বিদেশ যেতে কি কি প্রয়োজন ২০২২
প্রিয় পাঠক বৃন্দ, আজকে আপনাদের সামনে আলোচনা করব, বিদেশ যেতে কি কি আমাদের দরকার হয় এই সময়ে। আসলে আমরা অনেকেই জানিনা যে বিদেশে যেতে হলে আমাদের কি কি প্রয়োজন এবং কি কি করনীয়, আর এই সকল বিষয়ে না জানার কারণে আমরা অনেকেই অনেক রকম সমস্যার মধ্যে পড়ে থাকি।
সুতরাং আজকে বিস্তারিত জানবো যে কিভাবে, আমরা বিদেশ যাওয়ার পূর্বে এয়ারপোর্টে কি কি কাজ করা লাগে এবং যাওয়ার নিবন্ধন কিংবা সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য নিবন্ধন সহ কি কি প্রয়োজন, তো বিদেশ যেতে কি কি প্রয়োজন, এই সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানতে পুরো আর্টিকেলটি সম্পন্ন করতে থাকুন।
বিদেশ যেতে কি কি প্রয়োজন ২০২২
প্রিয় পাঠক মন্ডলী বিদেশ যেতে আপনার অনেক গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ কিছু জিনিস প্রয়োজন হবে। তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো বিদেশ যেতে যদি হয় তাহলে আপনাকে একটি পাসপোর্ট অবশ্যই থাকতে হবে। এরপর আপনার প্রয়োজন হবে একটি মেডিকেল সনদের। যেটি কিনা খুবই বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। এরপর আপনার যদি ব্যাংক একাউন্ট থাকে এই ব্যাংক একাউন্টের স্টেটমেন্ট এর প্রয়োজন হবে।
আপনার ছবির প্রয়োজন হবে কয়েক কপি। এবং বিশেষভাবে আপনার আইডি কার্ড কিংবা জন্ম নিবন্ধনের নাম্বার অবশ্যই প্রয়োজন হবে। এবং আপনি কি কারনে কিংবা কিসের জন্য দেশের বাইরে যাইতে চাচ্ছেন সেটার জন্য একটি লিটারের প্রয়োজন হতে পারে। তাছাড়া আপনারা অনেকেই জানেন যে বিদেশ যদি যেতে হয় তাহলে আপনাকে বয়স অবশ্যই ১৮ প্লাস হতে হবে।
আরো পড়ুনঃ কাপড় ডিজাইন করার উপায়
অন্যথায় আপনি বিদেশ যেতে পারবেন না। তাছাড়া আপনার ব্যক্তিগত কিছু জিনিসপত্র এবং ওই দেশে কিছুদিন চলতে হলে আপনার যে সকল জিনিসপত্র দরকার জামাকাপড় থেকে শুরু করে নিয়ে শুকনো কিছু খাবার আপনার নিয়ে যাওয়া ভালো। আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে বিদেশ যেতে আপনার প্রথমে কি কি প্রয়োজন হবে।
বিদেশ যেতে কি কি মেডিকেল করতে হয়
বিদেশ যেতে কি মেডিকেল করতে হয় অনেকেই এটা জানতে চাইছেন। আসলে বিদেশ যাওয়ার জন্য মেডিকেল টেস্ট অনেক জরুরী একটি বিষয়। যেটা কিনা আপনাকে অবশ্যই করতে হবে অন্যথায় বিদেশ যাওয়া আপনার বন্ধ হয়ে যেতে পারে। জন্য ভুল বুঝে বিদেশ যেতে হলে মেডিকেল টেস্টটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
বিদেশ যাওয়ার জন্য আবার শুধু মেডিকেল টেস্টটায় আপনার জন্য যথেষ্ট হবে না। এর সাথে সাথে আরো কিছু ডকুমেন্টের প্রয়োজন হয়ে থাকে। যা উপরে কিছু বলা হয়েছে এবং নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তো এখন আলোচনা করব মেডিকেল করতে হবে। তো প্রথমে বলব যে মূলত মেডিকেল টেস্ট করা হয় আপনি কি শারীরিকভাবে ঠিক আছেন কিনা সেটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য।
