কিডনি রোগী কি খেজুর খেতে পারবে - খেজুরের উপকারিতা
প্রিয় পাঠক মন্ডলী আজকে আমরা আলোচনা করব কিডনি রোগী কি খেজুর খেতে পারবে সম্পর্কে। বর্তমান সময়ে আমাদের মধ্যে অনেকেই খেজুর একটি রুটিন অনুযায়ী খেয়ে থাকেন। কারণ খেজুরের মধ্যে রয়েছে যে পরিমাণ পুষ্টিগুণ তা কল্পনা দিন, তো চলুন কিডনি রোগী কি খেজুর খেতে পারবে ? সম্পর্কে জেনে নেই।
খেজুর খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা সহ, খেজুর আপনি কখন কখন খাবেন অর্থাৎ খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময় এবং সকালে যদি আপনি খালি পেটে খেজুর খান, তো এই খেজুর খাওয়ার নিয়ম কি। এবং অতিরিক্ত খেজুর খেলে আপনার কি কি সমস্যা হতে পারে? এ সকল বিষয়ে বিস্তারিতভাবে যদি জানতে চান, তাহলে আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণটা মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন।
ভূমিকা
খেজুর মূলত এক ধরনের শুকনা একটি ফল যা কিনা বিশ্বের প্রত্যেকটা জায়গায় গ্রীষ্মকালে হয়ে থাকে। শুধু তাই নয়,খেজুর একটি ইসলামিক এবং পৃথিবীতে যত ফল রয়েছে প্রত্যেকটি ফল গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ফল হচ্ছে খেজুর। অর্থাৎ এই খেজুরের মধ্যে রয়েছে এমন পরিমাণ গুনাগুন যা কল্পনাধীন। কোনও অসুস্থ রোগী, হতে পারে জ্বর হতে পারে ব্যথা হতে পারে ভাঙ্গা।
আরো পড়ুনঃ মিষ্টি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
যদি কোন রোগী নিয়মিত প্রত্যেকদিন একটা রুটিন করে খেজুর খায়, তাহলে তার সকল ধরনের রোগ ব্যাধি তার শরীর থেকে দূর হয়ে যাবে। শুধু তাই নয় কোন দুর্বল ব্যক্তি ও যদি নিয়মিত টানা ১ মাস থেকে ২ মাস খেজুর খায় তাহলে সে ব্যক্তি আর দুর্বল থাকে না সে ব্যক্তি সবল হয়ে যায়। শুধু তাই নয় খেজুরের এছাড়াও আরো অনেক গুনাগুন রয়েছে যা নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে। তো চলুন দেরি না করে গুরুত্বপূর্ণ খেজুর খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময়
তো আমরা শুরুতে জানবো যে খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময় কোনটি এ সম্পর্কে। আসলে খেজুর একটি চমৎকার গুণাগুণ সমৃদ্ধ ফল বা খাবার। তো এটি যদি আপনি খুব নিয়ম ভাবে খেয়ে থাকেন, তাহলে আপনার শরীরের অনেক পরিবর্তন এনে দিবে। তো আসলে খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময় কোনটি, কোন সময় খেজুর খেলে মূলত আমাদের শরীরের সঠিক পুষ্টিগুণ আমরা লাভ করতে পারবো।
খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত একটি সময় হচ্ছে আপনি যখন সকালে ঘুম থেকে উঠেন ঘুম থেকে ওঠার পরে সকাল ১০ টা থেকে ১১ঃ০০ টার দিক দিয়ে আপনি খেজুর প্রতিদিন এই নিয়ম করে খেতে পারেন। এবং প্রত্যেকদিন বিকেল ৫ টার দিক দিয়ে একটি নিয়ম করে আপনি খেজুর খেতে পারেন। আর অবশ্যই প্রতিদিন এই নিয়মে খেজুর খাবেন ৩ থেকে ৪ টা। তো আশা করছি খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময় কোনগুলা এ সম্পর্কে জানতে পারলেন।
কিডনি রোগী কি খেজুর খেতে পারবে
কিডনি রোগী কি খেজুর খেতে পারবে কি ? এ নিয়ে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। আসলে খেজুরের অনেক উপকারিতা রয়েছে। তার মধ্যে দশটি উপকারিতা সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হবে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক কিডনি রোগী কি খেজুর খেতে পারবে কী না এ সম্পর্কে।
