দেশ গঠনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা - সেনাবাহিনী নিয়ে কিছু কথা
আজকে আমরা জানবো দেশের উন্নয়নে সেনাবাহিনীর ভূমিকা সম্পর্কে। আমরা অনেকেই জানি বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে বৃহত্তম একটি বাহিনীর নাম হলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তো দেশের উন্নয়নে সেনাবাহিনীর ভূমিকা কতটুকু, এ বিষয়টি আমাদের কাছে প্রায় অনেকেরই অজানা। চলুন জেনে আসি।
দেশের উন্নয়নে সেনাবাহিনীর ভূমিকা কেমন? বা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনাপ্রধান কতটুকু ভূমিকা রেখেছে বাংলাদেশে, এবং এর পাশাপাশি দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর ভূমিকা কতটুকু, সকল বিষয়ে বিস্তারিত জানতে থাকুন।
দেশ গঠনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা
প্রথমে জানবো যে দেশ গঠনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা কতটুকু। আসলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হচ্ছে একটি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর স্থল শাখা। এবং এটিকে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সর্ব বৃহত্তম শাখা বলে ধরা হয়। আর সেনাবাহিনীর প্রাথমিক দায়িত্ব হচ্ছে বাংলাদেশের বিভিন্ন ভূখণ্ডের অখন্ডতা রক্ষা করা, সহ সকল ধরনের নিরাপত্তা,
এবং এর পাশাপাশি প্রতিরক্ষা সাহায্যে প্রয়োজনীয় শক্তি এবং এর পাশাপাশি জনবল তৈরি করা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সকল কাজকর্ম তাদের সদর দপ্তর থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। প্রাথমিক দায়িত্ব সহ বিভিন্ন জাতীয়তাবাদী দায়িত্ব জরুরি অবস্থায় বেসামরিক বাংলাদেশের সকল প্রশাসনের সহযোগিতায় এগিয়ে আসায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাংবিধানিকভাবে একটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অঙ্গীকার।
তো তারা তাদের শপথের মাধ্যমে এভাবেই কাজ করে যাচ্ছে। তো দেশ গঠনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। যেমন বর্তমানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের জন্য এবং জাতির গঠনের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দ্বারা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড শুরু করা হয়েছে।
তাছাড়া ও একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ এর মোকাবেলার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ফোর্স ২০৩০ বাস্তবায়নের জন্য সেনাবাহিনীর সাংগঠনিক যে সকল কাঠামো এবং বিন্যাস রয়েছে এ সকল বিন্যাস পরিবর্তনের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নের প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে।
গত ২০২২ সালের .১ লা নভেম্বর মঙ্গলবার, নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া থানার মধ্যে কাদিরাবাদ সেনানিবাস এর মধ্যে বাৎসরিক একটি অধিনায়ক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়, এবং সেখানে বাংলাদেশ সেনা প্রধান বক্তা রাখেন এবং তিনি বলেন, অর্থাৎ বাংলাদেশ সেনাপ্রধান এস এম জেনারেল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন যে,
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আরও বেশি আধুনিকায়নের জন্য কঠোর হতে বলেছেন। অর্থাৎ বাংলাদেশ সরকারের চেষ্টায় আজকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সকল সংস্থা এবং ফোর্স অর্জনের জন্য সকল ধরনের সহযোগিতা করছে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান।