এবং এর সাথে সাথে আপনার শরীরে এইচআইভি অথবা ভিডিআরএল এর মত মারাত্মক কোন রোগ ব্যাধি আছে কিনা সেগুলা নিশ্চিত হবার জন্য। আর যদি বলতে যাই মহিলাদের ক্ষেত্রে কি কি করতে হয় মেডিকেলে, তাহলে বলবো মহিলাদের ক্ষেত্রে মেয়েরা আসলে গর্ভবতী কিনা সেটা তারা টেস্ট করে। কেননা বিদেশে যাওয়ার অনুমতি পায় না কোন গর্ভবতী মহিলারা।
কারণ গর্ভবতী মহিলাদের ওই দেশে এলাও হয় না। যদি কিনা গাড়ির মধ্যে কোন রকমের সমস্যা হয়ে যায় কিংবা দেশে গিয়ে কোনরকম সমস্যা হয় এজন্য তারা গর্ববতী মেয়েদেরকে এলাও করেনা। তো প্রিয় পাঠক মন্ডলী আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে বিদেশ যেতে কি কি মেডিকেল করতে হয় আপনা্দের।
বিদেশ যাওয়ার জন্য ৩ দিনের ট্রেনিং
আমাদের মধ্যে অনেকেই জানিনা যে বিদেশ যাওয়ার পূর্বে কাগজ পাতি ছাড়ার পরে তিন দিনের কিছু ট্রেনিং রয়েছে। যে ট্রেনিং গুলো বিদেশ যাওয়ার পূর্বে প্রবাসীদেরকে করতে হয়। তো এখন জানবো যে কি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বিদেশ যাওয়ার পূর্বে আপনি বিদেশে গিয়ে কোন কোন কাজ করতে চান সেইসব কাজের জন্য প্রথমে আপনার প্রশিক্ষণ নেওয়া দরকার।
যেমন ধরেন আপনি বিদেশ গিয়ে কোন ট্রেইলার্সে কিংবা কোন ইলেকট্রিশিনের কাজ করতে চান, তাহলে সেটার প্রশিক্ষণ আপনাকে আগেই দেশে থেকে করে যেতে হবে। কিংবা যদি আপনি বিদেশে গিয়ে যদি মনে করেন যে ড্রাইভিং এর কাজ করবেন তাহলে আপনি দেশে থেকেই ড্রাইভিং এর প্রশিক্ষণ নিয়ে যেতে হবে।
কিংবা আপনি যদি কোন রাস্তার কাজ করতে চান ইঞ্জিনিয়ারিং তাহলে সেটা আপনি দেশে থেকেই প্রশিক্ষণ নিতে হবে। কিংবা ধরুন আপনি কোন রেস্টুরেন্টে কাজ করতে আগ্রহী তাহলে আপনাকে দেশে থেকে রেস্টুরেন্টে কাজের প্রশিক্ষণ নিয়ে অংশগ্রহণ করতে হবে। এক কথায় যদি বলতে চাই যে আপনার বিদেশে গিয়েছি যে কাজ করবেন সেই রকম কাজ করবেন
সেই কাজের প্রশিক্ষণ গুলাই আপনাকে দেশে থেকে নিয়ে যেতে হবে। অন্যথায় আপনি ওই দেশে গিয়ে কোন কাজ করতে পারবেন না। আর যদি আপনি এ দেশে থেকে এই কাজগুলো করে যেতে পারেন তাহলে ওই দেশে এই কাজগুলোর অভিজ্ঞতা আপনার বৃদ্ধি পাবে। আর সেখানে গিয়ে আপনি সকল কাজের সাথে সবকিছু মানিয়ে নিতে পারবেন।
আর ওই দেশে আপনার কাজের ডিমান্ড তারা বেশি দেবে। আর যারা এদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে যাবে না তাদের ডিমান্ডও ওই দেশে কম হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে বিদেশ যাওয়ার জন্য ট্রেনিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও বিদেশ যাওয়ার জন্য কি কি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় সেগুলো কিছু বিস্তারিত আলোচনা করা হলো -
বিদেশ যাওয়ার জন্য যেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ঃ আপনি যদি বিদেশ যাওয়ার ইচ্ছা করেন তাহলে বিদেশ যাওয়ার জন্য আপনাকে ৩ দিনের ট্রেনিং করতে হয়। যে ট্রেনিং এর মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রিশিয়ান ড্রাইভিং, অটোমোবাইল সহ বিভিন্ন রকমের ক্লিনার, এবং বিভিন্ন হোটেল এবং রেস্টুরেন্টের, এ সকল বিষয়গুলো নিয়ে আপনাকে ট্রেনিং দেওয়া হয়ে থাকে।
