কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা - কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার নিয়ম
প্রিয় পাঠক বৃন্দ আমরা অনেকেই জানিনা যে, কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা কি রয়েছে। এবং এর খাওয়ার পদ্ধতি কি, এবং কালোজিরা কোন নিয়মে খেলে আমরা সুস্থ থাকব এবং আমাদের অনেক রকমের অসুখ-বিসুখ দূর হয়ে যাবে। কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা চলুন জেনে নেয়া যাক তাহলে।
কেউ যদি সাত দিন একটানা কালোজিরা খায় তাহলে তার শরীরের কি কি পরিবর্তন হতে পারে এবং কতটুকু পরিমান কালোজিরা চিবিয়ে খেলে সে সুস্থ থাকবে এবং, বিভিন্ন রকমের ক্ষতিকারক অসুখ থেকে সে বেঁচে থাকতে পারবে। কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা, বিস্তারিত জানতে পুরো পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়তে থাকুন।
কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
কালোজিরা এমন একটি খাবার যেটি কিনা সকল রোগের ঔষধ। এমনকি যেটার কথা কি না কোরআন এবং হাদিসে বলা হয়েছে। আর এখনকার প্রত্যেকটা ডাক্তারেরাও বলে যে কোন অসুখ-বিসুখ হলে নিম বিশেষভাবে সর্দি কাশি হলে বাচ্চা কিংবা যাদের হবে তাদেরকে কালোজিরা বেশি বেশি করে খাওয়াবেন।
এবং সেটার গন্ধ তাদেরকে উপভোগ করতে বলবেন। আর কালোজিরা হচ্ছে এক ধরনের মসলা জাতীয় ফসল ধরা চলে। আর এই মসলাটি ধরতে গেলে আমাদের দেহের জন্য অনেক অনেক উপকারী। আর আপনি বিষয়টা ভাবতেও পারবেন না,
যে একবার কালোজিরা যদি কোন ব্যক্তি খায় তাহলে তার শরীরে কতটুকু পরিমাণ উপকার হয়। সুতরাং কালোজিরা সিবিএস খেলে কি কি উপকারিতা হয় নিম্নে কয়েকটি পয়েন্ট বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো এগুলা পড়লে বুঝতে পারবেন যে কালোজিরার মধ্যে কি কি উপকারিতা রয়েছে। তাই দেরি না করে চলুন বিস্তারিত করতে থাকুন।
- নিয়মিত কালোজিরা চিবিয়ে খেলে বাতের অসুখ দূর হয়ে যাবে।
- নিয়মিত কালোজিরা সেবন করলে মাথা ব্যথা দূর হয়ে যাবে।
- নিয়মিত কালোজিরা খেলে সর্দি-কাশি ভালো হয়ে যাবে।
- কেউ যদি নিয়মিত কালোজিরা সেবন করে তাহলে তার রক্তচাপ কমে যাবে।
- নিয়মিত কালোজিরা সেবন করলে স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
- নিয়মিতভাবে কেউ যদি কালোজিরা সেবন করে তাহলে তার শ্বাসকষ্ট হাঁপানি দূর হয়ে যাবে।
- কালোজিরা সেবন করার কারণে মায়েদের বুকের দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।
- কালোজিরা সেবনে ব্যক্তির ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
- কালোজিরা সেবন করার কারণে অনিয়মিত মাসিক বন্ধ হয়ে যাবে।
