পা ফোলার কারণ ও প্রতিকার
প্রিয় পাঠক বৃন্দ, আজকে আলোচনা করব পা ফোলার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে। মাঝেমধ্যে অনেকেরই পা ফুলে থাকে। তো আপনার যদি পা ফোলে তাহলে আপনার কি করনীয়, বা পা ফোলার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে চলুন জেনে নেয়া যাক।
পা ফোলার কারণ ও প্রতিকার, এবং এর পাশাপাশি হঠাৎ করে যদি পা ফুলে যায় তাহলে কি করণীয় এবং পা ফোলার কি ঔষধ রয়েছে। এবং পা ফোলা কমানোর ব্যায়াম কি? পা ফোলার কারণ ও প্রতিকার সহ এ সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন
পা ফোলা কমানোর ঘরোয়া উপায়
পা কম-বেশি আমাদের সকলেরই ফুলে থাকে অনেক সময় এটি যেকোনো কারণে লাগার ফলে বা অনেক সময় দেখা যায় রগের উপর রোগ উঠলেও এরকম হয়ে থাকে। তো আপনার যদি হঠাৎ করে পা ফুলে যায় এরকম ভাবে তাহলে আপনি কি করবেন। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক পা পোলা কমানোর ঘরোয়া কিছু উপায় সম্পর্কে।
মালিশ করাঃ আপনার যদি পার যে কোনভাবে ফুলে যায় তাহলে অবশ্যই আপনি প্রত্যেকদিন রাতে না ফোলা না কমা পর্যন্ত, প্রত্যেকদিন রাতে মালিশ করবেন। এবং বিশেষ করে সেটি সরিষার তেল কিংবা যদি পারেন অলিভ অয়েল তেল সামান্য একটু গরম করে সেই ব্যথার জায়গায় লাগিয়ে দিবেন। এছাড়াও যদি সে পারেন চেষ্টা করবেন গোসলের পরে ওই ব্যথার জায়গায় তেল দিয়ে মালিশ করাবেন তাহলে এতে করে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
পা উত্তোলন করাঃ অনেক সময় দেখা যায় পানি জমে থাকলে এরকম পায়ের মধ্যে তখন পানি মেয়ে না হওয়ার ফলে, তখন পায়ের মধ্যে অনেকটা ব্যথা অনুভব হয়। এজন্য আপনি অবশ্যই এই গানটি করবেন প্রত্যেকদিন পা উপরের দিকে রাখবেন। ডেকে হাত দিয়ে পায়ের পেশীতে ডলাডলি করবেন। এবং প্রত্যেকদিন এভাবে ৪ থেকে .৫বার মালিশ করবেন।
আরো পড়ুনঃ মাথার খুশকি ও চুলকানি দূর করার উপায়
লেবু পানি ব্যবহার করাঃ আপনারা যদি পা ফুলে থাকে তাহলে আপনি যদি পা ফোলা কমাতে চান তাহলে লেবু পানি যদি আপনি খান এক্ষেত্রে আপনার শরীরের মধ্যকার অতিরিক্ত তরল এবং বিষাক্ত যে পদার্থগুলো রয়েছে এ সকল পদার্থগুলো সব বাহির হয়ে যাবে। এমনকি আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে অনেকটা সাহায্য করবে।
আর এজন্য আপনাকে প্রত্যেকদিন দুই থেকে তিন টেবিল চামচ লেবুর রস উষ্ণ গরম পানিতে মিশিয়ে খেতে হবে। আপনি যদি চান যে একটু স্বাদ করবেন তাহলে একটু মিষ্টি মিশিয়ে নিতে পারেন। এমনকি দিনে আপনাকে ৩ থেকে ৪ বার এই পানিটা পান করতে হবে।
টিট্রীয় অয়েল ব্যবহার করাঃ আপনি যদি আপনার পা ফোলা কমাতে চান তাহলে আপনি এই তেলটি ব্যবহার করতে পারেন। এটা আপনার ত্বককে সরাসরি মসৃণ করে তোলে এবং আপনার শরীরে ব্যথা দূর করে দিবে।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াঃ শুধু আপনার শরীরের পুষ্টিকর খাবারই আপনার শরীরকে সঠিক কার্যকারিতা দিতে পারে না। এজন্য আপনাকে খাবারের পাশাপাশি আপনার শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে লবণের ও প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই লবণ আপনাকে আবার পরিমাণমত খেতে হবে অতিরিক্ত লবণ খেলে আবার অনেক সময় শরীরে পানি জমে যায়। যার কারণে অনেক সময় পায়ের মধ্যে ঘাড়ের মধ্যে ব্যাথা অনুভব হয়। আপনার পায়ে যদি এরকম ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খুব দ্রুত ওষুধ সেবন করবে।
