বয়স অনুযায়ী খাদ্য তালিকা
প্রিয় বন্ধুরা আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা জানি যে কোন নিয়মে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খাবারের তালিকা করা উচিৎ বা কোন নিয়মে আমাদের খাবার খাওয়া উচিত। আজকে আমরা সেই বিষয়েই জানবো। এবং জানবো বয়স অনুযায়ী খাদ্য তালিকা সম্পর্কে এজন্য আমাদের সঙ্গেই থাকুন।
পুরুষদের খাদ্য তালিকায় কি, এবং মহিলাদের খাদ্য তালিকায় কি কি রাখা এবং বয়স্কদের খাদ্য তালিকায় কি কি রাখা উচিৎ বা বয়স অনুযায়ী খাদ্য তালিকায় কি রাখা উচিত। এবং সুস্বাস্থ্যের খাবারের তালিকায় কি রাখা লাগবে, বা বয়স অনুযায়ী খাদ্য তালিকা সম্পর্কে জানতে হলে পুরো পোস্টটি বিস্তারিত পড়তে থাকুন ।
ভূমিকা
আমাদের বয়স যেমনই হোক না কেন, আমাদের খাদ্য তালিকা সঠিক না হলে অনেক সময় আমাদের জীবনেরও ঝুঁকি থাকে। অর্থাৎ যদি সঠিক নিয়মে আমরা যদি খাবার না খাই। তাহলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি হতে পারে। সুতরাং বয়স অনুযায়ী আমাদের খাদ্য তালিকা যেরকম হওয়া উচিত। একটি ছোট বাচ্চার বেড়ে ওঠা থেকে শুরু করে নিয়ে বয়সন্ধিকাল পর্যন্ত। পর্যাপ্ত পুষ্টির জন্য সঠিক মাত্রা এবং ধরনের খাদ্য খুবই গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু সদ্য জন্ম নেওয়া নবজাতক শিশু থেকে নিয়ে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের শিশুদের দৈহিক পুষ্টির চাহিদার এবং খাদ্য তালিকা ও এক নয়। সুতরাং আমাদের বয়স অনুযায়ী খাদ্যের তালিকা তৈরি করতে হবে শিশুদের জন্য এবং বয়স্কদের জন্য। এবং আমাদের সুস্বাস্থ্য থাকার জন্য বিভিন্ন ধরনের খাদ্য রয়েছে যেগুলো খাইতে হবে। এবং কিছু কিছু অস্বাস্থ্যকর খাবার রয়েছে, যেগুলো খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর সেগুলো পরিহার করতে হবে।
আসলে আমাদের জীবনের বেঁচে থাকার জন্য মেইন উদ্দেশ্য হচ্ছে সুস্বাস্থ্য পরিবেশ বা খাবার। আর মানুষ খাবার খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে। সুতরাং এই খাবারটাই যদি আমাদের অসুস্থকর হয় তাহলে আমরা কিভাবে টিকে থাকতে পারবো পরিবেশে। সুতরাং আমাদের সকলের সুস্থ জীবন যাপন করা জরুরী এজন্য সঠিক খাবারের তালিকা করা উচিত।
সারাদিনের খাবার তালিকা
আমাদের সুস্থ থাকতে সারাদিনের একটি খাবারের তালিকা করা উচিত। কিংবা পুরো সপ্তাহে আমরা কি কি খাব এই অনুযায়ী একটি খাবারের তালিকা করা উচিত। সুতরাং এখন সারাদিনের দিনের খাবারের তালিকায় কি কি রাখবেন সেই বিষয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলো -
