শীতের পিঠা উৎসব - অনুচ্ছেদ class 6
শীতের সময় চলে এসেছে এখন আমাদের জানতেও হবে শীতের পিঠা সম্পর্কে। বিশেষ করে মেয়েদেরকে কেননা তারা পিঠা তৈরি করে। তো শীতের মধ্যে একটি জনপ্রিয় খাবারই হচ্ছে শীতের পিঠা। তো শীতের পিঠা কিভাবে তৈরি করবেন এবং কোন পিঠার কি নাম, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
তো শুধু পিঠার নামই জানব না আরো জানবো বিভিন্ন রকমের শীতের উৎসব সম্পর্কে। শীতের পিঠা অনুচ্ছেদ ক্লাস ৬ এ কি কি রয়েছে এসব সম্পর্কে জানবো। তো শীতের পিটা সহ এই সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন।
শীতের পিঠা অনুচ্ছেদ
বাংলাদেশ মূলত ছয় ঋতুর দেশ বৈচিত্র এবং সৌন্দর্যপূর্ণ এই দেশের ছয় ঋতুর মধ্যে অন্যতম একটি ঋতু হচ্ছে শীতকাল। তো এই মহৎ আসে হেমন্তকালের পরেই। আর এই শীত মূলত এমনভাবে আসে যখন আসবে সকল গাছের পাতাগুলো ঝরে যাবে অর্থাৎ শীত আসার আগমন জানান দিবে। আবার যখন গাছে গাছে নতুন পাতা জন্মানো শুরু করবে,
আরো পড়ুন/জানুনঃ দারুচিনি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
তখন থেকে আবার শীত বিদায় জানানোর আভাস দিয়ে যায়। আর এই শীত পার হলে চলে আসে বসন্তকাল। তো শীতকাল হচ্ছে এমন একটি কাল যেই সময় প্রকৃতি তার রূপ জানান দেয় প্রত্যেকদিন সকালবেলা। তো শীত সম্পর্কে অনেক বললাম। শীতের অনুচ্ছেদ এটি হচ্ছে একটি রচনা অর্থাৎ বর্তমানে ক্লাস ৬/৭ এর ক্লাসের বইয়ে শীতের পিঠা অনুচ্ছেদ সম্পর্কে কিছু অনুচ্ছেদ থাকে।
তো এই শীতের পিঠা নাম অনুচ্ছেদ নামে একটি অনুচ্ছেদ রয়েছে যেখানে হেমন্তকালের ফসল ভরা পুরো মাঠ যখন সিক্ত হয়ে ওঠে তখনই বোঝা যায় যে চারিদিকে ঘন ঘন কুয়াশা এবং চাদর মুড়ি দিয়ে আসতেছে শীত। আর তখন বাংলার এই ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়ে নবান্ন উৎসব। আর যা কিনা চলে আসতেছে আবহমানকাল থেকে।
বাংলার প্রত্যেকটা ঘরে ঘরে পিঠাপুলি খাওয়ার যেই আনন্দঘন পরিবেশ সেই পরিবেশটা শুধু শীত আসলে বোঝা যায়। তাছাড়া শীতের যেই খেজুরের রস এই রসটা শুধু গ্রামেই থাকে। সবুরের মানুষেরা এগুলো পায় না তবে বর্তমানে সময়ে শহরে পাঠানোর জন্য ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে। তো এখন গ্রামে শহরে প্রত্যেকটা জায়গাতেই ঘরে ঘরে শীতের পিঠাগুলি তৈরি হয়।
গ্রামের মেয়েরা নিজেদের দক্ষতার উপর তারা বিভিন্ন রকমের পিঠা তৈরি করে থাকে। তার মধ্যে কিছু সংখ্যক পিঠার নাম হলো, পাটিসাপটা, তেলেভাজা পিঠা, রস পিঠা, ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের পিঠা পুলি। তো এভাবেই বাংলার প্রত্যেকটা ঘর এই সকল রঙিন রঙিন পিঠায় ভরে ওঠে আনন্দময় হয়ে। তো এভাবেই একটি পিঠার অনুচ্ছেদ লিখা যায়। সুতরাং এবার শীতের কিছু পিঠার নাম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যায়।
