মিষ্টি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রিয় পাঠক মন্ডলী আজকে জানবো মিষ্টি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। আমাদের মধ্যে এখন প্রায় কে না মিষ্টি না খায়? প্রায় এখন মিষ্টির উপরে আসক্ত। কিন্তু আমরা জানি না যে মিষ্টি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি ? তো চলুন জেনে আসি এ সম্পর্কে।
মিষ্টি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কী? এবং এর পাশাপাশি জানবো খালি পেটে মিষ্টি খেলে কি হয় রাতে মিষ্টি খেলে কি হয় এবং যদি অতিরিক্ত মিষ্টি খেয়ে ফেলেন তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার কি হতে পারে বা খাওয়ার পরে মিষ্টি খাওয়ার কি উপকারিতা সম্পর্কে, বিস্তারিত জানতে পুরো পোস্ট করতে থাকুন।
খালি পেটে মিষ্টি খেলে কি হয়
মিষ্টি খালি পেটে মিষ্টি খেলে কি হয় এটা অনেকে জানতে চেয়েছেন। আসলে মিষ্টি কম বেশি এখন প্রায় আমাদের মধ্যে সকলেই খায়। কিন্তু মিষ্টি খাওয়ার যে একটা সঠিক নিয়ম বা সময় রয়েছে, যে সময়টা মিষ্টি খেলে এটি আমাদের জন্য উপকারী হয়। তবে সব সময় যদি আপনি মিষ্টি খান তাহলে সে ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ মুরগির বিরিয়ানি রেসিপি উপকরণ
যেমন আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা সকালে খালি পেটে অর্থাৎ যে কোন সময় খালি পেটে মিষ্টি খান। আসলে খালি পেটে যদি মিষ্টি খান এক্ষেত্রে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে আপনার শরীরে যেই ইনসুলিন রয়েছে, এই ইনসুলিনের মাত্রাটা এক ধাক্কাতেই অনেকটা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা বেশি থাকে।
আর যা কিনা পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় অনেক বড় ধরনের যেকোন বিপদ ডেকে আনতে পারে। এছাড়াও আপনি যদি খালি পেটে মিষ্টি খান তাহলে আরো অনেক বড় বড় ক্ষতির মধ্যে অন্য কোন একটি ক্ষতি হয়, যা কিনা আপনার অগ্নাশয় এর ক্ষতি করতে পারে।
আর আপনি যদি দিনের পর দিন দিনের পর দিন এভাবে খালি পেটে মিষ্টি খেতে থাকেন, তাহলে সে ক্ষেত্রে কি হবে বড় ধরনের একটি সমস্যা আপনার ডায়াবেটিস এটা অনেকাংশে বেড়ে যাবে। এবং এটি রক্ষা করা অর্থাৎ এ থেকে রক্ষা পাওয়া খুবই মুশকিল হয়ে যাবে।
শুধু মিষ্টি নয় অধিকাংশ মিষ্টি জাতীয় খাবারই যদি আপনি খালি পেটে খেয়ে থাকেন তাহলে সেটি আপনার ডায়াবেটিসের মাত্রা আগের থেকে অনেক বেশি বাড়িয়ে তুলবে। তো আশা করি বুঝতে পেরেছেন খালি পেটে মিষ্টি খেলে কি হয়। এবার চলুন জেনে আসি মিষ্টি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
রাতে মিষ্টি খেলে কি হয়
মিষ্টি মূলত আমরা কম বেশি সকলেই খাই, বা মিষ্টি কমবেশি আমরা সকলেই খেতে ভালোবাসি। কিন্তু অনেকে আছে যারা ডায়েটিং এর কারণে মিষ্টি খুব বেশি কম খেতে পারেন না। আবার এরা ছাড়াও অনেকেই আছে যারা আবার মিষ্টি ছাড়া থাকতেই পারে না অর্থাৎ প্রত্যেকটা খাবারের পরেই তাদের জন্য মিষ্টি থাকতেই হবে। অনেকে আছে দিনে অন্তত দুই থেকে তিন বার করে মিষ্টি খাওয়ায় লাগবে।
অর্থাৎ ঐ সকল ব্যক্তিরা ফ্রিজে মিষ্টি তুলে রাখে। অর্থাৎ যখনই তাদের মিষ্টি খেতে মন চায় তখনই তারা মিষ্টি খায়, আর এদের জন্য তো রাতে খাবারের পর একটা করে মিষ্টি নাম দেই। কিন্তু আপনি জানেন কি রাতে মিষ্টি খেলে আপনার কি কি হতে পারে? আবার অনেকেই তো মনে করতে পারেন যে আমার তো ডায়াবেটিস নেই আমি যদি মিষ্টি খায় তাহলে এতে এমন কি সমস্যা হবে?