সকালের সুস্বাস্থ্যের খাবারঃ আমরা সারা দিনে অনেকেই অনেক রকমের খাবার খাই তার মধ্যে সকালে একরকম। আসলে সকালে আমাদের যে খাবারগুলো খাওয়া উচিত ছিল হল, ডিম-কিংবা ডিম এর কুসুম। আসলে ডিম খুবই উপকারী এবং আমাদের শরীরের শক্তি সরবরাহকারী একটি খাবার। প্রতিদিন সকালে ডিম কিংবা ডিমের কুসুম খান। সকালের খাবারের সাথে একটা করে যদি ডিম খান তাহলে দুপুরের আগে আপনার ক্ষুধা লাগার সম্ভাবনা থাকে না। তাছাড়া আপনার শরীরের সমস্ত ঘাটতি গুলো পূরণ করে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে এই ডিম।
দুপুরের সুস্বাস্থ্যের খাবারঃ আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা দুপুরে খেতে চান না। তখন আপনি খেতে পারেন। সেক্ষেত্রে ইসনিকারশ একটা অথবা চকলেট বার খেলে কিন্তু আপনার পুরো লাঞ্চের কাজটাই সেরে ফেলবে। আপনার জন্য কালো চকলেট টা বেশি উপকারী।
বিকেলের সুস্বাস্থ্যের খাবারঃ আসলে বিকেলে যদি পারেন একটি ডাব খেয়ে নিন। আর আমাদের মধ্যে কে না জানে ডাবের গুনাগুন। আমাদের শরীরের সুস্থ রাখার পাশাপাশি শরীরের মেদ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর সেখানে ডাব অনেকটা স্যালাইনের কাজটাও করে ফেলে। আর যদি আপনি একবার ডাব খান তাহলে আপনি অনেক সময় পানি না খেয়ে থাকতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ মিষ্টি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
রাতের সুস্বাস্থ্যের খাবারঃ আপনি রাত্রে খাবারের তালিকায় দুধ রাখতে পারেন। কেননা ক্যালসিয়ামে ভরপুর দুধের বিকল্প কিছু পাওয়া যায়নি। আর এই দুধটা আপনার বয়সের সাথে সাথে স্বাস্থ্যের ক্যালসিয়ামের চাহিদাটাও বাড়িয়ে তুলে বহুগুনে। বিশেষ করে মেয়েদের শরীরে দুধের চাহিদা অনেক বেশি। সুতরাং প্রতিদিন রাতে নিয়মিত এক গ্লাস দুধ খাওয়া প্রয়োজন।
আশা করি নিম্নের খাদ্যগুলো যদি আপনি আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন তাহলে আপনি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবেন আশা করা যায়।
কিশোরীদের খাদ্য তালিকা
উপরে জানলাম যে কিভাবে আমরা আমাদের খাদ্য তালিকায় প্রতিদিনের খাবারগুলো সাজালে আমরা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারব। চলুন এবার জেনে আসি একজন কিশোরীর খাদ্য তালিকায় কি কি থাকা জরুরী।
- একজন কিশোরির বয়সন্ধিতে মেয়েদের সবচাইতে প্রয়োজনীয় ঘটনা মিনার কি বা পিরিয়ড হওয়া। এ সময় তাদের যথেষ্ট পরিমাণ আয়রন যুক্ত খাবার না খেলে রক্ত শূন্যতার দেখা দিতে পারে। মাসিকের দিনগুলি সময় প্রতিদিন একটি মেয়ের এক মিলিগ্রাম করে আয়রণ তাদের শরীর থেকে চলে যায়। তাই আপনার বাড়ির ছেলে সন্তানের চেয়ে মেয়ে সন্তানের খাবারের আয়নের চাহিদা খুব বেশি। আর এই বাড়তি আয়রন টুকু যদি আপনার মেয়েকে দিতে চান তাহলে নিয়মিত সবুজ শাক খাওয়ান এবং কচু শাক কচু মাংস, কলিজা, এবং ডিম সহ বিভিন্ন রকমের ফল যেমন বেদেনা কিসমিস ইত্যাদি খেতে দিন।