শীতের পিঠার নাম
শীতকাল এমন একটি সময় ধান কাটার কৃষকেরা যখন ধান কেটে তারা ঘরে ফিরে আসে তখন ঢেঁকিতে আজ শোনা যায় সেটা ভাঙানোর। অর্থাৎ বুঝতে পারতেছেন কিসের কথা বলতে চাচ্ছি। অর্থাৎ ধান তখন ঢেঁকিতে ভেঙ্গে, উৎসবের জানান দিয়ে যাওয়া হয় পিঠাপুলির।
আরো পড়ুন/জানুনঃ এলাচ খাওয়ার সঠিক নিয়ম
অর্থাৎ যেটাকে বলা হয় নবান্ন উৎসব শীতকালের। তাছাড়া শীতকালের মৌসুম বলতে আমরা পিঠাপুলির মৌসুমই বুঝি। তো চলুন এবার বাংলাদেশের জনপ্রিয় কয়েকটি পিঠাপুলির নাম সম্পর্কে জেনে নেই।
- ক্ষীরে ভরা পাটিসাপটা পিঠা
- খেজুরের রসে ভেজানো ভাপা পিঠা
- ভাপা পিঠা
- শাহী ভাবা পিঠা
- খোলা চিতই পিঠা
- কলার পিঠা
- ডিম চিতই পিঠা
- দুধ চিতই পিঠা
- গাজর কপি পাটিসাপটা পিঠা
- সুন্দরী পাকান পিঠা
- তেলেভাজা পিঠা বা পাকান পিঠা
- সিদ্ধ কুলি পিঠা
- ভাজা পুলি পিঠা
- ঝাল পুলি পিঠা
- ছানার পুলি পিঠা
- তিলের পুলি পিঠা
- দুধ পুলি পিঠা
- নারকেল তিলপুলি পিঠা
- ঝিনুক পিঠা
- লবঙ্গ লতিকা পিঠা
- গোলাপ ফুল পিঠা
- দুধে ভেজানো হাত কুলি পিঠা
- লালপোয়া পিঠা
- ঝাল সবজি ভাপা
- এবং সর্বশেষ জামাই পিঠা,
তো আশা করছি বাংলাদেশের জনপ্রিয় কয়েকটি পিঠাপুলি সম্পর্কে আপনারা জানতে পারলেন। তো আপনারা শীত চলে আসছে অবশ্যই এই সকল পিঠাগুলো তৈরি করবেন।
শীতের পিঠা ছবি
1. চিতই পিঠা
2. কুষলি পিঠা
৩, জামাই পিঠা
4. ভাপা পিঠা
5. ভাজা পুলি পিঠা
তো প্রিয় পাঠক, এছাড়া আরো বিভিন্ন রকমের পিঠা রয়েছে যেগুলো আপনারা বাসায় শুধু পদ্ধতি গুলা জানলেই তৈরি করতে পারবেন।
শীতের পিঠা উৎসব
বাংলাদেশ ও ভারত উপমহাদেশে শীতে পিঠার প্রচলন অনেক বেশি, এবং এটি প্রাচীনকাল থেকেই। যখন অগ্রহায়ণ মাস আসে এবং ধান উঠে যায় এরপরে সেগুলো গোলা বন্দি করার পরে শীত চলে আসে এবং তখন মানুষের মনে শক জাগে শীতের নবান্ন উৎসব করার জন্য। এরপর যখন শীত চলে আসে এবং বসন্তের আগমন না আসা পর্যন্ত চলতে থাকে হরেক রকমের পিঠা খাওয়ার ধুম।
মূলত এটি জানলে অবাক হবেন ময়মনসিংহ গীতিকাই কাজল রেখা গল্পকথনের সূত্র ধরে আনুমানিক প্রায় পাঁচশত বছর পূর্বে বাঙালির খাদ্য সাংস্কৃতির মধ্যে পিঠার জনপ্রিয়তা ছিল উল্লেখযোগ্য। আর এগুলো আপনি পাবেন ৬/৭ ক্লাস এর বাংলা পাঠ্যপুস্তক গুলোতে। কাজে এটা ধরে নেওয়া যায় যে পিঠা খাওয়ার প্রচলন মূলত বাঙালির ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন একটি সংস্কৃতি।
