গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় - গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঔষধ
প্রিয় পাঠক বৃন্দ, গ্যাস্ট্রিক এমন একটি সমস্যা যেটি কিনা আমাদের মধ্যে কম বেশি সবাই এটার সাথে পরিচিত। অনেক সময় খাবারের মধ্যে উল্টাপাল্টা কোন কিছু খাওয়ার কারণে আমাদের পেটে বদহজম হয় এবং বদহজম হওয়ার কারণে গ্যাস্ট্রিক হয়। চলুন জেনে আসি গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়।
আমরা অনেকেই চাই যে যখন আমাদের গ্যাস্ট্রিক কম পরিমাণে হয়, তখন যেন সেটা আমরা ঘরোয়া পদ্ধতিতেই গ্যাস্টিকটা দূর করতে পারি। এজন্য আমরা গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় খুঁজি। তো আজকে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় নিয়েই আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় জানতে নিম্নে বিস্তারিত পোস্টটি পড়তে থাকুন।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়
ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় কি এ সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। আসলে আমাদের মধ্যে কম বেশি আমরা সকলেই গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় ভুগি। আর এটা হয় অনেক সময় খাবারের মধ্যে উল্টাপাল্টা কিছু খেলে। অনেক সময় খাবার হজম না হলে এটা বদহজম হয়ে যায় এবং ওই সময় আমাদের বমি বমি ভাব হতে থাকে।
এমনকি গ্যাস্টিক হওয়ার কারণে আমাদের ক্ষুধা মন্দা হয়। এবং পেটে সব সময় ব্যথা করে এবং সবসময় মনে হয় যে পেট ভরে ভরে আছে। সুতরাং কি কি উপায়ে আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করতে পারবেন, চলন নিম্নে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
আরো পড়ুনঃ কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
গ্যাস্ট্রিক দূর করতে আলুর রসঃ আমাদের মধ্যে যদি কারো গ্যাস্ট্রিক হয় আর যদি গ্যাস্ট্রিক দূর করতে চায় ঘরোয়া পদ্ধতিতে তাহলে সর্বোত্তম পদ্ধতি হলো আলুর রস সেবন করা। কারণ আলুতে রয়েছে অ্যালকাইন উপাদান যেটি কিনা গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধান করে দেয়।
আপনি এক থেকে দুইটা আলু নিয়ে সেটি গ্রেট করে নিবেন। নেওয়ার পরে আপনি গ্রেড করা আলু থেকে রস বের করে নিন। তারপর আলুর রসের সাথে গরম পানি মিথ্যার করে নিবেন। আর এই পানিটা প্রত্যেকদিন তিনবার করে পান করবেন। প্রত্যেক বেলাতে খাবার খাওয়ার অন্তত আধা ঘন্টা আগে আলুর রস খেয়ে নিন। এভাবে অন্তত দুই সপ্তাহ পান করুন এই পানিটা।
গ্যাস্ট্রিক দূর করতে দইঃ প্রত্যেকদিন এটা নিয়মিত করে সেবন করুন দুই থেকে তিন চামচ করে। দই এমন একটি খাবার যেটি পাকিস্তানি ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে এবং আপনার গ্যাস্ট্রিক ভালো করার এটি একটি অন্যতম ঔষধ। আরে ছাড়াও বিভিন্নভাবে আমাদের শরীরের রোগ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে তোলে। আপনি যদি পারেন তাহলে এর সাথে কলা কিংবা মধু একসাথে করে খেতে পারেন এটিও আপনার সমস্যার সমাধান করবে।