- একজন কিশোরীর শারীরিক বৃদ্ধির জন্য এবং শক্তিশালী মজবুত হার তৈরির জন্য টিনেজারদের প্রচুর ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি দরকার। আর বয়স বাড়লে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের অস্টিওপোরোসিস বা হার ক্ষয়ের ঝুঁকি বেশি বেড়ে যায়। কেননা একজন মেয়েকে সন্তান ধারণ করতে হয়, এবং তার নিজের বুকের দুধ খাওয়াতে হয় যখন সেটার সাথে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম এর দরকার হয়। তাই মজবুত শক্তিশালী হাড় তৈরির জন্য তাকে খেতে হবে, দুধ, এবং দুগ্ধ জাতীয় যেই খাবার গুলো আছে। যেমন, দই পনির এবং পাতাওয়ালা সবুজ শাকসবজি সহ কাটাযুক্ত ছোট ছোট মাছ ইত্যাদি।
- সঠিক ভাবে বেড়ে ওঠা এবং তার পেশির শক্তি বৃদ্ধির জন্য নয় থেকে ১৩ বছর বয়সী মেয়েদের দৈনিক নিম্নে ৩৪ গ্রাম আমিষ খাওয়া দরকার আর ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সের মেয়েদের দৈনিক ৪৫ গ্রাম খাওয়া দরকার। তাই প্রত্যেকদিন, মাছ মাংস ডিম দুধ ও ডাল জাতীয় খাবার দেওয়া উচিত। আর এটা স্বাভাবিক যে যদি কোন মেয়ে ছোটবেলায় খেলাধুলা একটু বেশি করে তাহলে তার আমি শুধু চাহিদা আরো বেশি হয়ে থাকে। তাই খেতে হবে বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ শাকসবজি ও ফল।
- একজন কিশোরীর হঠাৎ করে হরমোন জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। মাসিক অনিয়মিত হয়ে যদি পড়ে তাহলে মুখে লোম গজাতে পারে। তাই যেগুলা অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার যেমন, মিষ্টান্ন বাজারজাত কেক পেস্ট্রি, ফাস্টফুড কোমল পানীয় ইত্যাদি জাতীয় খাবার এগুলা কম খাওয়াই ভালো। আবার এখন আজকাল দেখা যাচ্ছে অনেক কিশোরী স্লিম হওয়ার জন্য ডায়েট করে যা খুবই ক্ষতিকর তাদের জন্য, সুতরাং এগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে।
বয়স্ক মানুষের খাদ্য তালিকা
আসলে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক ২৭০ থেকে প্রায় ৪৫০ গ্রাম আটা ভুট্টা চাল ইত্যাদি গ্রহণ করা উচিত। আর তার সাথে সাথে ৩০০ থেকে প্রায় ৬০০ গ্রাম শাকসবজি গ্রহণ করা, এবং১৫০ - ৩৫০ গ্রাম মাছ মাংস কিংবা ডিম খাওয়া উচিত। এছাড়া সুস্থ থাকার জন্য এই মানুষটিকে প্রত্যেকদিন ৩০ থেকে প্রায় ৪৫ মিলি তেলও চর্বি এবং ৩০ থেকে প্রায় ৬০ গ্রাম বিভিন্ন ধরনের ডাল জাতীয় খাবার গুলো খাওয়া উচিত। নিম্নে একজন বয়স্ক মানুষের খাবারের তালিকা বর্ণনা করা হলো-
- বয়স্কদের খাদ্য তালিকার প্রথমেই তাদের রান্না করা খাবার গুলোর মধ্যে খাঁটি সয়াবিন তেল ব্যবহার করতে হবে।
- তাদের খাদ্য তালিকায় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী ঘি থাকতে হবে
- তাদের খাদ্য তালিকায় ছয় থেকে তৈরি বিভিন্ন রকমের খাবারগুলো খুবই উপকারী তাদের জন্য, এগুলা থাকতে হবে।