বাতের ব্যথা দূর করতে কালোজিরাঃ আসলে এ বর্তমান যুগে প্রায় প্রত্যেকটা ব্যক্তির এই বাতের সমস্যা দিন দিন বাড়তেছে। তাই এ সকল ব্যক্তিদের মধ্যে যদি আপনিও একজন হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে পরামর্শ দিব নিয়মিত কালোজিরা সেবন করুন কারণ এতে করে আপনার দাঁতের সমস্যাটা অনেক কমে যাবে। তবে এর কিছু নিয়ম রয়েছে, যেমন আপনার যেখানে বাতের সমস্যা হয় সেই জায়গাটি ভালোভাবে প্রথমে পরিষ্কার করে নিবেন। পরিষ্কার করে প্রত্যেকদিন নিয়মিত ভাবে সেই জায়গাতে কালোজিরার তেল ব্যবহার করবেন। আর তাছাড়া যদি আপনার বাসায় কাঁচা হলুদের গুঁড়া থেকে থাকে তাহলে সেটার সাথে ১ চা - চামচ কালোজিরা তেল এবং সাথে মধু মিক্সচার করে দুই তিন থেকে তিন সপ্তাহ যদি খান তাহলে আপনি অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠবেন।
মাথা ব্যথা দূর করতে কালোজিরাঃ আপনি কি নিয়মিত প্রতিদিন মাথা ব্যথার সমস্যা ভুগতেছেন, তাহলে আপনার এই মাথা ব্যথার চিকিৎসার প্রধান ঔষধ হলো কালোজিরা। যেটা কিনা আপনাকে ১০০% সুস্থ করে তুলবে। প্রত্যেকদিন এক থেকে দুই চা চামচ কালোজিরা তেল আপনি মাথায় লাগিয়ে রাখবেন। এবং যদি পারেন এর সাথে ১ চা - চামচ কালোজিরা নিয়ে এর সাথে একটু মধু নিবেন নিয়ে দুইটা মিক্সচার করে প্রত্যেক দিন ৩ - ৪ বার এটা ব্যবহার করবেন, আশা করি ইনশাল্লাহ আপনি এক সপ্তাহের মধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠবেন মাথা ব্যথা থেকে।
সর্দি কাশি ভালো করতে কালোজিরাঃ আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা নিয়মিত সর্দি কাশি এ সকল অসুবিধার মধ্যে ভুগতেছেন। তো আপনাকে বলতেছি আপনি যদি নিয়মিত ভাবে কালোজিরা সিবিএস খান তাহলে আপনার সর্দি কাশি কোথায় ভেগে যাবে আপনি নিজেও ভাবতে পারবেন না। যদি আপনি প্রত্যেকদিন এই নিয়মে কালোজিরা সেবন করেন তাহলে অবশ্যই আপনার সর্দি-কাশি এর সাথে সাথে সব রকমের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। তার জন্য আপনাকে রং চা নিতে হবে নিয়ে এর সাথে ১ চা চামচ করে কালোজিরা মিশিয়ে প্রত্যেকদিন ৪ - ৫ বার খাবেন। এতে করে আপনার সর্দি-কাশি থেকে আপনি খুব সহজেই বিস্তার লাভ করতে পারবেন।
হার্টের রোগ নিরাময়ে কালোজিরাঃ বর্তমানে এই সময়ে হার্টের রোগ প্রায় প্রত্যেকটা ব্যক্তিরই হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এটা বেশি দেখা যায় যাদের বয়স অনেকাংশে বেশি হয় তাদের। তো আপনি যদি এই সমস্যা থেকেও বাঁচতে চান তাহলে আপনি নিয়মিত ভাবে কালোজিরা তেল এবং এর সাথে দুধ মিক্সার করে সেবন করতে পারেন দিনে চার থেকে পাঁচ বার, এতে করে আপনি কতটা উপকার লাভ করতে পারবেন, আপনি নিজেও টের পাবেন না, কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা এত বেশি।
রক্তচাপ কমাতে কালোজিরাঃ আমাদের মধ্যে প্রায় অনেকেরই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে। সুতরাং কোনো রোগী যদি এই কালোজিরা সঠিক মাধ্যমে সেবন করে তাহলে সে রক্তচাপের মতন রোগ থেকে বাঁচতে পারবে। আর এর নিয়মটা হচ্ছে আপনাকে প্রতিদিন সকালে উঠতে হবে উঠে তারপরে রসুনের দুইটা করে কুয়া আপনি শুধু খালি মুখে চিবিয়ে খেয়ে নিবেন এবং এর সাথে কালোজিরা গুড়া করে মধু মিক্সচার করে খাবেন এবং আপনার শরীরে লাগাবেন এবং কিছুক্ষণ সূর্যের তাপে বসে থাকবেন। অল্প দিনের মধ্যে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার রক্তের চাপ কমে গেছে।