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করতে পারে খেজুরঃ অর্থাৎ খেজুরের মধ্যে রয়েছে , ক্যারোটিনয়েড, ফেনোলিক্স, এবং আরো অনেক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কিনা আপনার কোষের অক্সিডেটিভ যে সকল ক্ষতগুলো রয়েছে এগুলোকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- নিয়মিত খেজুর খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমেঃ খেজুরের মধ্যে রয়েছে বিটা-ডি গুলকেন যা কিনা আপনার ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিকে কমিয়ে দেয় এবং এটি সকল ধরনের টিউমার রোধ করতে সাহায্য করে।
- মাইক্রোবিয়াল বৃদ্ধি করে নিয়মিত খেজুর খেলেঃ খেজুরের মধ্যে যেগুলো থাকে তা হলো ই- কোলি, বেসিলাস এবং সালমোনেলা সহ নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়াগুলিকে বিনষ্ট করে দেয় খেজুর খাওয়ার ফলে। এবং এতে করে খাদ্যজনিত অসুস্থতা থেকে আপনি রেহাই পাবেন।
- ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণ রাখে খেজুরঃ বিভিন্ন গবেষণায় জানা গিয়েছে যে খেজুর খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস রোগীর শরীরে গ্লুকোজ এবং ইনসুলিন এর সংবেদনশীলতা কে উন্নীত করে। এবং খেজুরের মধ্যে এন্টিঅক্সিডেন্ট গুলি থাকার কারণে সেগুলো রোগীকে স্ট্রেস এবং সুরক্ষা দিয়ে থাকে।
- মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য কে রক্ষা করতে পারে খেজুরঃ খেজুরের মধ্যে রয়েছে এবং পলিফেনাল যা কিনা মস্তিষ্কে সকল ধরনের প্রদাহ এর বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং এটি আপনার নিউরোডিজেনারেটিভ এর সকল ধরনের ঝুঁকিকে কমিয়ে থাকে। এবং এটি আপনার মস্তিষ্কের নতুন কোষ কে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে যাতে জ্ঞান শক্তি বাড়তে পারে।
- গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে সুষম পুষ্টি বাড়েঃ একজন গর্ভবতী মায়ের প্রত্যেকদিনের খাদ্য তালিকায় খেজুর রাখা প্রয়োজন। কারণ এটি কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন খনিজ পদার্থ এবং বিভিন্ন ধরনের মৌলিক পুষ্টি উপাদানগুলো।
- খেজুর খেলে স্বাস্থ্যকর অন্তর তৈরি হয়ঃ খেজুরের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা কিনা আপনার হজম শক্তিকে বৃদ্ধি করে। গবেষণায় জানা গিয়েছে কোন ব্যক্তি যদি সপ্তাহে প্রায়ই ৭ থেকে ১২টি করে প্রতিদিন খেজুর খায় তাহলে তার মলদ্বারের সকল সমস্যা দূর হয়ে যায়।
- খেজুর খাওয়ার ফলে কিডনি সুস্থ থাকেঃ কিডনিতে থাকা নেফ্রোটক্সিসিটি এটা থেকে রক্ষা করবে খেজুর যদি আপনি নিয়মিত খান। এছাড়াও খেজুর আপনার কিডনির সকল ধরনের অক্সিডেটিভ স্টেসকেও কমিয়ে দেয়।
- শরীরের হাড়কে মজবুত করে খেজুরঃ কোন ব্যক্তি যদি নিয়মিত খেজুর খায় তাহলে তার সেলে নিয়াম ম্যাগনেসিয়াম এর মত খনিজ গুলো তার শরীরের হাড় গুলোর বিকাশ ঘটিয়ে থাকে। শুধু তাই নয় খেজুরের মধ্যে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট গুলো আপনার শরীরের প্রত্যেকটি কোষ গুলো কেউ অক্সিডেটিভ এর থেকে রক্ষা করে থাকে।