বা অনেকে এরকম আছে যারা মনে করে আমার ডায়াবেটিস নেই তাহলে আমি মেপে ঝুঁকে কেন খাব? তখন ওই সমস্ত ব্যক্তিরা মিষ্টি খায় প্রাণ খুলে। কিন্তু আপনি হয়তো বুঝতে পারতেছেন না অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার ফলে আপনার ত্বকের পরিমাণ কি কি ক্ষতি হচ্ছে কত পরিমান ক্ষতি হচ্ছে ? যদি জানতেন তাহলে আজ থেকে আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে মেপে ঢুকে মিষ্টি খাওয়ার চেষ্টা করবেন আমার মনে হয়।
আপনি যদি প্রয়োজনের চাইতে বেশি মিষ্টি খান অর্থাৎ আপনার যতটুকু প্রয়োজন তার চাইতেও যদি বেশি মিষ্টি খান এক্ষেত্রে যেমন আপনার ডায়াবেটিস বাড়ে ঠিক তেমনি ভাবে আপনার শরীরের ওজনটাও বেড়ে যাবে। এবং এর পাশাপাশি আপনার ত্বকের প্রচণ্ড ক্ষতি করবে এই মিষ্টি অধিক খাওয়ার কারণে। অর্থাৎ বিশেষ করে যাদের মুখে তৈলাক্তের পরিমাণ বেশি এই সকল ব্যক্তিদের মিষ্টি খাওয়া এখন থেকে বাদ দিতে হবে।
কারণ যে সমস্ত ত্বকের তৈলাক্তের পরিমাণ বেশি ওই সমস্ত ত্বকে কিন্তু ব্রণ বেশি হয়ে থাকে। আর এই ব্রণ বাড়ানোর পাশাপাশি যদি আপনি মিষ্টি খেতে থাকেন তাহলে এটি আরো বেশি পরিমাণে হবে যা কিনা আপনার মুখ দেখতে অনেকটাই খারাপ দেখাবে। তাই যদি আপনি আপনার ত্বক ভালো রাখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনি প্রত্যেকদিন রাতে মিষ্টি খাওয়া ত্যাগ করবেন,
বা প্রত্যেকদিন নিয়মিত ভাবে মিষ্টি খাওয়া ত্যাগ করবেন। আসলে আপনারা কি জানেন যে কেন মিষ্টি আপনার ত্বকের জন্য বা শরীরের জন্য ভালো নয় এটা বলা হয়। আসলে হয়তো জানেন না মিষ্টির মধ্যে এমন কিছু উপাদান থাকে যা কিনা আপনার শরীরের জন্য একদমই ফিট ্না। তো আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে রাতে যদি মিষ্টি খান বেশি পরিমাণে তাহলে আপনারা কি কি হতে পারে এ সম্পর্কে।
অতিরিক্ত মিষ্টি খেলে কি হয়
বর্তমান সময়ে মিষ্টি খান না এমন কোন ব্যক্তি পাওয়া খুবই কঠিন। অর্থাৎ মিষ্টি প্রত্যেকটা ব্যক্তির কাছে এখন খুব বেশি প্রিয়। তো আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে এরকম মিষ্টি খুব বেশি ভালোবাসেন। আর এই সময় আমরা অনেক বেশি মিষ্টি খেয়ে থাকি। হতে পারে সেটি সরাসরি মিষ্টি কিংবা মিষ্টি জাতীয় কোন খাবার।
আরো পড়ুনঃ কলার উপকারিতা - কলার অপকারিতা
আসলে কি জানেন যে অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার ফলে এটি আপনার শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকারি বা এটি আপনার শরীরের জন্য কি কি ক্ষতি করে? হয়তো অনেকেই জানেন না কিন্তু মিষ্টি ঠিকই খেয়ে যান পরিমাণের বাহিরে। আবার অনেকেই আছে যারা মিষ্টি খারাপ প্রতিযোগিতা করে থাকে,
যে কে কত বেশি মিষ্টি খেতে পারে। আসলে এটা করার কারণে যে ব্যক্তি তার নিজের মধ্যে কতটা রোগ নিয়ে আসতেছে এটা সে বুঝতে পারতেছে না। তাহলে চলুন অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার ফলে আপনার কি কি ক্ষতি হতে পারে এই সমস্ত বা কি কি হয় খেলে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসি।
- অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার ফলে গবেষকতা জানিয়েছেন যে এটি আপনার শরীরের লিপো প্রোটিন বা লিপোজ তৈরি থাকে অধিক পরিমাণে যা কিনা আপনার শরীরের জন্য একদমই ভালো নয়।
- অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার ফলে যাদের ব্লাড প্রেসারের সমস্যা আছে এই সমস্ত রোগীদের ব্লাড প্রেসার বেড়ে যায়। কেননা মিষ্টির মধ্যে থাকা কোলেস্টেরল তার এই ব্লাড প্রেসার বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে।
- অনেক সময় দেখা যায় অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার ফলে কোন কোন ব্যক্তির হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুকি ও বেড়ে যায়।
- অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার ফলে এটি আমাদের মস্তিষ্কের মধ্যে এক ধরনের নেতিবাচক নেশার সৃষ্টি করে। যা কিনা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন মিষ্টি খাওয়ার ফলে এটির গ্লুকোজ আমাদের মস্তিষ্কে পৌঁছায় না হলে আমাদের স্মৃতিশক্তির অনেক সময় বিভ্রাট ঘটতে পারে। এটা হয় মূলত অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার ফলে।
- অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার ফলে বিশেষ করে যাদের ব্লাড সুগার রয়েছে এই সকল ব্যক্তিদের ব্লাড সুগার এর লেভেল বেড়ে যেতে পারে অর্থাৎ ওই সময় ডায়াবেটিস এর ঝুকি কয়েক গুণ বেড়ে যেতে পারে।
- অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার ফলে গবেষণায় গবেষকরা জানিয়েছেন যে এতে মানুষের শরীরের মধ্যে আলিস ভাব সৃষ্টি হয়ে থাকে।
- অনেক সময় অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার ফলে বেশ কিছুক্ষণ ক্ষেত্রে পেটের মধ্যে গ্যাসের সৃষ্টি হয়, আর এই গ্যাসটা খুব সহজেই দূর হতে চায় না।
- অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার খেলে এটি আপনার ইমিউনিটি বা শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে নেতিবাচক প্রভাব এনে দেয়
আশা করি বুঝতে পেরেছেন, বা জানতে পেরেছেন যে, অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার ফলে এটি আপনার কি কি ক্ষতি হতে পারে বা অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া আপনার জন্য উচিত কিনা বা মিষ্টি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি এ সম্পর্কে।
মিষ্টি খেলে কি ওজন বাড়ে
অনেকে জিজ্ঞাসা করেছেন যে ভাই আমি মিষ্টি খেলে কি ওজন বাড়ে? এটা একটি স্বাভাবিক প্রশ্ন কেননা মিষ্টি এখন তাই কম বা বেশি সকলে খায়। কিন্তু অনেকেই জানি যে মিষ্টি খেলে আসলে আমাদের ওজন বেড়ে। আসলে গবেষকরা কিছুদিন পূর্বে নতুন একটি বিষয় জানিয়েছেন এটি হয়তো সকলেই জানেন না যে দিনের মধ্যে এমন কিছু কিছু সময় রয়েছে যে সময় যদি আপনি মিষ্টি খান,