গ্যাস্ট্রিক দূর করতে আদাঃ আমরা জানি যে আদাতে রয়েছে এমন কিছু উপাদান যেটি কিনা আমাদের গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় অনেক উপকারী। অনেক সময় আদা খেলে আমাদের বমি বমি সমস্যাটা দূর হয়ে যায় এবং বদহজম সমস্যাটাও সেরে যায়। যদি পারেন আদার রসের সাথে মধু মিক্সার করে খেতে পারেন, আর এটি খাবেন প্রত্যেকদিন দুপুরে এবং রাতে খাওয়ার পূর্বে।
এছাড়াও আদা কুচি করে আপনি পানিতে ফুটিয়ে নিন, নেয়ার পরে ১০ মিনিট রেখে দিন রেখে দেওয়ার পরে সামান্য পরিমাণ মধু মিশিয়ে চায়ের মতো করে খেয়ে নিন। হে পানিটা অর্থাৎ এই চায়ের মত করে এই জিনিসটা প্রত্যেকদিন ২ - ৩ করে সেবন করুন। আপনি চাইলে প্রত্যেকদিন আস্ত আদায় ধুয়ে কেটে খেতে পারেন। এতে করে আপনার গ্যাস্ট্রিক সমস্যা অনেকটাই দূর হয়ে যাবে।
গ্যাস্ট্রিক দূর করতে দারচিনিঃ এমন একটি উপকারী জিনিস যেটা কিনা আপনার গ্যাস্ট্রিক দূর করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। আপনার এসিডিটি এবং পেটের ব্যথা সমস্যার সমাধান করবে তাৎক্ষণিক সময়ের মধ্যেই। আপনি কফি কিংবা ওটমিল দুধ কিংবা গরুর দুধ যখন খাবেন এর সাথে দারচিনি মিক্সচার করে খেতে পারেন এতে করে আপনি ভালো একটি ফলাফল পাবেন। এছাড়াও আপনি দার্জিলিং গুরুপ ফুটিয়ে থেকে মধুর সাথে মিক্সচার করে চায়ের মত করে খেতে পারে। এতে আপনার সমস্যার সমাধান হবে।
গ্যাস্ট্রিক দূর করতে ব্রেকিং সোডাঃ ব্রেকিং সোডা এমন একটি উপাদান যেটি আপনার পাকস্থলীতে এসিডিটির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করবে এবং গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দূর করতে অনেকটা কাজ করবে। নিয়ম হলো-প্রত্যেকদিন এক থেকে চার চা চামচ বেকিং সোডা আপনি ১/২ গ্লাস কিংবা এক গ্লাস পানিতে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপরে সেই মিশ্রনকৃত পানিটি, পান করুন এবং দেখবেন দ্রুত একটি ফলাফল পাচ্ছেন।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে আপনারা গ্যাস্টিক দূর করতে পারবেন, এবং কি কি পদ্ধতিতে খেলে দ্রুত গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকে বাঁচতে পারবেন।
গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঔষধ
গ্যাস্ট্রিক দূর করার অনেক গুলা উপায় রয়েছে তার মধ্যে ঘরোয়া কিছু উপায় আমরা জেনেছি, এবার চলুন জেনে আসি কি কি ঔষধ সেবন করলে আমরা দ্রুত গ্যাস্ট্রিক থেকে বাঁচতে পারব। এটি মূলত পেপটিক আলসার কারণে হয়ে থাকে, যেহেতু এটি পাকস্থলীর একটি সমস্যার জন্য এসিডিটি দূর করার যে ঔষধগুলো রয়েছে এগুলো সেবন করা উচিত।
গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা মূলত বুক জ্বালাপোড়া করা কিংবা বদহজমের সমস্যায় আমরা, একটি ওষুধের সাথে সবাই কমবেশি পরিচিত আর সেটি হলো ওমিপ্রাজল। এটি আপনার পাকস্থলীর যেকোন রকমের আলসার জাতীয় চিকিৎসায় প্রতিরোধের জন্য তুমি প্লাজল ব্যবহার করা হয়। আর এটি একটি ভালো কোম্পানির ঔষধ কোম্পানিটির নাম হল ইন হিবিটর ( পিপিআই ) গ্রুপের।
আরে ঔষধ গুলোকে মূলত আমরা গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ নামেই চিনি। এছাড়াও গ্যাস্ট্রিকের বিভিন্ন ঔষধ রয়েছে যেগুলো আপনারা সেবন করলে দ্রুত গ্যাস্ট্রিক থেকে বাঁচতে পারবেন। চলুন নিম্নে কয়েকটি গ্যাস্ট্রিক ট্যাবলেট এর নাম গুলো জেনে আসি।
- ডমস্টপ -১০ এমজি Tablet ( Domstop 10 MG Tablet )
- সেজভম- ১০ এমজি Tablet ( Cezvom 10 MG Tablet )