তাছাড়া আপনি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সহ বিভিন্ন ধরনের অন্যান্য ল্যাঙ্গুয়েজ বিষয়ক প্রশিক্ষণও নিতে পারবেন। তাই অবশ্যই বিদেশ যাওয়ার আগে ৩ দিনের ট্রেনিং কিংবা তার চাইতে বেশি কিছুদিনের হয়, তো এই ট্রেনিং টা করে যাওয়া খুবই জরুরী। তাছাড়াও অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং রয়েছে যেই যেই কাজগুলো আপনি এদেশে গিয়ে করতেছেন এই সকল কাজগুলোরই ট্রেনিং আপনাকে করাবে প্রশিক্ষক।
এয়ারপোর্টে কি কি কাগজ লাগে
আসলে বিদেশ যেতে হলে আপনার পাশে যেই কাগজ গুলা থাকা দরকার, যেমন আপনার নিবন্ধন ফটোকপি এনআইডি কার্ড, এবং সাথে সাথে আপনি যদি কোন টিকা দিয়ে থাকেন তাহলে টিকার কাগজটা নিয়ে রাখবেন। এবং আপনি যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই বিষয়টাও পাসপোর্ট এর সাথে আপনার পাশে রাখবেন। তো এখন এয়ারপোর্টে আপনাকে কাগজ লাগবে, নিম্নে সেগুলো বর্ণনা করা হলো -
- পাসপোর্টে যেই কাগজ এই কাগজটা লাগবে।
- ভিসা সংগ্রহ ও যাচাই করার সময় যে কাগজ দেয় এই কাগজটা লাগবে।
- মেডিকেল রিপোর্ট এর কাগজটা অবশ্যই লাগবে।
- বিদেশ যেতে কি কি মেডিকেল করতে হয় এ সকল মেডিকেল রিপোর্ট গুলা লাগবে।
- ব্যাংক একাউন্টের কাগজ গুলো লাগবে।
- আপনার স্মার্ট কার্ড কিংবা ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ড লাগবে।
- তাছাড়া আপনার এনআইডি কার্ড, কিংবা জন্ম নিবন্ধন এর কাগজপত্র গুলো লাগবে।
- তাছাড়া আপনি যে এই দেশের নাগরিক, আপনার যদি কোন ডোজ এর টিকা দেওয়া থাকে তাহলে এই টিকার কাগজটা সঙ্গে রাখবেন।
বিদেশ যাওয়ার জন্য নিবন্ধন
প্রিয় বন্ধুরা বর্তমানে বিদেশ যাওয়ার জন্য কিছু কিছু ভেসে যাওয়ার জন্য নিবন্ধন এর প্রয়োজন হচ্ছে। যেমন বর্তমানে জর্ডান রোমানিয়া এরকম কয়েকটি দেশে যাওয়ার জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়া চলমান করেছে। এক্ষেত্রে আপনার নির্দিষ্ট স্কেলের ওপর ভিত্তি করে কিন্তু এই কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান আছে। সুতরাং আপনি যেই দেশেই যান না কেন প্রথম অবস্থায় আপনাকে অবশ্যই দক্ষতা মতন কাজ দেখাতে হবে।
সেই সাথে আপনার কত দিনের প্রশিক্ষণ রয়েছে এবং এক্সপেরিয়েন্স কত দিনের রয়েছে সেই বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কেননা অনেক সময় অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে কর্মী নির্বাচন করা হয়ে থাকে সুতরাং নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি তারা জানিয়ে দেয় এবং সেই সাথে কত বছরের এক্সপেরিয়েন্স আছে। তাছাড়া রোমানিয়াতে আপনার কোন কাজে কত বেতন বেশি এবং চাহিদা এটা জানার জন্য,
