৫৬ ভাগ অঞ্চলে লোকেরাই প্রায় বাহির থেকে আগত। আর তাছাড়া ছেলেদের সাথে সম্পর্ক করার জন্য দ্বিতীয় ধাপে এগিয়ে আছে ঢাকা জেলার মেয়েরা। অর্থাৎ ঢাকার কেরানীগঞ্জের মেয়েদের কথা বলছি। আর তিন নম্বরে যদি বলা যায় তাহলে গাজীপুরের মেয়েরা এই দিক দিয়ে বেশি এগিয়ে আছে। 

এরপরে বলতে গেলে বলা যায় গাজীপুর এবং মানিকগঞ্জের ধামরাই এর জন্য এরা বেশি পরকীয়া জড়িয়ে পড়ে। তাছাড়াও বরিশালের মেয়েরা একটু বেশি সুন্দর হয় এরা অধিক বেশি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে থাকে। সুতরাং আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে বাংলাদেশের কোন কোন জেলার মেয়েরা অধিক বেশি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এবং পরকীয়ায় আসক্ত।

শেষ কথা

তো প্রিয় বন্ধুরা আশা করি বুঝতে পেরেছেন আজকের পুরো আর্টিকেলটি পড়ে যে কোন কোন জেলার মেয়েরা পরকীয়ার সম্পর্কে বেশি জড়িয়ে পড়ে এবং আপনার স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছে আপনি কিভাবে বুঝবেন এবং তাকে কি কি করনীয়। সেটা থেকে ফিরে আনার অর্থাৎ মুক্তি করার।, 

এ সকল বিষয়গুলো পুরোপুরি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে আশা করি আপনি এবং আপনার সংসার পুরোপুরি ভাবে টিকে থাকবে। আশা করি পুরো পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে। তো সকলেই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আজকের মত এখানেই শেষ করছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ব্লগার জাফর সাহেবের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url