আশা করছি জানতে পেরেছেন তা খোলা কমানোর ঘরোয়া উপায় কি এ সকল বিষয় সম্পর্কে।
হঠাৎ হাত পা ফুলে যাওয়ার কারণ
মাঝেমধ্যে দেখা যায় হঠাৎ করে আমাদের পা ফুলে যায়। আসলে হঠাৎ করে পা কেন ফুলে এরকম টা হয়তো অনেকের জানা নেই। অনেক সময় আবার দেখা যায় অনেকেই এই রোগ নিয়ে খুব একটি টেনশনের মধ্যে পড়ে যায়। অনেক সময় পায়ের মধ্যে যদি পানি জমে থাকে কিংবা খেলতে খেলতে দেখা যায় অনেক সময় পায়ের মধ্যে মাটি ঢুকে যায়।
পায়ের নখের মধ্যে তখন ওই জায়গাতে ব্যথা সৃষ্টি হয়। এছাড়াও যখন শরীরের মধ্যে কিংবা পায়ের মধ্যে মাংস বেড়ে যায় তখন দেখা যায় হঠাৎ করে পা ফুলে গেছে। এছাড়াও অনেক সময় পায়ের উপর রোগ কিংবা রোগের উপর রগ উঠলে দেখা যায় পা হঠাৎ করে ফুলে যায়। অনেক সময় দেখা যায় কারো কারো এক পা ফোলে।
আবার কারো কারো দুই পাপ হলে। এটি একটি বড় কারণও রয়েছে যেটি হল, অনেক সময় ধমনীর মাধ্যমে এটি আমাদের শরীরের রক্ত পায়ের দিকে চলে আসতে থাকে। এই সময় পায়ের রক্ত আর উপরের দিকে ফিরে যেতে পারে না। তাই অনেক সময় সেখানে রক্ত জমে থেকে সেখানে ব্যথা সৃষ্টি হয়। অনেক সময় দেখা যায়,
এই রক্তবিন্দু তখন ফুসফুসে গিয়ে বিশেষভাবে মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে। আর তখন দেখা যায় যে হঠাৎ করে ব্যথার সৃষ্টি হয় এবং তার থেকেই ডিভিডি এর লক্ষণ শুরু হয়ে যায়। তো আশা করছি, হঠাৎ করে পা ফুলে যাওয়ার কারণ কি বা পা ফোলার কারণ ও প্রতিকার এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
পা ফোলার ঔষধ
পা ফোলা এটা কম বেশি আমাদের প্রায় সকলেরই এই রোগটা রয়েছে। তো অনেকেই হয়তো জানেন না যে কিভাবে আপনারা এই পায়ের রোগটা সারবেন। এটি মূলত আরো কিছু কারণে হয়ে থাকে অনেকক্ষণ ধরে যদি কেউ পা ঝুলিয়ে বসে থাকে, তখন দীর্ঘ সময় বসে থাকার কারণে আর পা ঝুলে থাকার কারণে এটি হয়ে থাকে।
এছাড়াও অনেকের অন্তঃসত্তা অবস্থার শেষ হওয়ার প্রায় চার থেকে পাঁচ মাসের পরে অনেকের দেখা যায় পা খুলতে থাকে তবে এই পা ফ ফোলাটা স্বাভাবিক। অনেক সময় দেখা যায় তো আজকে জানবো চলুন পা ফোলার কি কি ওষুধ রয়েছে যেই ঔষধ গুলা খেলে আপনারা আমাদের পা ফোলা কমাতে পারবেন।
তাছাড়াও অনেক সময় দেখা যায় যে বিভিন্ন রকমের ঔষধ অর্থাৎ ব্যথা সারানোর যে কোন ঔষধ খাওয়ার ফলে দেখা যায় পা আগের থেকে অনেকটা ফুলে গেছে। কিংবা অনেকে আছে যারা জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য যে সকল ঔষধ গুলা সেবন করে এ সকল ওষুধগুলো সেবনের ফলেও অনেক সময় পা ফুলে যায়। তো যারা অবশ্যই এই সকল কাজকর্মগুলো করেন।
অর্থাৎ জন্মনিয়ন্ত্রণ রোধক ঔষধ গুলো সেবন করেন কিংবা একটু ব্যথা হলে যে কোন ওষুধ সেবন করেন, এ সকল ওষুধ সেবন করা ছেড়ে দিতে হবে। দেয়ার পরে আপনাকে সঠিকভাবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করে ওষুধ সেবন করতে হবে। তো আশা করছি জানতে পেরেছেন পা ফোলার ঔষধ কি বা কিভাবে আপনারা সেবন করবেন।
দু পা ফোলার কারণ
আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যাদের পা ফোলার অভ্যাস আছে। তো আপনার যদি দুই দুই পা ফুলে যায় তাহলে এটার কারণ কি বা কিসের সেজন্য দুই পা ফোলে। তো দুই পা ফোলার কারণ কি এই সকল বিষয় সম্পর্কে চলুন এবার নিম্নে জেনে নেওয়া যাক। আসলে দুই পা খোলার অন্যতম একটি কারণ হলো যখন কোন ব্যক্তির উচ্চ রক্তচাপ হয়ে যায়,