স্মরণশক্তি বৃদ্ধিতে কালোজিরাঃ আমরা অনেকেই চাই যে আমাদের স্মরণশক্তি টা অনেকটা বেড়ে থাকুক সব সময়, বিশেষ করে আমরা যারা ছাত্র ছাত্রী তাদের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং কোন ছেলে বা মেয়ে যদি প্রত্যেকদিন এক চা চামচ করে পুদিনা পাতার রস এবং কালোজিরা তেল ভালোভাবে মিক্সচার করে যদি প্রত্যেকদিন ৪ - ৫ বার সেবন করে। তাহলে সে টের পাবে সে টেনশন মুক্ত হয়ে গেছে এবং তার স্মরণশক্তি আগের চেয়ে অধিক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কালোজিরাঃ এটা সকলে জানলে অবাক হবেন যে কালোজিরা চিবিয়ে খেলে কি আসলেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়! হ্যাঁ অবশ্যই রাখা যায়। কোন ব্যক্তি যদি কালোজিরা এবং এর তেল নিয়মিত সেবন করে এবং যদি এটা এক গ্লাস গরম পানির সাথে মিশিয়ে খায় তাহলে তার শরীরে সেটা রক্তের মধ্যে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখবে এবং তাকে খুবই দ্রুত সুস্থ করে তুলবে। সুতরাং এটি আজ থেকেই সেবন করা শুরু করে দিন এবং প্রত্যেকদিন যখন ভাত খাবেন ভাত খাওয়ার সাথে কালোজিরা ভর্তা কিংবা শুকনো কালোজিরা খেয়ে নিবেন।
শ্বাসকষ্ট / হাঁপানি রোগের চিকিৎসায় কালোজিরাঃ আমরা দেখেছি যে কোন ব্যক্তির যখন শ্বাসকষ্ট কিংবা হাঁপানি রোগ হয় তখন সে ডাক্তারের কাছে যায়। আর ডাক্তার ওই সময় বলে যে আপনাকে কালোজিরা ব্যবহার করতে হবে। কেন বলে জানেন? আসলেই কালোজিরার গুনাগুন যে এতটা সেটা প্রত্যেকটা ডাক্তাররাও জানে। এবং আপনাদেরকে নিয়মিত ভাবে কালোজিরা সেবন করতে বলে। নিয়ম হচ্ছে কেউ যদি নিয়মিত ভাবে কালোজিরার ভর্তা খায় তাহলে তার শ্বাসকষ্টের রোগ থাকবে না। অল্পদিনেই ঐ সকল ব্যক্তির শ্বাসকষ্ট কিংবা হাঁপানি রোগ দূর হয়ে যাবে।
বুকের দুধের সমস্যায় কালোজিরাঃ ওই যে বলেছিলাম না যে, কালোজিরা হচ্ছে প্রত্যেকটা রোগের মহা ঔষধ। আমাদের মধ্যে অনেক মায়েরায় রয়েছে যারা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারতেছেন না। যে কোন রকমের একটি সমস্যার কারণে আপনার বুকে দুধ আসতেছে না। তো ঐ সকল মায়েদের বলবো যে আপনারা নিয়মিতভাবে এই নিয়মে কালোজিরা সেবন করুন আশা করি আল্লাহর রহমতে আপনারা উপকার পাবেন। নিয়মটি হলো-প্রত্যেকদিন ঘুমানোর আগে ১০ - ১৫ গ্রাম কালোজিরা নিয়ে সেটা বেটে নেবেন নেওয়ার পরে সেটি যেকোনো দুধের সাথে মিশিয়ে খেয়ে নিবেন এভাবে যদি আপনি ২০ থেকে ২৫ রাত এটি করেন অটোমেটিক আপনার স্তনে দুধ চলে আসবে।
শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে কালোজিরাঃ আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা দেখে যা অনেক সময় সন্তানেরা বিভিন্ন কারণে শারীরিকভাবে বড় হয় না এবং মানসিকভাবেও বুদ্ধির কোন বিকাশ ঘটে না। আছে এরকম অনেক সন্তান যাদের জন্ম থেকে এরকম সমস্যাটা হয়ে থাকে। তো তাদেরকে বলব আপনারা যদি আপনাদের সন্তানদের এই সমস্যাটা দূর করতে চান তাহলে নিয়মিত ভাবে কালোজিরা চিকিৎসা নিতে পারেন অর্থাৎ কালোজিরা প্রত্যেক দিন সকালে আপনার ছেলেকে সেবন করাবেন দুধের সাথে নয়তো মধুর সাথে। আশা করি আপনি উপকার পাবেন।