সেক্ষেত্রে আপনার ওজন বাড়ার সমস্যা এই সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে না বা ভুগতে হবে না। তাহলে চলুন জেনে আসি কোন সে সময়টি যে সময়টি মিষ্টি খেলে আমাদের ওজন বাড়ে না। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে দিনের মধ্যে যদি আপনি বিকেলে এবং যদি সকালে দশটার দিক দিয়ে আপনি মিষ্টি খান সে ক্ষেত্রে আপনার শরীরে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা কম থাকবে। কেননা এই সময়টি আপনি কাজের শুরুতে এবং কাজের শেষ।
আর এই সময়টি আপনি মিষ্টি খাওয়ার ফলে এটি আপনার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে কাজ করবে। অর্থাৎ এটি খাওয়ার ফলে এটি আপনার শরীরে ওজন খুব বেশি একটা বাড়বে না। বিশেষজ্ঞরা একটি সমগ্র তথ্য দিয়েছেন যে ওজন কমানোর জন্য অর্থাৎ ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আপনাকে অবশ্যই মিষ্টি খেতে হবে। কিন্তু এটি কিভাবে সম্ভব যে মিষ্টি খেয়ে ওজন কমানোর ডায়েটের মধ্যে আনা।
আসলে সম্ভব আর তারা এই বিশেষ খাবারটির পরিকল্পনার নাম দিয়েছেন এগ এন্ড ডেজার্ট ডায়েট। আপনি যদি এই পরিকল্পনাটা এই নিয়মটা মেনে মিষ্টি খান তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার শরীরের ওজন বাড়বে না। আর এই সময়টি হচ্ছে সকালের নাস্তায় যদি কেউ মিষ্টি খায় সে ক্ষেত্রে তার ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে বা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কিন্তু কোন ব্যক্তি যদি সব সময় মিষ্টি খায় সে ক্ষেত্রে তার শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব না অর্থাৎ নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাবে।
মিষ্টি খেলে কি গ্যাস হয়
আসলে মিষ্টি এমন একটি খাবার যা যদি কেউ কন্ট্রোলেও রাখতে চায় সেটা সম্ভব হয় না। কিন্তু আসলে মিষ্টি খুব বেশি পরিমাণে যখন কোন ব্যক্তি খেয়ে ফেলে, তখন সে ক্ষেত্রে কিন্তু তার পেটে প্রচন্ড পরিমাণ গ্যাসের সৃষ্টি হতে পারে। যদিও যেকোন রকমের খাবার খেলে পেটে গ্যাসের সৃষ্টি হয় কিন্তু, মিষ্টি খেলে সেক্ষেত্রে বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে এটি বেশি হয় কখন জানেন ? শেষপাতে""
অনেকেই হয়তো জিজ্ঞাসা করবেন যে ভাইয়া শেষ পাতে আসলে কোন সময়? হ্যাঁ শেষপাতে, অর্থাৎ আপনি যখন কোন বাসা বাড়িতে কিংবা কোথাও যদি দাওয়াত খেতে যান তখন যদি খাওয়া দাওয়ার পরে আপনি মিষ্টি খান, তখন আপনার এই গ্যাসের সৃষ্টি হবে আর এটাকে বলা হয় শেষপাত। কারণ আপনি যখন কোন খাবার দাবার খাচ্ছেন সেটি হচ্ছে যে কোন তেল বা মসলা জাতীয় খাবার।
আর আপনি কি করছেন সেই তেল বা মসলা জাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই মিষ্টি খাচ্ছেন, এক্ষেত্রে তো বোঝা যাচ্ছে যে আপনার গ্যাসের সৃষ্টি হবে। তবে শেষপাতে মিষ্টি খাওয়ার একটি উপকারিতা ও রয়েছে হয়তো এটা আপনারা জানেন না যে আপনি যখন খাবার দাবার শেষ করে মিষ্টি খাবেন তখন এটি আপনার ব্লাড প্রেসার কে আগের থেকে অনেকটা কমিয়ে দিবে।
