পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম প্রসঙ্গে আলোচনা করা হলো

ইসলামের বিধান মতে আমাদের আত্মিক পবিত্রতার সাথে পাশাপাশি শারীরিক পবিত্রতা ও জরুরি। এর সাথে সাথে ইসলাম সার্বক্ষণিক আমাদের পবিত্রতা রক্ষায় গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি আমাদেরকে এবাদতে পবিত্রতার শর্তরূপ করা হয়েছে। আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা পবিত্রতা সম্পর্কে কিছুই জানিনা। এজন্য আমাদের সকলেরই জানা উচিত কিভাবে পবিত্রতা অর্জন করা যায়।
তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে দশটি মাধ্যমে আমরা পবিত্রতা অর্জন করব পবিত্রতা অর্জনের কি কি গুরুত্ব এবং কোরআন এবং হাদিসের পবিত্রতা সম্পর্কে কি বলা হয়েছে। বিস্তারিত জানতে পুরো পোস্টটি গুরুত্ব সহকারে পড়ুন।

ভূমিকা

পবিত্রতা শব্দটি আরবি "তাহারাত" শব্দ থেকে এসেছে। যা ইসলামের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি অপবিত্রতা অর্থাৎ "নাজাসাতের" বিপরীত। আর এই নাজাসাত হল ধর্মীয়ভাবে অপবিত্র হবার অবস্থা। এটি প্রাথমিকভাবে শারীরিক অপবিত্রতা যেমনঃ প্রস্রাব দূরীকরণের মাধ্যমে আমরা অজু করি বা গোসলের মাধ্যমে আমরা ধর্মীয়ভাবে পবিত্রতা অর্জন করি। আসলে ইসলামের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হল পবিত্রতা। আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ। 

পবিত্রতা মানে জীবনব্যাপী পবিত্রতা, যেমন বিশ্বাসের পবিত্রতা কর্মের পবিত্রতা শারীরিক পবিত্রতা, মানসিক পবিত্রতা, আর্থিক পবিত্রতা,  বাহ্যিক পবিত্রতা, অভ্যন্তরীণ পবিত্রতা, এছাড়াও ভাষা তথা বাক্যের ও শব্দের মধ্যেও পবিত্রতা রুচির পবিত্রতা দৃষ্টি ও দৃষ্টিভঙ্গিরও যেমন পবিত্রতা পরিবেশের উপর প্রতিবেশীর পবিত্রতা শ্রবণের পবিত্রতা দর্শনে পবিত্রতা ও চিন্তায় পবিত্রতা পবিত্র জীবন যাপনের পূর্ব শর্ত ও সহায়ক বটে। 

সবার উপরে হলো জ্ঞানের পবিত্রতা। এটা সম্পর্কে মহান আল্লাহতালা বলেন যে বিষয়ে তোমার জানা নেই তোমরা সেটার অনুসরণ করো না; আপনার কান আপনার চক্ষু আপনার হৃদয় এদের প্রতিটি সম্পর্কে আপনাকে জিজ্ঞাসা করা হবে। (সূরা আল ইসরাঃ আয়াত ১৭/সূরা বনী ইসরাইলঃ আয়াত ৩৬)।
ইসলাম শুরু হয়েছে এই পবিত্রতা দিয়ে ইসলামের প্রথম অংশই হল ঈমান বা বিশ্বাস আর ঈমানের প্রথম কথাই হল কালিমা। আর আমরা জানি কালেমা তাইয়্যেবার অর্থ কি অর্থ হল পবিত্র সেই সত্তা মহান আল্লাহর নামে শুরু। সব জায়গায়তেই এই কথা লেখা আছে। কারণ মহান আল্লাহ তায়ালা ইসলামের সর্বপ্রথম পবিত্রতা দিয়ে শুরু করেছেন তার নিজের নামের মধ্যেও তার গুণাগু গুণগত নামের মধ্যেও এবং পবিত্র কোরআনুল কারিমেও সর্বপ্রথম মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্রতা দিয়ে ঘোষণা শুরু করেছেন।