আমাশয় বন্ধ করতে কালোজিরাঃ পুরাতন দিনের মানুষেরা যেকোনো ধরনের সমস্যা সমাধান করতে কালোজিরার উপকার নিতেন, এর মধ্যে একটি হলো আমাশয় রোগ। যাদের এই রোগটি হতো তাদের বেশিরভাগ সময় কালোজিরা ব্যবহার করতে হতো। অর্থাৎ নিয়মিতভাবে তাদেরকে কালোজিরা খেতে হতো। এখনো দেখবেন আগের দিনের দাদা দাদি নানা-নানীরা আমাশয় হইলে আমাদের মায়েদের বলে যে কালোজিরা খাওয়া তোর ছেলেকে, যেটা কিনা আপনি যদি নিয়মিত ভাবে এক থেকে দুই চামচ কালোজিরার সাথে তেল কিংবা মধু মিক্সার করে খান তাহলে আপনার আমাশয় অনেকটা কমে যাবে।
অনিয়মিত মাসিক বন্ধ করতে কালোজিরাঃ আমাদের মা এবং বোনদের প্রায়ই একটি পরিচিত সমস্যা হচ্ছে অনিয়মিত মাসিক। এই সমস্যাটার সমাধান অনেকেই অনেক রকম ভাবে নিয়ে থাকেন। কিন্তু আসলে যদি এর সঠিক সমস্যার সমাধান খুজতে চান পেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই কালোজিরা সেবন করতে হবে। আসলে কালোজিরা এমন একটি মহা ঔষধ আছে কিনা আপনার যেকোনো ধরনের সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে আর সেখানে মাসিক তো কিছুই না।
তো এই নিয়ম বলে দেবো এই নিয়মে যদি আপনি নিয়মিত কালোজিরা সেবন করেন তাহলে আপনি অনিয়মিত মাসিক বন্ধ করতে উপকারিতা পাবেন। তো নিয়মটি হল-আপনি প্রত্যেকদিন যখন ভাত খাবেন ভাত খাওয়ার সাথে কালোজিরা খাওয়ার চেষ্টা করবেন হয়তো সেটা ভর্তা করে কিংবা তেল। আশা করি আপনি অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠবেন।
কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
অনেকে জিজ্ঞাসা করেছেন যে ভাইয়া কিভাবে কালোজিরা টা খেতে হয় এবং কিভাবে খেলে আমরা আমাদের সমস্ত রোগ থেকে মুক্তি পাবো। কালোজিরা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকারী জিনিস। যেটি খেলে মানুষ বড় বড় রোগ থেকে মুক্তি পায় যেমন ক্যান্সার ডায়াবেটিস আলসার এগুলা থেকে। সুতরাং অবশ্যই কালোজিরা খাওয়ার তো একটি নিয়ম রয়েছেই।
যে নিয়মটি আমরা অনেকেই জানিনা, আসলে আমাদের যাদের সমস্যা এই নিয়মটি আমাদের সকলের জানা দরকার। সুতরাং কালোজিরা খাওয়ার কি কি নিয়ম রয়েছে এগুলা নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-আপনি যখন কালোজিরা সেবন করবেন, তখন আপনি চেষ্টা করবেন হয়তো সকালে কিংবা বিশেষ করে রাত্রে কালোজিরাটা সেবন করার।
কেননা এই দুই সময় আপনার যেকোনো ধরনের ঔষধ সঠিকভাবে কাজ করে। সুতরাং আপনি যদি সকালে কালোজিরা খান তাহলে অবশ্যই সকালে ঘুম থেকে উঠে কালোজিরা সঙ্গে সঙ্গে মধু যদি পারেন তাহলে মিক্সার করে খাবেন। তাছাড়া আপনি দুপুরের দিকে যদি কালোজিরা খাওয়ার ইচ্ছা করেন তাহলে এটি আপনি ভর্তা কিংবা তেল করে খেতে পারেন ভাতের সাথে। 