প্রিয় পাঠক শুধু তাই নয় খেজুরের মধ্যে রয়েছে আরও অনেক ধরনের গুনাগুন। তো খেজুর খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারলেন। তবুও একটি তথ্য না দিলেই নয়, জানা গিয়েছে, সৌদি আরবের বিখ্যাত আজওয়া খেজুর অনেক বড় ধরনের বিষ কেউ হার মানিয়ে দেয়। যা কিছুদিন পূর্বের এক ঘটনায় ঘটে গেলো, অনেকে হয়তো জেনে থাকবেন।
সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার নিয়ম
আপনারা হয়তো অবশ্যই জানবেন যে সকালে যদি কোন ব্যক্তি খালি পেটে খেজুর খায় তাহলে তার শরীরে অনেক ধরনের পুষ্টিগুণ প্রবেশ করবে এবং তার শরীরে যত ধরনের ব্যাকটেরিয়া রয়েছে সকল ব্যাকটেরিয়া দূর হয়ে যাবে। তো আমাদের মধ্যে অনেকেই খেজুর খায় কিন্তু এটি একটি নিয়ম করে খায় না।
তো আসলে খেজুর যেহেতু একটি পুষ্টিকর এবং ঔষধি খাবার সেহেতু এটি অবশ্যই একটি নিয়ম করে খাওয়া উচিত। আপনি যদি এই নিয়মে খেজুর খান তাহলে দেখবেন আপনার শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ভিটামিন এ ভিটামিন বি ম্যাগনেসিয়াম ম্যাঙ্গানিজ প্রোটিন ফাইবার এবং আয়রন সহ যত ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে, সকল পুষ্টি উপাদান গুলো আপনি পাবেন।
প্রত্যেকদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই আগে এক গ্লাস পানি খাবেন এবং এরপরই ৬ টা থেকে ৭ টার মধ্যেই অর্থাৎ নাস্তা করার পূর্বে ২ থেকে ৪ টা খেজুর খেয়ে নিবেন। তো আশা করি সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার নিয়মটা সম্পর্কে জানতে পারলেন।
রাতে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
খেজুর কমবেশি আমরা সকলেই খেয়ে থাকি অর্থাৎ এটি একটি পুষ্টি সম্মত খাবারের জন্য এটি আমাদের সকলের কাছেই অনেক প্রিয়। বিশেষ করে রমজান মাসে খেজুর এটি বেশি পরিমাণে খেয়ে থাকে মানুষ। তো এই খেজুর যদি আপনি নিয়মিত করে প্রত্যেক দিন রাতে খান তাহলে এতে করে আপনার শরীরে কি কি পুষ্টি উপাদান প্রবেশ করবে এবং কি কি উপকারিতা আপনি পাবেন তো এই সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
- রাতে খেজুর খাওয়ার ফলে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- রাতে নিয়মিত খেজুর খাওয়ার ফলে আপনার বর্ণান্ধতা দূর হয়ে যায়।
- নিয়মিত রাতে খেজুর খাওয়ার ফলে আপনার উচ্চ রক্তচাপ কমে যায়।
- নিয়মিত রাতে খেজুর খাওয়ার ফলে হার্টের সকল সমস্যা দূর হয়ে যায়।
- রাতে নিয়মিত খেজুর খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা অনেক বেশি বৃদ্ধি পায়।
তো এগুলোর পাশাপাশি নিয়মিত যদি কোন ব্যক্তি রাত্রে খেজুর খায় তাহলে তার শরীরে যত ধরনের ভিটামিন রয়েছে এবং পুষ্টি উপাদানগুলো রয়েছে যেমন ক্যালরি .২৭৭ গ্রাম ফাইবার ৬.৭ গ্রাম এবং ম্যাগনেসিয়াম ৬০.২৫ মিলিগ্রাম সহ সকল ধরনের পুষ্টি উপাদান গুলো লাভ করতে পারবেন।
দুধ ও খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