তখন অনেক সময় দেখা যায় পা ফুলে যায়। অনেক সময় দেখা যায় এমলো ডিপাইন কিংবা এক্সপিরিন এই দুইটা ঔষধ এবং এর সাথে আইবো প্রফেন এই জাতীয় কিছু ঔষধ রয়েছে যেগুলো সেবন করার ফলে দেখা যায় অনেক সময় পা ফুলে গেছে। কিংবা পায়ের পাতা অনেকটা ফুলে গেছে। তো এ সকল ওষুধের মধ্যে থাকে মূলত স্টেরয়েড জাতীয় বিভিন্ন রকমের জন্মনিরোধক ঔষধ থাকে।
এছাড়াও অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন কারণে হয়তো রোগের ওপর রোগ উঠলে পা ফোলা ফোলা ভাব দেখায় এবং তখন, বোঝা যায় যে পায়ের মধ্যে ব্যথার অনুভব হয়। তো আশা করছি জানতে পেরেছেন দু পা ফুলে কিসের জন্য এবং পা ফোলার কারণ ও প্রতিকার এই সকল বিষয় সম্পর্কে।
পা ফোলার হোমিও ঔষধ
পা ফলার এ রোগটা প্রায় এখন কমবেশি সকলেরই দেখা যাচ্ছে। তো আপনারা এই পা ফোলার রোগ কিভাবে সারাবেন এ সম্পর্কে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি বলে দেওয়া হয়েছে উপরে। তো চলুন এবার জানবো পা ফোলার যদি হোমিও কোন ঔষধ ব্যবহার করা যায় তাহলে সেটা কেমন হয়। তা ফোলার জন্য যদি হোমিওপ্যাথিক ওষুধ সেবন করলে কি পা ফোলা কমবে? হ্যাঁ অবশ্যই কমবে।
তবে আপনাকে প্রত্যেকটা ওষুধই সঠিকভাবে সেবন করতে হবে। আপনি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সেবন করেন কিংবা এলোপ্যাথিক ওষুধ সেবন করেন। যে ওষুধটা সেবন করেন না কেন সেটা আপনাকে সঠিক নিয়মে সেবন করতে হবে অন্যথায় যদি আপনি হাজারো রকমের ঔষধ খান কিংবা ভালো চিকিৎসা করে পরামর্শ নিয়েও যদি ওষুধ খান তাও আপনার সেই অসুখ কমবে না,
যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনি তার সঠিক ব্যবহার না করতেছেন বা সঠিক নিয়মে না করতেছেন। তো আপনি যদি আপনার পা ফোলার জন্য হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সেবন করেন তাহলে আপনার পা ফলা আগের থেকে অনেকটা কমবে। কিন্তু হয়তো পা ফোলা কমাটা দেরি হতে পারে কিন্তু যখন কমবে তখন সেটি একবারে কমে যাবে।
আরো পড়ুনঃ দাদ চুলকানি দূর করার উপায়
এজন্য সঠিক হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের কাছে আপনাকে ওষুধ সেবন করতে হবে। যদি সেই ডাক্তারটা বিশ্বস্ত হয় তাহলে সেটি আরো ভালো হয়। এজন্য সব সময় বিশ্বস্ত কোন পরিচিত হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা করাবেন রোগ নিয়ে। তো আশা করছি জানতে পেরেছেন পা ফোলার হোমিওপ্যাথিক ঔষধ কিভাবে সেবন করবেন এ সম্পর্কে।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক মন্ডলী, আশা করছি আমাদের আজকের পা ফোলার কারণ ও প্রতিকার এই পোস্টটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। তো পা ফোলার কারণ ও প্রতিকার এর পাশাপাশি আরো জানলেন পা ফোলার হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সম্পর্কে দুই পাশ হলে কেন কিংবা পা ফোলার ঔষধ কি। অর্থাৎ পা ফুলে গেলে কোন ওষুধ আপনি সেবন করবেন।
এবং আপনার যদি হঠাৎ করে পা ফুলে যায় তাহলে আপনার কি কি করনীয়। এবং পা ফোলার কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তো আশা করছি আপনারা যদি এই পোস্টটি পড়ে উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই এটি আপনারা আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। যেন তারাও পা ফোলার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারে। সুতরাং আজকের মত এখানেই শেষ করছি সকলেই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। খোদা হাফেজ"
ব্লগার জাফর সাহেবের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url