- ডমপেরিডন- ১০ এমজি Tablet ( Domperidon 10 MG Tablet )
- নউসডান- ১০ এমজি Tablet ( Nausdan 10 MG Tblet )
এছাড়াও এই ওষুধগুলো যদি আপনার সেবন করেন তাহলে দ্রুত গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকে বাঁচতে পারবেন। আর তাছাড়া যদি এলাপতি কোন ওষুধে কাজ না করে তাহলে আপনি হোমিওপ্যাথিক যে কোন ঔষধ সেবন করতে পারেন এতে করে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা খুব দ্রুত শেষ না হলেও একটু দেরি হলেও সেরে যাবে। আর এছাড়াও যদি আপনারা ঔষধ সেবন করতে না পারেন তাহলে এর চাইতে কি ভালো পদ্ধতি হলো,
আপনারা ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় জেনে আপনারা সেগুলো সেবন করতে পারেন। আর উপরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার জন্য ঘরোয়া কিছু উপায় আলোচনা করা হয়েছে, ওই গুলার মধ্যে সবচাইতে উপকারী হলো কালোজিরা খাবেন যেটি গ্যাস দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিস্তারিতভাবে আশা করি এগুলো দেখে আপনারা বুঝতে পারবেন। আর তাছাড়া যদি গ্যাস্ট্রিক অর্থাৎ পেপটিক আলসার এর সমস্যাটা যদি খুব বেশি গুরুতর হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করবেন।
গ্যাস্ট্রিক দূর করার খাবার
আমরা সকলেই গ্যাস্ট্রিক দূর করার জন্য কত না কত কি খায় এবং কত রকমের ঔষধি খায় কিন্তু কোন কমার কথাই নেই। শুধু টাকা দিয়ে ওষুধ কিনি, কিন্তু আসলে কখনো এটা ভাবি না যে আসলে গ্যাস্টিক টা হয় কিসের জন্য আমাদের। আসলে আমাদের কিছু কিছু খাদ্যাভাস চেঞ্জ করতে হবে যেগুলা খাওয়া ছেড়ে দিলে আমরা অনেকেই গ্যাস্ট্রিকের অর্ধেক সমাধান পেয়ে যাব।
সুতরাং যে সকল খাবার খেলে আপনাদের বদ হজম হয় সে সকল খাবার গুলো যেমন ভাজাপোড়া জাতীয় কিংবা ফাস্টফুড জাতীয় কিছু খাবার হয়েছে যেগুলা খেলে অনেকেরই বদহজম হয় এ সকল খাবার গুলো পরিহার করতে হবে। অন্যথায় গ্যাস দূর করার জন্য আমরা যত ধরনের খাবারই খাই না কেন গ্যাস্ট্রিক দূর হবে না। সুতরাং চলুন জেনে আসি যে ৫টি খাবার খেলে আপনি আপনার গ্যাস্ট্রিক কে চিরতরের জন্য, গ্যাস্ট্রিকের হাত থেকে বাচতে পারবেন।
- পুদিনাঃ পুদিনা এমন একটি খাবার যেটি কিনা আপনার যদি কখনো পেট ক্ষেপে থাকে তাহলে পেট ফাঁপার সমস্যা থেকে আপনি মুক্তি পাবেন যদি পুদিনা পাতা খান। কারণ এটি খেলে এটি আপনার পেটের মধ্যে গ্যাস জমতে বাধাগ্রস্ত করে। অর্থাৎ এটি ধরতে গেলে পেরামেন্ট অয়েলে থেকে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি, এবং এন্টি ব্যাকটেরিয়াল যৌগ রয়েছে যেটি আপনার গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দূর করতে সহায়তা করবে দূর করতে সহায়তা করবে।
- তুলসীপাতাঃ আপনার পেটের যেকোনো রকমের সমস্যা দূর করতে হলে আপনি তুলসী পাতার ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এটি বড় পুরনো যুগের ঔষধ। এটি আপনার গ্যাস্ট্রিক নিউকচার প্রধা ও কমানোর ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে বলে গবেষণায় জানা গেছে। আপনি যদি নিয়মিতভাবে প্রত্যেকদিন তুলসী পাতা খান তবে কোন ঔষধি লাগবে না গ্যাস দূর করতে।