আর যদি রাত্রে কখনো কালোজিরা খেতে হয় যে কোন ধরনের রোগের কারণে যেমন ধরেন সর্দি জ্বর কিংবা ডায়াবেটিস, এসকল কারণে যদি খেয়ে থাকেন তাহলে রাত্রে চেষ্টা করবেন দুধের সাথে কালোজিরা মিক্সচার করে খাওয়ার এতে করে আপনার শরীরের পুষ্টির পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে এবং কালোজিরা উপকারিতা ও বৃদ্ধি পাবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা এবং কালোজিরা কি কি নিয়মে আপনি খাবেন।
সকালে খালি পেটে কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
সকালে খালি পেটে কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা অনেক রয়েছে। কেউ যদি প্রত্যেকদিন সকালে কালোজিরা চিবিয়ে খায় তাহলে সে অনেক গুলা উপকারিতা পাবে তার মধ্যে, একটু উপকারিতা হলো সে সারাদিন যেই কাজ করবে প্রত্যেকটা কাজে এসে কন্সেন্ট বসাতে পারবে এবং প্রত্যেকটা কাজ শেষ সঠিকভাবে করতে পারবে কারণ তার ব্রেন স্মরণ শক্তি তখন সঠিক থাকবে।
আরো পড়ুনঃ কোমল পানীয় খাওয়ার উপকারিতা কী
আর তাছাড়া ও সকালে কেউ যদি খালি পেটে কালোজিরা খায় তাহলে সে নানা রকম রোগ জমানোর হাত থেকে বাঁচতে পারবে এবং সে সুস্থ থাকতে পারবে। নিয়মিত যদি কোন ব্যক্তি খালি পেটে কালোজিরা চিবিয়ে খায় তাহলে তার দেহে রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকবে এবং তার মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনের বৃদ্ধি ঘটবে এবং তার স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়া কোনো নারী কিংবা পুরুষ যদি নিয়মিত কালোজিরা মধুর সাথে সেবন করে তাহলে তাদের যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে জাদুর মতো। অর্থাৎ প্রত্যেকদিন যদি কোন পুরুষ কিংবা নারী কালোজিরা সেবন করে তাহলে তাদের শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং প্রত্যেকটা পরিবার এই পুরুষত্বহীনতা কমবে এবং সংসারের ঝামেলা মিটবে। আর তাছাড়া সকালে খালি পেটে কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। যেগুলো উপরের বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে, আপনারা পড়ে নিতে পারেন।
সর্বশেষ পরামর্শ
আশা করি উপরে আলোচনা থেকে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন যে কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার নিয়ম এবং কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিত কি উপকারিতা হয়েছে। এবং কোন ব্যক্তি যদি প্রত্যেকদিন সকালে কালোজিরা চিবিয়ে খায় তাহলে তার কত রকমের রোগ ব্যাধি থেকে সে মুক্তি পাবে। সুতরাং আমরা সকলেই চাই যে সুস্থ থাকতে ভালো থাকতে।
তাই আমাদের সকলেরই প্রত্যেকদিন খাবারের তালিকায় কালোজিরা রাখার। কেননা এটি আমাদের সুস্বাস্থ্যের ঔষধ। আশা করি আমাদের পুরো পোস্টটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। সুতরাং এরকম আরো কিছু পোস্ট পেতে হলে কমেন্ট করে জানাবেন, আপনাদের সামনে তুলে ধরবো ইনশাল্লাহ। সকলেই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ব্লগার জাফর সাহেবের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url