- তাদের কে শুধুমাত্র মাছ-মাংস খেতে দিলেই তাদের শরীর ঠিকই আসবে না। তাদেরকে শাকসবজি ও বেশি বেশি খেতে হবে।
- বিশেষ করে মুরুব্বীদের অনেক সময় দাঁতের সমস্যা হয় এজন্য তাদের খাবারগুলোকে নরম করে দিতে হবে।
- তাদেরকে মুরগির চিকেন না দিয়ে তার বদলে তাদেরকে বিভিন্ন রকমের মাছ খাওয়াবেন।
- এবং চিকেনের পরিবর্তে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কতটুকু ডিম খাওয়া লাগবে ,ততটুকু ডিম তাকে খাওয়াবেন।
পুরুষের খাদ্য তালিকা
একজন স্বাস্থ্যবান পুরুষের খাবারের তালিকা বলতে গেলে, সে সব রকমের খাবারই খেতে পারবে শুধু তেলেভাজা জাতীয় জিনিস কম খাওয়া। নয়তো সে প্রত্যেক দিন মাছ মাংস ডিম দুধ ইত্যাদি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যতোটুকু পরিমাণ দরকার ঠিক ততটুকু পরিমাণ সে খাবে তার বিএমআই এবং বি এম আর অনুযায়ী।
- প্রত্যেকদিন নিম্নে এক পোয়া থেকে হাফ কেজি চালের ভাত খাওয়া।
- প্রত্যেকদিন সকালে নিয়মিত পরিমাণ মধু পান করা।
- প্রত্যেকদিন খাবারের সাথে পুষ্টিকর জাতীয় খাবার খাওয়া, কেননা প্রত্যেক দিন তাদের খুব বেশি পরিশ্রম করতে হয়।
- প্রত্যেকদিন খাবারের সাথে, তিন বেলায় না হলেও এক বেলায়ে অন্তত মাছ মাংস কিংবা ডিম খাওয়া।
- প্রত্যেকদিন খাবারের সাথে যে কোন তরকারি হলেও সাথে যেন সবজি জাতীয় কিছু থাকা লাগবে।
- প্রত্যেকদিন একজন পুরুষ যে পরিমাণ পরিশ্রম করে, সেই অনুযায়ী তাকে বিশেষভাবে ফলমূল খাওয়ানো।
- প্রত্যেকদিন রাত্রে ঘুমানোর পূর্বে ১ - ২ গ্লাস দুধ পান করা।
- প্রত্যেকদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি একজন পুরুষের পান করা। কারণ পানি তার সকল পরিশ্রমের কারণে যে শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয় সেটি পূরণ করে দেয়।
আশা করি জানতে পেরেছেন বয়স অনুযায়ী খাদ্য তালিকা সম্পর্কে এবং একজন পুরুষের প্রত্যেকদিন খাবারের তালিকায় কি কি থাকা উচিত। অর্থাৎ একজন পুরুষ তার প্রত্যেক দিনের খাদ্য তালিকায় সব রকমের খাবার খাওয়া উচিত। শুধু তেলে ভাজা জিনিসগুলো না খাওয়া।
ওজন অনুযায়ী খাদ্য তালিকা
প্রত্যেকটা মানুষের, তাদের উচিত যে তাদের শরীরের ওয়েট মোতাবেক তাদের দৈনন্দিন জীবনের খাদ্য তালিকা নির্বাচন করা। কারণ তাদের শরীরের উপর ভিত্তি করে তাদের খাবারগুলো খাওয়া উচিত কেননা, সেটা তাদের সুস্বাস্থ্য জীবন যাপনের উপর নির্ভর করে থাকে। সুতরাং যে নিয়মে ওজন অনুযায়ী খাদ্য তালিকা তৈরি করবেন। সেগুলো হলো-
সকালের খাবারঃ বলা হয় যে সকালের খাবার আমাদের শরীরের বিভিন্ন শক্তি জগতে সবচাইতে বেশি সহযোগিতা করে। আসলেই কথাটি ঠিক। সকালের নাস্তাই আমাদের চিনি ছাড়া চা কিংবা কফি, লাল আটার রুটি এবং ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত যেটা কিনা আমাদের হজম করতে সহযোগিতা করে। যেমন এক বাটি সবজি এবং তেল ছাড়া ডিম পোচ খাওয়া। যারা রুটি খেতে পারেন তারা রুটি খাবেন। এবং যথাসম্ভব চিনি ছাড়া সকালের নাস্তা করার চেষ্টা করবেন।