- মৌরীঃ এতে এমন একটি জিনিস এটি কিনা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। মৌরি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করার পাশাপাশি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সহায়তা করবে। কারণ মৌরি আমাদের পাকস্থলীর অন্ত্রের যে পেশিগুলো রয়েছে এই বেশিগুলোর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। যার ফলে আমাদের এসিড রিফ্লাক্স এর সকল সমস্যা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যায়।
- ক্যামোমিল টিঃ ক্যামোমিল টি একটি খাদ্য যেটি কিনা গ্যাস্ট্রিকের অন্যতম সমস্যার সমাধান বলে জানা গেছে। আর এই চাটা যদি কোন ব্যক্তি নিয়মিত খায় তাহলে তার কোন রকমের ঔষধ ছাড়াই গ্যাস্ট্রিক দূর হয়ে যাবে। এমন কি প্রত্যেকদিন এটি যদি কেউ পান করে তাহলে তার হজম শক্তি এতটাই বৃদ্ধি পাবে যে সে কল্পনাও করতে পারবে না।
- জিরাঃ কমবেশি আমরা সকলেই যারা নামটি সাথে পরিচিত কারণ এটি আমাদের প্রত্যেকের রান্না ঘরেই সব সময় থাকে। কারণ এটি রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়। তবে অনেকেই জানে না যে এটি আমাদের গ্যাস্ট্রিক দূর করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, এমনকি এটি আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধিতেও কার্যকরী। আর এটা খেলে আপনার এসিডিটির মতো সমস্যা মুখ থেকে মুক্তি পাবেন। এবং যদি মসলা জাতীয় কোন খাবারের সঙ্গে এই জিরা পানি খান তাহলে এটি আপনার, গ্যাস্ট্রিক দূর করতে সহায়তা করবে।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে কোন কোন খাদ্য খেলে আপনারা দ্রুত গ্যাস্ট্রিক থেকে বাঁচতে পারবেন এবং গ্যাস্ট্রিক থেকে বাঁচতে হলে এ খাবারগুলো আপনাকে নিয়মিত খেতে করতে হবে।
গ্যাস্ট্রিক দূর করার ব্যায়াম
বর্তমান সময়ে আমরা প্রায় সকলের ব্যায়াম নামটির সাথে পরিচিত। কারণ এটি আমরা প্রত্যেকদিন সকালেই ঘুম থেকে উঠে শরীর কমানোর জন্য অনেক সময় যাদের ডায়াবেটিস কিংবা অন্যান্য রোগ থাকে। তারা রোগ সারানোর জন্য তারা ব্যায়াম জিনিসটা করে থাকে। তো আমরা অনেকেই জানিনা যে পেটে যদি গ্যাস্টিক হয় তাহলে কি ব্যায়াম করে সেটা সারানো যায় কিনা।
আসলে কেউ যদি মনে করে যে ব্যায়াম করে তার গ্যাস্ট্রিক সারাবে তাহলে তাকে অবশ্যই তার খাদ্যাভ্যাস চেঞ্জ করতে হবে। অর্থাৎ যে সকল খাবার খেলে তার গ্যাস্ট্রিক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে এ সকল খাবারগুলো তাকে পরিহার করতে হবে এরপর তাকে ব্যায়াম করতে হবে। সুতরাং খাবারের রুটিন চেঞ্জ করলেই আমরা ব্যায়াম করতে পারলেই আমার গ্যাস্ট্রিক দূর করতে পারবো।
গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা দূর করার উপায়
আমাদের যখন গ্যাস্ট্রিক পছন্দ পরিমাণে বেড়ে যায় তখন আমাদের বুকের মধ্যে ব্যথা হয় এবং মাজার মধ্যে চিনিক চিনিক করে ব্যথা হয়। তো বিশেষ করে বুকের ব্যথাটা বেশি হয়ে থাকে। সুতরাং গ্যাস্ট্রিক দূর করার পাশাপাশি, বুকের ব্যথা কিভাবে দূর করব এই সকল বিষয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো পড়তে থাকুন। আসলে গ্যাস্টিক এমন একটি সমস্যা,