দুধ এবং খেজুর যদি কোন ব্যক্তি একসাথে খায় তাহলে ওই ব্যক্তির শরীরে অন্তত আয়রনের মাত্রা ঠিক থাকবে। আসলে দুধ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন খাবার। ঠিক সেভাবে খেজুর একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ খাবার। তো বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে কোন ব্যক্তি যদি নিয়মিত দুধ এবং খেজুর খায় তাহলে তার শরীরে হিমোগ্লোবিন এবং প্রোটিনের মাত্রা যদি কম থাকে এটি দ্বিগুণ পরিমাণে বেড়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আর তাছাড়া কিছুদিন পূর্বে একটি গবেষণায় ও জানা গিয়েছে যে দুধ এবং খেজুর কোন ব্যক্তি যদি এক গ্লাস দুধের মধ্যে দুটি করে খেজুর খায় তাহলে ওই ব্যক্তির শরীরের সকল ধরনের ব্যাধি দূর হয়ে যাবে এবং সুস্বাস্থ্য দেহ উপহার পাবে। অর্থাৎ আপনারা যদি পারেন তো অবশ্যই প্রত্যেকদিন রাত্রে এক গ্লাস গরম দুধে দুইটা করে খেজুর মিশিয়ে খাবেন এতে করে এই সকল উপকারিতা গুলো আপনি পেয়ে যাবেন। আশা করছি জানতে পারলেন দুধ ও খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
অতিরিক্ত খেজুর খেলে কি হয়
খেজুর খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে অনেক। কেননা খেজুরের মধ্যে রয়েছে অনেক ধরনের পুষ্টিগুণ। তো আপনারা কি জানেন যে অতিরিক্ত খেজুর খাওয়ার ফলে এটি আপনার শরীরের কিছু দিক পাল্টে যেতে পারে। অনেকেই হয়তো জানেন আবার অনেকেই জানেন না তো খেজুর অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে কি হতে পারে চলুন নিম্নে জেনে নেই।
- পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন অতিরিক্ত মাত্রায় যদি কোন ব্যক্তি খেজুর খায় তাহলে তার শরীরে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যায়।
- অতিরিক্ত খেজুর খাওয়ার ফলে পেট ফাঁপা এবং ডায়রিয়াজনিত আশঙ্কা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- খেজুর খেলে খেজুরের মধ্যে থাকা ফাইবার আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করে দেয়। কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় খেজুর খেলে ফাইবারের হিতে কিন্তু বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
তো অবশ্যই আপনারা অতিরিক্ত মাত্রায় খেজুর কখনো খাবেন না যে নিয়মে খাওয়ার কথা আলোচনা করা হয়েছে উপরে এই নিয়মে যদি আপনারা খেজুর খান তাহলে অবশ্যই আপনারা সুস্থ থাকতে পারবেন। এবং হিতে বিপরীত কোনো কিছুই হবে না। তো আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।
সর্বশেষ পরামর্শ: খেজুর খাওয়ার ১০টি উপকারিতা
প্রিয় পাঠক, আশা করছি আমাদের আজকের এই পুরো আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে। অর্থাৎ আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা জানতে পারলেন খেজুর খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা কি কি এ সম্পর্কে। এবং এর পাশাপাশি আরও জানতে পারলেন খেজুরের কিছু পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে এবং কি কি উপায় অবলম্বন করে আপনারা খেজুর খাবেন এবং কোন সময় খেজুর খাবেন এ সম্পর্কে।
এবং অতিরিক্ত মাত্রায় যদি আপনি খেজুর খান তাহলে কি হতে পারে এই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে। সুতরাং আমাদের আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্টে মন্তব্য করে জানিয়ে দিবেন। এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সকল ধরনের তথ্য আপডেট পেতে ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন, ধন্যবাদ।
ব্লগার জাফর সাহেবের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url