অর্থাৎ বিশাল উপমহাদেশের বসবাস করা জনগোষ্ঠীদের যে একটি জনপ্রিয় উৎসব এবং খাবার ছিল পিঠাপুলি এতে কোন সন্দেহ নেই। আর এই পিঠাপুলি, সাধারণত শীতকালে একটি রসনাজনিত জনপ্রিয় খাবার বা সুস্বাদুকর মুখরোচক খাবার হিসেবে বাঙালির কাছে আদরনীয়। এই সময় সকলেই সকলের আত্মীয়-স্বজন পারস্পরিক সম্পর্কের ভ্রাতৃত্ব বন্ধন বজায় রাখতে,
অনেকেই পিঠাপুলির উৎসবকে গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ ভূমিকা মনে করে থাকে। তো আসলে এটি সঠিক যে, মানুষকে আপনি যত আদর আপ্যায়ন করবেন মানুষের সাথে আপনার সম্পর্ক তত ভালো থাকবে। এতে করে আপনার মানবিক মূল্যবোধ এবং চারিত্রিক মূল্যবোধ বৃদ্ধি পায়। তো আশা করছি শীতের পিঠাগুলো উৎসব আপনারা পালন করবেন এবং সেটি জাঁকজমক ভাবে।
শীতের পিঠা অনুচ্ছেদ class 6
শীতের পিঠার অনুচ্ছেদ সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত জান বলা হয়েছে আশা করছি ওপরে পোস্টটি পড়লে আপনারা বিস্তারিত জানতে পারবেন। অর্থাৎ শীতকাল যখন শুরু হয় অর্থাৎ হেমন্ত যখন শেষ হয় এবং আমাদের শেষে যখন ধানকাটা শেষ হয়ে যায় তখনই শীতের আমেজ শুরু হয়ে যায়।
এবং বাংলার প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে পিঠাগুলি তৈরির উৎসবের রোল পড়ে যায়। তো শিক্ষার্থীরা যারা রয়েছো তারা অবশ্যই, তোমাদের পাঠ্যপুস্তকগুলো ভালোভাবে মনোযোগ দিয়ে পড়বা। তাহলেই তোমরা শীতের পিঠার অনুচ্ছেদ সম্পর্কে আরো বেশি ধারণা পেয়ে যাবে।
যে শীতের পিঠাপুলি কত গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক এক ধরনের উৎসব এবং এটি কত ঐতিহ্যপূর্ণ একটি উৎসব সম্পর্কে। তো উপরে শীতের জনপ্রিয় কিছু পিঠার নামও দিয়ে দেওয়া হয়েছে আশা করছি তোমরা পড়লে সেগুলো জানতে পারবে।
উপসংহার
প্রিয় পাঠক মন্ডলী আশা করছি শীতের পিঠার অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এবং শীতের এই সময় পিঠাগুলি কেন এটি জনপ্রিয় একটি সাংস্কৃতিক উৎসব। এবং এই শীতের পিঠাপুলির যে উৎসব, এই উৎসবটি কত ঐতিহ্যপূর্ণ উৎসব সম্পর্কেও ধারণা পেয়েছেন। দোষীদের পিঠাপুলি সহ আরো শীতের বিভিন্ন উৎসব সম্পর্কে ধারণা পেতে,
আরো পড়ুন/জানুনঃ মাম পানি কোন কোম্পানির - কোন কোম্পানির পানি ভালো
এবং বিভিন্ন রকম সাংস্কৃতিক তথ্য এবং ইসলামিক তথ্য বিষয়ক সকল তথ্য সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন। যাতে করে নতুন নতুন তথ্য আপনারা খুব সহজেই পেতে পারেন। তো আজকের মত এখানেই শেষ করছি সকলের ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, খোদা হাফেজ।
ব্লগার জাফর সাহেবের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url