এবং এই কারণেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী থেকে অভিনন্দন এবং ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। তাছাড়া এই অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছিলেন মেজর জেনারেল এস এম কামরুল হাসান, তাছাড়াও ছিলেন মেজর জেনারেল জুবায়ের সালেহীন এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পিবিজিএম, এনডিসি, জেনেরেল খালেদ আল মামুন সহ বগুড়ার এরিয়া ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মনিরুজ্জামান,
সকল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যারা সেনাবাহিনীর সকল কর্মসংস্থানে কর্মরত, সকল অধিনায়ক এরাই উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও এর আগের বার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান মহান মুক্তি যুদ্ধের বীরদের শহীদদের জন্য শ্রদ্ধার্জ, এবং স্মৃতিসৌধে পুষ্প স্তবক অর্পণ করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান।
এবং সেই দিনও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দেশ গঠনের ভূমিকা তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন। আশা করি দেশ গঠনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ কি কি ভূমিকা রয়েছে এবং এর পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে সেনাবাহিনীর ভূমিকা কি এ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
দেশের উন্নয়নে সেনাবাহিনীর ভূমিকা রচনা
দেশের উন্নয়নে সেনাবাহিনীর ভূমিকা, অনেক অনেক বেশি। দেশের উন্নয়নে সেনাবাহিনীর ভূমিকা এর কথা বলতে গিয়ে ৭ই অক্টোবর কুমিল্লা সেনানিবাসে এমার চৌধুরী প্যারেড গ্রাউন্ডের সময় রেজিমেন্টাল কালার প্রদানের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বেসে বক্তব্য রাখেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম আজিজ আহমেদ। তিনি বলেন,
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করার পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং মানব সৃষ্ট যে সকল দুর্যোগ রয়েছে এ সকল দুর্যোগ মোকাবেলায় এবং দেশে আর্থিক সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন এবং শিক্ষা খাতে ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে।
অর্থাৎ দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং সমকালীন বিশ্বের সকল ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও দেশের উন্নয়নের সেনাবাহিনীর ভূমিকা রচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, এই যে গত করোনা মহামারীতে দেশের মানুষের স্বাস্থ্যের এবং পরিবেশের সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে,
এবং নিষ্ঠার সাথে জীবনকে বাজি রেখে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কাজ করে চলেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকার। তাছাড়াও সেই অনুষ্ঠানের মধ্যে সেনা প্রধান জানিয়ে দিয়েছেন কুমিল্লা সেনাবাহিনীর ছয়টি ইউনিটকে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বীরত্বপূর্ণ অবদান এবং এর পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তির রক্ষার প্রতিষ্ঠায় নিরলস প্রচেষ্টা করা এবং দেশের এবং জাতির গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার।
এবং বিভিন্ন প্রশিক্ষণ সহ অপারেশনাল কর্মকান্ডের সাফল্যের জন্য স্বীকৃতি স্বরূপ তাদের কালার পতাকা প্রদান করেন। তাছাড়া এর আগের বার সেনাপ্রধান অনুষ্ঠানে আসলে তাকে বর্তমান জানানোসহ কুমিল্লা সেনানিবাস এর সিওসি মেজর জেনারেল শামস চৌধুরী, তাদেরকে কুমিল্লা সেনানিবাসের পক্ষ থেকে সুশৃংখল কুচকাওয়াজ উপভোগ করান।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন রকমের উন্নয়ন করে ফেলেছে। এরপরেও তারা বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন রকমের কর্মধারা চালু রেখেছে। এবং তারা অসহায় গরীব দুঃখী মানুষের পাশে সব সময় লেগে আছে। তো চলুন জেনে আসি দেশের উন্নয়নে সেনাবাহিনীর ভূমিকা অর্থাৎ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উন্নয়ন সংক্রান্ত কিছু বিষয় সম্পর্কে।