পবিত্রতা অর্জনের গুরুত্ব

পবিত্রতা অর্জনের গুরুত্ব সম্পর্কে বলতে গেলে প্রথমেই বলব যে ,মহান আল্লাহতায়ালা নিজে পবিত্র। তিনি সকল প্রকার অপবিত্রতা পঙ্কিলতা মুক্ত। সেই মহান রবের গুণগত নাম গুলোর মধ্যে অন্যতম নাম হচ্ছে "সুব্বুহুন"(পবিত্রতম), "কুদ্দুসুন"(অতি পবিত্র ও মহাপবিত্রকারী)। মহান আল্লাহ তা'আলা জান মানবের মানুষের পবিত্র জীবন যাপন। মহান আল্লাহ তা'আলা আরো বলেন হে নবী পরিবার আল্লাহ তো শুধু চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদের সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করতে। (সূরা আহযাব আয়াতঃ ৩৩)।

আল্লাহতালা আরো বলেন যে, বরং তিনি তোমাদের পবিত্র করতে চান। (সূরা মায়েদা আয়াত ৫) তাই বলা যায় যে পবিত্রতা অর্জনের অনেকগুলো গুরুত্ব রয়েছে। ইসলামের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হল পবিত্রতা এটা আমরা জানি। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই সব সময় পবিত্রতা অর্জন করে থাকি না। অথচ পবিত্রতা মানে জীবনব্যাপী পবিত্রতা। সকল ক্ষেত্রেই আমাদেরকে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে। বিশ্বাসের মধ্যে পবিত্রতা আনতে হবে কর্মের মধ্যে পবিত্রতা আনতে হবে আরও যে সকল বিষয়ের উপর পবিত্রতা আনতে হবে সেগুলো উপরে বিস্তারিত বলা হয়েছে। 

তো এই সকল বিষয়ের উপর যখন পবিত্রতা আমরা আনতে পারব তখনই আমরা পূর্ণভাবে ঈমানদার বলে দাবি করতে পারবো। কারণ আমাদেরকে মহান আল্লাহ তায়ালা সরাসরি পবিত্রতা অর্জন করতে বলেছে অর্থাৎ এটি ফরজ হুকুম। এই ফরজ হুকুম যদি আমরা না মানি তাহলে আর যে সকল ফরয হুকুম গুলা আছে সেগুলা মেনেও কোন লাভ হবে না। কারণ একটা ফরজ হুকুমকে যবেহ দিয়ে অন্য ফরজ হুকুম তো মানা যায় না। আর এই পবিত্রতার সাথে আমাদের বড় বড় ইবাদতের এর সম্পর্ক রয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো নামাজ। অর্থাৎ পবিত্রতা অর্জন ছাড়া তো নামাজ কখনোই সম্ভব নয়।

আর কেউ যদি অপবিত্রতা অবস্থায় সালাত আদায় করার চেষ্টাও করে তাহলে তার সালাত আল্লাহতালা কবুল করবেন না। এজন্য আমাদেরকে সকল ক্ষেত্রেই পবিত্রতা অর্জন করে চলতে হবে। অন্যথায় আল্লাহ তা'আলা আমাদের কখন কার মৃত্যু দিয়ে দেয়, এইটার কোন গ্যারান্টি কেউ দিতে পারে না। অর্থাৎ আমাদের মৃত্যুটা যেন অপবিত্রতা অবস্থায় না হয় এজন্য আমাদের সব সময় সকল ক্ষেত্রে সকল জায়গায় আমাদের পবিত্রতা অর্থাৎ তাহাররাত করে চলা উচিত।

পবিত্র থাকার সুফল

পবিত্র থাকার সুফল সম্পর্কে বলতে গেলে মহান আল্লাহতায়ালা পবিত্র কুরআনের মধ্যে বলেন যে অমুক এলাকায় একদল মুসল্লী আছে যারা পবিত্রতা অর্জন করতে পছন্দ করে। আল্লাহ তাআলা পবিত্রতা অর্জনকারীদের কেউ ভালোবাসে (সুরাতুল তাওবা ১০৮ নম্বর আয়াত)। অর্থাৎ এখানে বোঝা যাচ্ছে যে মহান আল্লাহ তা'আলা সবচাইতে বেশি ভালোবাসেন ওই ব্যক্তিকে যে ব্যক্তি সবসময় পবিত্রতা খুব বেশি ভালো পছন্দ করে। 

যে ব্যক্তি সবচাইতে বেশি পছন্দ করবে নিজেকে পবিত্রতা রাখার আল্লাহতালা ওই ব্যক্তিকেও সবচাইতে বেশি ভালোবাসবেন, উপরের আয়াতে কারীমা থেকে এটা বোঝাচ্ছে আল্লাহ তায়ালা। তাহলে বোঝা গেল যে পবিত্রতা থাকার সবচাইতে দামি সুফল হলো মহান আল্লাহতালা আমাদেরকে ভালবাসবেন। 