আগে আপনার নোটিশ কিংবা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি খুব ভালোভাবে পড়ে নিবেন আর তাহলেই নিবন্ধনটা করা সহজ হবে আপনার জন্য। কেননা আপনি যদি অগ্রিম নিবন্ধন করে থাকেন তাহলে কিন্তু কোন কাজই আসতে নাও পারে তাই আপনি যখন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটা পাবেন তখন ওই বিষয়টি ভালোভাবে দেখে পড়ে তারপরে আপনারা নিবন্ধন করার চেষ্টা করবেন। অন্যথায় ধোঁকায় পড়তে পারেন।
আবার আপনারা জানেন যে সরকারিভাবে নিবন্ধন করা ছাড়া কিন্তু কখনোই বিদেশ যাওয়া সম্ভব হয় না। প্রত্যেকটা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির জন্যই কিন্তু নিবন্ধন টা চলমান প্রক্রিয়া থাকে। তাই আরকি বাংলাদেশের জনশক্তি এবং কর্মসংস্থানের মাধ্যমেও আপনারা নিবন্ধন করে বিদেশ যাওয়ার জন্য যে প্রসেস সম্পন্ন করার দরকার সেই প্রসেস সম্পন্ন করতে পারবেন। তাই প্রথম অবস্থাতেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আপনি সরকারীভাবে নিবন্ধনটা সম্পন্ন করবেন।
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিবন্ধন ২০২২
আসলে সরকারিভাবে নিবন্ধন প্রক্রিয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ, বিশেষ করে ২০২২ সালে এটা অধিক বেশি প্রাধান্য পায়। সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিবন্ধন যদি সম্পন্ন করতে চান তাহলে প্রবাসী government bd ওয়েবসাইট রয়েছে সেখানে গিয়ে নির্দিষ্ট বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আপনাকে সম্পূর্ণভাবে পূরণ করতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনি চলমান যে কোন দেশের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আপনার সরকার হবে বিদেশ যাওয়ার যে নিবন্ধন করতে হয় সেটি আপনি করতে পারবেন।
সেক্ষেত্রে অবশ্যই জানতে হবে যে কোন দেশে এবং কি কাজের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি চলমান রয়েছে। এই বিষয়টা আপনাকে ভালভাবে খেয়াল রাখতে হবে। আর প্রবাসী BD যে ওয়েবসাইট রয়েছে সেখানে গেলেই আপনি আপনার বর্তমান এবং রিসেন্ট নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য টা পেয়ে যাবেন সেই অনুযায়ী আপনাদেরকে সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়া নিবন্ধনটা পূরণ করতে দিবে।
আর মনে রাখবেন এটি কিন্তু শুধুমাত্র সরকারি কার্যক্রমের মধ্যেই পরিচালনা করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন কাজের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বিভিন্ন সময় তারা প্রকাশ করে থাকে এটা আপনাকে দেখে নিবন্ধন করতে হবে। তবে এ বিষয়টা আপনাদের ভালোভাবে জেনে রাখা উচিত যে সরকারিভাবে যদি বিদেশ যাওয়ার জন্য কেউ প্রস্তুতি নেই তাহলে এটা মনে রাখতে হবে।
যে, বিদেশে যাওয়ার জন্য কিন্তু বেশি সংখ্যক সিট বরাদ্দ থাকে না। এবং এর রিকোয়ারমেন্ট গুলো সাধারণ শ্রমিকদের জন্য অনেকটাই কঠিন হয়ে যায়। কেননা এখানে বড় বড় স্কিন ডেভেলপ যাদের থাকে শুধু তারা এই সুযোগটা পায়। এখন চলুন জেনে আসি যার জন্য কি কি জরুরী -সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য অবশ্যই প্রথমে আপনাকে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।