বাংলাদেশ সরকারের এই তৃতীয় মেয়াদের জন্য সেনাবাহিনীর অবকাঠামগত যে সকল উন্নয়নের ধারা রয়েছে, এ সকল উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আরো বলেন বর্তমান সময়ের তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আরো ঢেলে সাজানোর দরকার। গত কিছু বছর আগে ঢাকা সেনানিবাস এর মধ্যে বছরের প্রথম অনুষ্ঠানে,
জেনারেলস কনফারেন্স এর মধ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ সকল কথা বলেছেন। সেখানে আন্ত বাহিনীর জনসংযোগে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশ সরকার প্রধানমন্ত্রী সকালের দিক দিয়ে সেনাসদর অফিসার্স ম্যাচের মধ্যে যখন পৌঁছায় তখন তাকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য আসেন প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল তারেক আহমেদ সিদ্দিক ( অব. )।
এবং সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর প্রধান অধ্যাপক জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া তিনিও বাংলাদেশ সরকারকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য সেখানে যান। সেই কনফারেন্স এর মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল থেকে শুরু করে নিয়ে সকল জেনারেল পদের কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন।
এবং এর পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এ সকল কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচনের সময় অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা সরকারি বাহিনীর সাথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নির্যাস উপস্থিতি মানুষের মনে স্বস্তি এনে দিয়েছিল। অর্থাৎ বাংলাদেশের জনগণ নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে গিয়েছে এবং সেখানে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছে।
সেখানে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, সেনাবাহিনীর জুনিয়র অফিসাররা তাদের সিনিয়র অফিসারদের সাথে যেমন নৈতিকতা সততা এবং কর্তব্য নিষ্ঠার উজ্জ্বল একরকম দৃষ্টান্ত দিয়ে তারা নিজেদের উপস্থাপন করতে পেরেছে। তিনি সেখানে বলেন যে,
সেনাবাহিনীর ফোর্স গোলের ধারাবাহিকতার দিক দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামো ব্যাপকভাবে পরিবর্তনের এনেছে। তাছাড়াও ইতিমধ্যে বাংলাদেশ জালালাবাদ সেনানিবাসের ১৭ তম পদাতিক ডিভিশন ও সেই একই ডিভিশনের অধীনের মধ্যে একটি পদাতিক ব্রিগেড এবং এর পাশাপাশি দুটি নতুন পদাতিক ব্যাটালিয়ানকে গঠন করেছে বাংলাদেশ সরকার।
ও বাংলাদেশের উন্নয়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের অবদান উল্লেখযোগ্য, কারণ সেনাবাহিনীর প্রায় চারটি ফর্মেশনে আর্ট ফোর্সেস মেডিকেল কলেজের মধ্যে চারটি আরো মেডিকেল কলেজ স্থাপনের কার্যক্রম ও প্রক্রিয়া চালু রেখেছে।
তাছাড়া সেনাবাহিনীর মধ্যে যারা বৈমানিক ইউনিট এ কাজ করে তাদের বেতনকে আরো বেশি বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ফ্লাইওভার সেতু সড়ক এবং জনপথ নির্মাণের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। আশা করি জানতে পেরেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উন্নয়নমূলক সংক্রান্ত কিছু বিষয় অর্থাৎ, দেশের উন্নয়নে সেনাবাহিনীর ভূমিকা সম্পর্কে।
সেনাবাহিনী নিয়ে কিছু কথা
বাংলার সামরিক শাসন এটি মূলত ইতিহাসের রাজা-মহারাজাদের সময়কাল থেকেই চলে এসেছে। ওই সময়কার সেনাবাহিনীর প্রধান কে বলা হতো মহাসেনাপতি বা সেনাপতি, এই নামে তাদেরকে ডাকা হতো। এবং সেই সময়কার পদাতিক আস্বারী ছিল হাতি এবং যুদ্ধজাহাজ।