আর যে ব্যক্তি সবসময় পবিত্রতা অর্জন করতে পারবেনা মহান আল্লাহ তাআলা তাকে ভালবাসতে পারবেন না, কারণ সে ব্যক্তি কাছে পবিত্রতা অর্জন করার মতন বস্তু আছে কিন্তু সে ব্যক্তি পবিত্রতা অর্জন। এরপরে পবিত্রতা থাকার আরো কিছু সুফল হলো পবিত্রতা অর্জন করলে আমাদেরকে সকলে ভালোবাসবেন।
এমনকি মহান আল্লাহতালা আমাদেরকে সকল রকম হেফাজত করবেন। আর যারা অপবিত্র অবস্থায় থাকে তাদের অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, কিন্তু তারা সেটা বোঝে না। যেমন অপবিত্রতা অবস্থায় থাকলে অনেক সময় খারাপ জিনের প্রভাব ফেলে আমাদের শরীরে এমনকি শয়তানের প্রভাব বেশি ফেলে। 

এজন্য আমাদের উচিত যে সব সময় পবিত্রতা অর্জন করা। আর পবিত্রতা অর্জন করলে আমরা আমাদের ইবাদত বন্দেগী করেও মজা পাব। আর অপবিত্রতার মধ্যে কখনো শান্তি আসতে পারে না। হোক সেটা আপনার নিজের মধ্যে কিংবা আপনার পরিবারের মধ্যে। আশা করি আমরা সকলেই সব সময় পবিত্র থাকার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ।

পবিত্রতা অর্জনের উপায়

পবিত্রতা অর্থাৎ পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতা হচ্ছে মহান আল্লাহ তায়ালার নিয়ামত। হোক তা তার কিংবা শারীরিক কিংবা পরিবেশের। আর মানুষের উপর মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের এই নিয়ামত পূর্ণতা তখনই লাভ করে যখন মানুষ সঠিক পদ্ধতিতে সঠিক পন্থায় আত্মা ও শরীর উভয়ের এই পবিত্রতা বা পাপ পবিত্রতা অর্জনের পাশাপাশি পরিবেশের জন্য পণ্য জ্ঞান ও হেদায়েত লাভ করতে সক্ষম হয় রাসূল সাঃ বলেন যে আত্মহুর সাত রুল ঈমান। অর্থঃ পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেক। (সহিহ মুসলিম) নিম্নে পবিত্রতা অর্জনের কয়েকটি পদ্ধতি বর্ণনা করা হলোঃ

আমরা দুই পদ্ধতিতে পবিত্রতা অর্জন করতে পারি, ক" অজুর মাধ্যমে" খ" সলের মাধ্যমে ও তায়াম্মুমের মাধ্যমে" ওযুর মাধ্যমে কিভাবে পবিত্রতা অর্জন করতে হয় এটা আমরা প্রায় সকলেরই জানা।
গোসলের মাধ্যমে পাক পবিত্রতা যেভাবে পড়বেনঃ স্ত্রী সহবাস ও স্বপ্নদোষের কারণে মানুষের উপর গোসল করা অত্যাবশ্যক হয়ে যায় যতক্ষণ না মানুষ গোসল না করে শুধু অজুর মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন সম্ভব নয়। কারণ আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ হে ঈমানদারগণ! তোমরা যখন নেশাগ্রস্ত থাকো তখন তোমরা নামাজের ধারের কাছেও যেও না ,(যতক্ষণ না বুঝতে সক্ষম হও যা কিছু তোমরা বলছ) আর নামাজের কাছে যেও না। গোসল ফরজ হওয়া অবস্থায় যতক্ষণ না তোমরা গোসল করে নাও।