এক্ষেত্রে আপনি যে দেশে যেতে চাচ্ছেন সেই দেশের কাজের কি কি দক্ষতা চাওয়া হয়েছে শেষে দক্ষতা গুলো সেখানে তুলে ধরবেন। এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা কি সেগুলা যদি জানতে চায় সে বিষয়েও আপনি নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন। কিন্তু প্রয়োজনে কিছু নথিপত্র সংযুক্ত করা লাগে এগুলো আপনার সঙ্গে রাখবেন যেমনঃ
- আপনার পাসপোর্ট লাগবে।
- আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি লাগবে।
- আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট টা লাগবে।
- দূতাবাসের যেই ঠিকানা এবং ফোন নাম্বার সেটা লাগবে।
- মেডিকেল রিপোর্ট লাগবে।
- পূর্বে কোথাও কাজ করেছেন কিনা তার একটি প্রমাণ পত্র লাগবে।
- আপনার প্রশিক্ষণের সার্টিফিকেট লাগবে।
- আপনার নিবন্ধন আইডি কার্ড এর ফটোকপিটা লাগবে।
- নির্দিষ্ট একটি ব্যাংক একাউন্ট লাগবে
- যদি চাকরি করে থাকেন তাহলে চাকরি ইনভাইটেশন লাগবে।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য নিবন্ধন সহ কি কি কাগজপত্র নিয়ে সাথে থাকতে হবে।
বিদেশ যেতে কত টাকা লাগে
অনেকে জানতে চেয়েছেন যে বিদেশ যেতে কিংবা বাহিরের দেশে যেতে আসলে কেমন খরচ পড়ে, অর্থাৎ কত টাকা করে দিতে হয়। আসলে বিদেশ যাওয়ার খরচ বলতে আপনি কোন দেশে যাবেন সেই দেশে যাওয়ার ওপর ভিত্তি করে আপনার খরচ পড়ে। এখন বিভিন্ন দেশের খরচ ভিন্ন ভিন্ন, যেমন কয়েকটা দেশের খরচের কথা বলি।
যেমন ধরুন কেউ যদি ওমানে যেতে চায়, তাহলে তার নিম্নে.৪ - ৫ লাখ টাকা খরচ পড়বে। আবার কেউ যদি সৌদি আরবে যেতে চাই তাহলে তারও নিম্নে এরকমই খরচ হবে ৩ - ৪ লাখ টাকার মতন। আর সর্বোচ্চ খরচ এখন যদি আপনি আফ্রিকা দেশের মধ্যে কোথাও যেতে চান,
সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ একটু বেশি পড়ে যাবে। এক্ষেত্রে আবার আপনি যদি কুয়েত এর মত দেশে যেতে চান অর্থাৎ এশিয়া মহাদেশের ভিতরে যদি কোথাও যেতে চান, তাহলে আপনার সেখান.১০ - ১২ লাখ টাকার মতন খরচ হবে। তো এটা আপনার যে দেশে যাবেন সেই মহাদেশের ওপর ভিত্তি করে আপনার খরচ পড়বে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে বিদেশ যেতে আপনার কি কি প্রয়োজন লাগবে। এবং ২০২২ সালে এসে আপনার কিভাবে নিবন্ধন করবেন এবং সরকারিভাবে বিদেশ যান তাহলে কিভাবে নিবন্ধন করবেন। এবং এর কাগজপত্র সাথে রাখবেন এই সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে উপরে। এবং এর সঙ্গে সঙ্গে এয়ারপোর্টে আপনার কি কি দরকার হবে,
এবং কোন কোন জিনিস গুলা আপনার সাথে রাখতে হবে। এই সকল বিষয় বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। সুতরাং কোন সময় কোন দালালের খপ্পরে পড়বেন না। আশা করি আপনি সঠিক নিয়ম জানতে পেরেছেন। আর অন্যান্য বিষয়ে জানতে চাইলে কমেন্ট করে জানাবেন। আশা করি আপনাদের বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করব।
ব্লগার জাফর সাহেবের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url