তারা যে কোন রকমের যুদ্ধ বিধ্বস্ত হলে তারা তখন এই সকল অশ্বারোহী নিয়ে যুদ্ধে নেমে পড়তো। আর পূর্বযুগের মুসলমানদের আগমন এবং তাদের বাংলা সালতানাত এর প্রতিষ্ঠায় সামরিক বাহিনীকে আরো বেশি শক্তিশালী করেছিল। বাংলার সুলতানাতের একটি সুসজ্জিত সুশৃংখল সেনাবাহিনী রয়েছিল।
অর্থাৎ বাংলায় যখন মুঘল শাসন চলতেছিল ওই সময় বাংলায় বিভিন্ন রকমের গোলন্দাজ কামান এ সকল বাহিনী প্রচলন ছিল। তো ওই সময় উপনিবেশিক শাসনকালে বাংলাদেশ ছিল একটি দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ব্রিটিশদের এক ধরনের প্রতীক। সেটি ১৭৫৭ সালে লর্ড লাইভ এর নেতৃত্বে ব্রিটিশ বাহিনী,
নবাব সিরাজ উদ্দৌলার নেতৃত্বাধীন ৫০ থেকে ৬০ হাজার সিপাহীরা ওই সময় বাংলার সেনাবাহিনী কে পরাজিত করেছিল। পরবর্তীতে আবার ১৭৬৪ সালে বক্সারের যে যুদ্ধ হয় সে যুদ্ধের নবাব মীর কাসেম এর নেতৃত্বে বাংলার সেনাবাহিনী কে আরো একবার পরাজিত করা হয়।
এরপরে ব্রিটিশরা বাংলার জমিনে আর্মি অফ বেঙ্গল প্রতিষ্ঠা করে, যেটা কিনা পরবর্তীতে ১৮৯৫ সালের দিকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অংশের দিকে চলে যায়। তো পূর্বযুগ থেকেই এরকম ভাবে ধীরে ধীরেই চলে আসছে সেনাবাহিনীর দল, যারা কিনা নিজের দেশের জন্য কাজ করেছে।
তো এভাবেই ১৯৭১ সাল চলে আসে, এবং ১৯৭০ সালের নির্বাচনের সময় বাংলাদেশ রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের যেই যুদ্ধটা হয়, এই যুদ্ধে বাংলাদেশ বিপুলভাবে বিজয় লাভ করে। এবং এই যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান দেখেছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
তো যখন ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধা শেষ হয়, শেষ হওয়ার পরেই মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের নিয়ে সেনাবাহিনীর একটি শাখা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যা কিনা ১৯৭৪ সালে পাকিস্তানের যেসকল কর্মকর্তারা ছিল এ সকল সৈনিকদের বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতেই অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া হয়।
এবং ১৯৭২ থেকে .১৯৭৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে, ইঞ্জিনিয়ারস সার্ভিস, সিগন্যাল সহ মিলিটারি পুলিশ সহ এবং বিভিন্ন ধরনের বাহিনী নিযুক্ত করে দেন বাংলাদেশ সরকার। তো ১৯৭৫ সালের ১১ই জানুয়ারিতে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রথম শর্ট কোর্সের পাসিং একটি আউট প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়।
এবং ১৯৭৫ সাল থেকেই রেজিমেন্ট অফ বাংলাদেশ চলে আসছে। আশা করি অল্প কিছু তথ্য দিয়ে আপনাদেরকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে কিছু কথা জানাতে পারলাম। আশা করি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে এবং দেশের উন্নয়নে সেনাবাহিনীর ভূমিকা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করি, জানতে পেরেছেন দেশের উন্নয়নে সেনাবাহিনীর ভূমিকা সম্পর্কে, এবং এর পাশাপাশি বাংলাদেশ উন্নয়নে সেনাবাহিনীর ভূমিকা এবং দেশ গঠনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কতটুকু ভূমিকা রয়েছে এ সম্পর্কে। এবং সেনাবাহিনীর ইতিহাস সম্পর্কে কিছু কথা, তো আশা করি আপনাদেরকে কিছু অজানা তথ্যের সন্ধান দিতে পেরেছি।
সুতরাং পুরো পোস্টটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্টে জানিয়ে দিবেন। এবং আপনাদের বন্ধুদের কাছে এটি শেয়ার করবেন যারা তারাও সেনাবাহিনী সম্পর্কে কিছু নতুন ধারণা পেতে পারে, ধন্যবাদ।
ব্লগার জাফর সাহেবের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url