কিন্তু মুসাফির অবস্থার কথা স্বতন্ত। আর যদি তোমরা অসুস্থ হয়ে থাকো কিংবা শহরে থাকো ,অথবা তোমাদের মধ্যে থেকে কেউ যদি প্রসাব পায়খানা থেকে এসে কিংবা নারী গমন করে থাকে। কিন্তু পরে যদি পানি প্রাপ্তি সম্ভব না হয় তবে পাক পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও। তাতে মুখমন্ডল ও হাতকে ঘষে নাও নিশ্চয়ই আল্লাহতালা ক্ষমাশীল। অতএব আল্লাহর বিধান হচ্ছে গোসল পরজলে তা গোসলের মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করতে হয়। গোসলের নিয়ম-
  • কুলি করা।
  • নাকের নাসারন্ধের/অর্থাৎ নাসিকা মূলে পানি টেনে ভিতরে নেওয়া।
  • সমস্ত শরীর ভালোভাবে ধৌত করা।
  • গোসল শেষে অর্থাৎ গোসলের পর গোসলের স্থান থেকে সরে গিয়ে নিজের পা ধৌত করা এবং গোসলের জায়গা ভালোভাবে পরিষ্কার করে পা ধৌত করা।
ধরুন আপনি এমন একটি স্থানে গিয়েছেন এমন একটি জায়গায় গিয়েছেন যেখানে পানির কোন ব্যবস্থা নেই আশেপাশে এ সময় আপনি তায়াম্মুম কিভাবে করে পবিত্রতা অর্জন করবেন।
  • আপনার দুই হাত প্রথমে মাটির সাথে ফেলবেন।
  • এরপর মাটির সাথে আপনার দুই হাত ভালো করে ঘষা দিবেন।
  • আপনার দুই হাত এবার আপনার মুখমণ্ডল দ্বারা মাসাহ করবেন।
  • এবার দুই হাতের কনুই পর্যন্ত মাসাহ করবেন।
এইভাবে আপনি আপনার পবিত্রতা অর্জন করবেন অর্থাৎ কখনো অপবিত্র অবস্থায় থাকবেন না যে কোন অবস্থায় পবিত্রতা হওয়ার চেষ্টা করবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন কিভাবে আপনি পানি দিয়ে আর পানি না থাকলে তায়াম্মুম করে কিভাবে পবিত্রতা অর্জন করবেন।

পবিত্রতা সম্পর্কে কুরআনের আয়াত

(সূরা মায়েদা আয়াতঃ ১২১) আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ হে আমার সম্প্রদায়, তোমরা পবিত্র ভূমিতে প্রবেশ কর যা আল্লাহ তোমাদের জন্য লিখে দিয়েছেন এবং তোমাদের তোমরা তোমাদের পেছনে ফিরে যেও না তাহলে তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে প্রত্যাবর্তন করবে। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ নিশ্চয়ই আমি তোমাদের রব সুতরাং তোমরা আমার কাছে যখন আসবে তখন জুতা খুলে পবিত্রতা অর্জন করে আসবে তোয়া উপত্যকায় রয়েছে।(সুরা তোয়াহ আয়াত ১২)।
আল্লাহতায়ালা পবিত্র কুরআনের মধ্যে বলেন যে অমুক এলাকায় একদল মুসল্লী আছে যারা পবিত্রতা অর্জন করতে পছন্দ করে। আল্লাহ তাআলা পবিত্রতা অর্জনকারীদের কেউ ভালোবাসে (সুরাতুল তাওবা ১০৮ নম্বর আয়াত)। এছাড়াও মহান আল্লাহ তায়ালা কোরআনে আরও অসংখ্য জায়গায় এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম হাদিসে অনেক জায়গায় পবিত্রতা অর্থাৎ তাহারাতের বর্ণনা দিয়েছেন।

সর্বশেষ পরামর্শ 

প্রিয় পাঠক মন্ডলী আশা করি উপরের আলোচনা থেকে উপরের আর্টিকেল থেকে বুঝতে পেরেছেন যে পবিত্রতা অর্জন করা কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ এবং কিভাবে পবিত্রতা অর্জন করলে পবিত্রতা হবে এবং মহান আল্লাহ তায়ালা কোরআনে কারীমে পবিত্রতা সম্পর্কে কি বলেছেন। এখন আমাদের উচিত সবসময় পবিত্র অবস্থায় থাকা, 

এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর সুন্নাহ মোতাবেক পবিত্রতা অর্জন করে ইসলামী জীবন গড়া এবং সকল ইবাদত আদায় করা আর সকল ইবাদত আদায় তখনই সঠিকভাবে হবে যখন আপনি সঠিকভাবে পবিত্রতা অর্জন করবেন। আমাদের পোস্টটি ভাল লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন, সবার সুস্থতা কামনা করে এখানেই শেষ করছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ব্লগার জাফর সাহেবের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url