কেননা শেষপাতে মিষ্টি খাওয়ার ফলে আপনার শরীর থেকে এক ধরনের অ্যাসিড মিশ্রিত হতে থাকে। যার ফলে আপনার ব্লাড প্রেসারটাও আগের থেকে অনেকটা কমে আসে। তো আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে, মিষ্টি খেলে কি গ্যাস হয় কিনা ভাইয়ের পাশাপাশি জানতে পারলেন মিষ্টি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি এই সম্পর্কে।
খাবার খাওয়ার পর মিষ্টি খাওয়ার উপকারিতা
আপনারা কি জানেন? যে খাবার পর মিষ্টি খাওয়ার কি কি উপকারিতা হয়েছে? আমরা কিন্তু মিষ্টি খাই কিন্তু এটা একটা সঠিক নিয়ম রয়েছে। আমরা যদি এই সঠিক নিয়মে মিষ্টি খেতে পারি তাহলে এতে করে আমাদের কিছু উপকারিতা রয়েছে। তো খাবার পর যদি মিষ্টি খান তাহলে আপনারা কি কি উপকারিতা হবে বা খাবার পর মিষ্টি খাওয়ার উপকারিতা কি এ সম্পর্কে চলুন জেনে আসি।
এমন এক জাতীয় খাবার যা কিনা আপনার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রায় শুধু বৃদ্ধি করতে পারে। এছাড়া বৃষ্টিতে কোন পুষ্টি উপাদান থাকে না। তাছাড়া আপনি যখন খাবার খাওয়ার পর মিষ্টি খাবেন সে ক্ষেত্রে আপনার পেটের মধ্যে যে এসিডিটির সৃষ্টি হবে খাবার পরে এই মিষ্টি খাওয়ার ফলে সেই এসিড টা ক্ষরণ হয়ে যাবে। অর্থাৎ আপনার পরিপাক ক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারবে মিষ্টি খাওয়ার ফলে।
আর তাছাড়া আপনারা জানেন যে অতিরিক্ত তেলে ভাজা কোন জিনিস খাওয়ার পরে আপনার শরীরের মধ্যে অতিরিক্ত রক্তচাপ টা আগের থেকে অনেকটা কমে যায়। আর আপনি যখন খাবার পরে মিষ্টি খাচ্ছেন তখন রক্তচাপ আবার দ্রুত শুরু হয়ে যায়, অর্থাৎ স্বাভাবিক মাত্রায় চলে আস। তো আশা করি জানতে পারলেন মিষ্টি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা বা এর পাশাপাশি খাবার খাওয়ার পর মিষ্টি খাওয়ার উপকারিতা কি এ সম্পর্কে।
শেষ কথা
তো প্রিয় পাঠক মন্ডলী, আজকের আলোচনার বিষয় ছিল মিষ্টি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। আশা করি আপনারা জানতে পেরেছেন যে মিষ্টি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি। বা আপনি কোন কোন সময় মিষ্টি খেলে আপনার ক্ষতি হবে না।
বা খাবার খাওয়ার পরে মিষ্টি খেলে এটি আপনার কি কি সমস্যা দূর করতে পারে, বা কি কি হতে পারে। এ সম্পর্কে সুতরাং আশা করি আমাদের পোস্টটি পড়ে আপনাদের কাছে অবশ্যই ভালো লেগেছে। সুতরাং পুরো পোস্টটি পড়ে যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে,
তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। এবং আপনার আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন যেন তারা উপকৃত হতে পারে পোস্টটি পড়ে। সুতরাং আজকের মত এখানেই শেষ করছি সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। খোদা হাফেজ"
ব্লগার জাফর সাহেবের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url