যেটি কিনা আমাদের পেপটিক আলসারের কারণে হয়ে থাকে। আর এই পিকটি গালসার টা হয় অনেক সময় খাদ্যাভাসের মধ্যে গ্যাস জাতীয় খাদ্য বাস রাখলে। সুতরাং গ্যাস্ট্রিক যদি কোন ব্যক্তি প্রচন্ড পরিমাণে বেড়ে যায় তাহলে তখন ওই ব্যক্তির বুকের ব্যথা শুরু হয়ে যায়। তো কেউ যদি বুকের ব্যথা থেকে রেহাই পেতে চায় তাহলে তাকে সর্বপ্রথম এই, অধিক পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
কারণ পানি একটি এমন ঔষধ যে কিনা গ্যাস দূর করতে অধিক ভূমিকা পালন করে থাকে। এজন্য চেষ্টা করতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা। কারণ সকল ধরনের গ্যাস জাতীয় খাবার কে কিংবা বদহজমকে পানি নিমিষেই শেষ করে দেয়। এজন্য যখনই দেখবেন গ্যাস এর কারণে আপনার বুকের ব্যথা শুরু হয়ে গেছে, তখনই পানি পান করবেন ১ - ২ গ্লাস। আর তাছাড়া আপনি লবঙ্গ যদি পান তাহলে লবঙ্গ টা চিবিয়ে চিবিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
এতে করে আপনার পর্যাপ্ত পরিমাণে যেই গ্যাস্ট্রিক থাকবে সেটা দূর হয়ে যাবে। আর তাছাড়া লবঙ্গের সাথে যদি পারেন এলাচ গুঁড়া মিশিয়ে আপনি চা বানিয়ে এটা সেবন করতে পারেন এতে করে আপনার পেটের মধ্যে কার এসিডিটি অনেকটা কমে যাবে এবং গ্যাস দূর হয়ে যাবে সাথে সাথে আপনার বুকের ব্যথাটাও কমে যাবে। আর এছাড়াও চেষ্টা করবেন উচ্চমাত্রায় আর জাতীয় খাবার খাওয়ার,
আরো পড়ুনঃ কোমল পানীয় খাওয়ার উপকারিতা কী
কারণ এতে করে আপনার পেটের যদি কোন কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে তাহলে সেটি দূর হয়ে যাবে এমনকি সাথে সাথে গ্যাস টাও দূর হয়ে যাবে। উচ্চ আর জাতীয় খাবারের মধ্যে যেমন রয়েছে বাদাম বীজ, সবুজ শাক-সবজি পাট শাক, ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্য নিয়মিত খাবেন। এতে করে আপনার গ্যাস্ট্রিক দূর হয়ে যাবে এবং পাশাপাশি বুকের ব্যথাটাও অনেকটা কমে যাবে।
সর্বশেষ পরামর্শ
প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়, মানুষের গুরুত্বপূর্ণ একটি সমস্যা যেটাকে বলা হয় গ্যাস্ট্রিক। তো এই গ্যাস্ট্রিক টা দূর করতে কি কি উপায় আপনাদেরকে মেইনটেইন করতে হবে এগুলো বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। অর্থাৎ কোন কোন ঔষধ গুলা খাবেন এবং ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি উপরে আলোচনা করা হয়েছে।
এই সকল বিষয়গুলো জেনে আপনারা পুরোপুরি মেনে আপনারা খাওয়ার চেষ্টা করবেন। আশা করি আপনাদের পরিবারে কোন গ্যাসের প্রভাব থাকবে না। আর সব সময় চেষ্টা করবেন গ্যাস জাতীয় যে সকল খাবার গুলা রয়েছে অর্থাৎ যে খাবার গুলা খেলে আপনার পেটে আলসারের সমস্যা হতে পারে এ সকল খাবার থেকে বিরত থাকবেন।
কারণ এই সকল খাবারে অধিক বেশি গ্যাস্টিক হয়। আর আপনি যদি এগুলো খাওয়া না ছাড়তে পারেন, তাহলে আপনি যতই ওষুধ সেবন করেন ঘরোয়া উপায় হলেও তবুও গ্যাস্টিক কমার কোনো সম্ভাবনা থাকবে না। এবং পাশাপাশি আপনারা অধিক পরিমাণ পানি পান করার চেষ্টা করবেন কারণ পানি আপনার গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় এর মধ্যে সবচাইতে বড় একটু ঔষধ।
আমাদের পুরো পোস্টটি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন। এবং আরো এ ধরনের পোস্ট আপনাদের সামনে তুলে ধরব। আজকের মত এখানেই শেষ করছি সকলেই সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন।
ব্লগার জাফর সাহেবের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url