আরো পড়ুনঃ কোমল পানীয় খাওয়ার উপকারিতা কী
দুপুরের খাবারঃ আমাদের মাঝে অনেকেই এরকম ধারণা করে থাকে যে ভাত খেলেই ওজনটা বেড়ে যায়। আসলে এ ধারণাটা সম্পূর্ণ ভুল। কেননা আমাদের দৈনন্দিন পরিশ্রমের জন্য শরীরে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ শর্করা জাতীয় খাবারের প্রয়োজন হয়ে থাকে। আর তার একটি বড় অংশ হচ্ছে ভাত এজন্য দুপুরের খাবারে এক বাটি ভাত অর্থাৎ৫০ - ৭০ গ্রাম এতটুকু খাবার খেতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে এর থেকে যেন বেশি খাওয়া না হয়। আর আমিষের কথা তো বাদই দিলাম। আমি এর জন্য কম তেল মসলাযুক্ত মাছ কিংবা মাংস ইত্যাদি খাবার খেতে পারেন তবে সেটাতে ঝোল বেশি রাখতে হবে। এবং এক বাটি সবজি যেন দুপুরের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই থাকে। সবশেষে যদি পারেন টক দই খাওয়ার চেষ্টা করবেন কারণ সেটি খাবারের পরিপূর্ণ হজমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা করে।
বিকেলের নাস্তাঃ আসলে বিকেলের নাস্তায় বলতে গেলে আপনি যে বললাম যে চিনি ছাড়া আপনি চা কফি এগুলা খেতে পারেন। কিংবা ফাইবারযুক্ত দুই পিস বিস্কিট খেতে পারেন।
রাতের খাবারঃ আপনার ওজন অনুযায়ী আপনার খাদ্য তালিকায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ভাত। যেটা কিনা রাত্রে অবশ্যই বর্জন করবেন। কারণ রাতের খাবারযদি ভাত হয় তাহলে সেটা আমাদের শরীরের ওজন অনেকটা বৃদ্ধি করে তোলে। এজন্য রাতের খাবারের ভাতের বদলে আপনি দুইটা থেকে তিনটা করে রুটি আপনি খেতে পারেন সাথে এক বাটি সবজি কিংবা মাছ কিংবা মুরগির মাংস খাওয়া যেতে পারে। সাথে যদি পারেন তাহলে ২০০ গ্রাম টক দই খেতে পারেন।
তো আশা করি জানতে পেরেছেন বয়স অনুযায়ী খাদ্য তালিকা তে কি রাখা উচিত। বা ওজন অনুযায়ী খাদ্য তালিকা সম্পর্কে।
সুস্বাস্থ্যের জন্য খাদ্য তালিকা
আমাদের জীবনের সকলেরই প্রয়োজন মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা। তোর শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে আমাদের প্রয়োজন সুস্বাস্থ্য খাদ্য। যেটা আমাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থ থাকতে সহযোগিতা করবে। আর আমরা সকলেই জানি যে সুস্বাস্থ্যের জন্য আমাদের খাদ্যের প্রয়োজন। সুস্বাস্থ্যের জন্য আমাদের বিভিন্ন ধরনের রোগমুক্ত সুস্থ শরীরের সাথে ভয়, হতাশা, কিংবা বিষন্নতা এবং মানসিক চাপমুক্ত থাকা প্রয়োজন। চলুন জেনে আসি সুস্বাস্থ্যের জন্য আমাদের খাদ্য তালিকায় কি কি থাকা দরকার।
- প্রত্যেকদিনের খাদ্য তালিকা আপনি বিভিন্ন ধরনের বাদাম রাখতে পারেন। যেমন চিনা বাদাম, কাজুবাদাম, কাঠ বাদাম, ইত্যাদি যে ধরনের বাদাম গুলো রয়েছে, সব রকমের বাদাম গুলো রাখা।
- প্রত্যেক দিনের খাদ্য তালিকায় আমাদের মৌসুমের সবজি গুলো রাখা প্রয়োজন। যেমন কচু শাক, কাঠোয়া ডাটা, বাঁধাকপি, বরব্টি, ইত্যাদি আরো যে সকল মৌসুমী সবজিগুলো রয়েছে এই সকল সবজিগুলা আমাদের খাদ্য তালিকায় রাখা।
- প্রত্যেকদিন খাদ্য তালিকায় তিন থেকে চারটি করে ডিম থাকতে হবে।
- মৌসুমী যেই ফলগুলো রয়েছে এই ফল গুলা আমাদের খাদ্য তালিকায় থাকতে হবে। অর্থাৎ যে মৌসুমে যেই যেই ফল গুলা আমরা পাই। এই সকল ফল গুলা খেতে হবে অর্থাৎ আমাদের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।
- দেশি গরু কিংবা মুরগির মাংস আমাদের সুস্বাস্থ্য খাদ্য তালিকার একটি অন্যতম অংশ। এখন আমাদের প্রত্যেকদিন গরু কিংবা মুরগির মাংস খাওয়াটাও খুবই বেশি চাপের হয়ে দাঁড়ায়। তবুও সপ্তাহে ৩ - ৪ দিন অন্তত মুরগি কিংবা গরুর মাংস থাকা জরুরী।
- প্রত্যেকদিন খাদ্য তালিকায় আমাদের দুধ কিংবা দুগ্ধজাত দ্রব্য জাতীয় খাদ্য থাকা জরুরী।
আশা করি জানতে পেরেছেন যে বয়স অনুযায়ী খাদ্য তালিকা বা সুস্বাস্থ্যের খাদ্য তালিকা জন্য আমাদের কি কি রাখা উচিত। যদি কেউ এই সকল খাবার গুলো তাদের খাদ্য তালিকায় নিয়মিত রাখতে পারে তাহলে ওই সকল ব্যক্তি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবে। আমরা সকলেই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে চাই। এজন্য আমাদের এইভাবে নিয়ম অনুযায়ী সঠিক খাদ্য তালিকায় আমাদের খাবারগুলো খেতে হবে।
সর্বশেষ কথা
প্রিয় বন্ধুরা আশা করি জানতে পেরেছেন বয়স অনুযায়ী খাদ্য তালিকা সম্পর্কে, বা যে কিভাবে আপনি খাদ্য তালিকায় খাবার গুলো রাখলে আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন। অর্থাৎ সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারবেন। আশা করি এই খাদ্য তালিকার নিয়ম গুলো আপনি আপনার পরিবার এবং বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করবেন। যাতে তারা নিজেরা উপকৃত হতে পারে এবং অপরকে উপকৃত করতে পারে।
সুতরাং বন্ধুরা আমার পুরো পোস্টটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে। তাহলে সকলেই কমেন্ট করে জানাবেন। এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন বয়স অনুযায়ী খাদ্য তালিকা সম্পর্কে এই পোস্টটি। আর এরকম নতুন নতুন আর্টিকেল আমি যেন আপনাদের সামনে নিয়ে আসতে পারি আপনারা সকলেই আমার জন্য দোয়া করবেন। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি, সকলেই সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন।
ব্লগার জাফর সাহেবের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url