পিল খাওয়ার পর মাসিক না হলে করণীয় - কোন পিল খেলে মাসিক হয়

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ্‌ , আসলে এই মাসিক কথাটার সাথে আমরা কম বেশি প্রাপ্তবয়স্ক অবিবাহিত অবিবাহিত সব মেয়েরাই পরিচিত। আর যাদের এরকম ভাবে নিয়মিতভাবে মাসিক হয়না অনিয়মিত মাসিক হয় তাদের গর্ভধারণের সময় ঝুঁকি রয়েছে। তাই চলুন জেনে আসি পিল খাওয়ার পর মাসিক কি কি কারণে হয় না। আর না হলে কি কি করনীয়।
পিল খাওয়ার পর মাসিক না হলে করণীয় - কোন পিল খেলে মাসিক হয়
আশা করছি প্রিয় বোনেরা আজকে জানতে পারবেন এই পোষ্টের মাধ্যমে বিল খাওয়ার পর কি কারনে মাসিক হয় না। আর মাসিক না হলে আপনার কি কি করণীয়। এবং কোন কোন ইমারজেন্সি পিল সেবন করলে আপনি এ থেকে মুক্তি লাভ করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে পুরো পোস্টটি পড়তে থাকুন।

ভূমিকা 

আসলে এই মাসিক কথাটার সাথে আমাদের মাঝে কম বেশি বিবাহিত অবিবাহিত প্রায় সকল মেয়েরাই এই মাসিক কথাটার সাথে পরিচিত। কেননা এটি মেয়েদের একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। যেটা কিনা তাদের সন্তান গর্ভধারণের একটি লক্ষণ। আর এটি তাদের মা হওয়ারও একটি লক্ষণ দেয়। সুতরাং আমাদের মাঝে আজকে অনেক বোনেরাই আছে যারা কিনা এই মাসিকের বিভিন্ন রকমের সমস্যার সাথে জড়িত। 
আর এরকম সমস্যা আমাদের গোপন রাখা ঠিক না, যেহেতু এটা আমাদের মাতৃত্বের সাথে সম্পর্কিত একটি বিষয়। সে তো আমাদের সব সময় মনে রাখা উচিত যে, এইটা যেহেতু একটি প্রাকৃতিক বিষয় এইটা যেহেতু সৃষ্টিকর্তা নিয়ম করে রেখেছে সেহেতু, এই বিষয়টা অন্তত পরিবারের যেমন মা দাদি চাচি এদের সাথে আলোচনা কিংবা পরামর্শ করা উচিত। কারণ আজকে অনেক মেয়েরাই, মাসিক না হওয়ার সমস্যার সাথে জড়িত। আর আমরা জানি যে এটা একটি বড় ধরনের সমস্যা। 

সুতরাং এই বিষয়টা নিয়ে গোপন রাখা আমাদের জন্য খুবই ভালো কিছু একটা টেনে আনবে না। সুতরাং আমাদের জানা উচিত যে কোন পিল খেলে মাসিক নিয়মিত চালু থাকে আর কোন কোন ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার পরও আমাদের কেন মাসিক হচ্ছে না কিংবা পিল খাওয়া বন্ধ করার পর কতদিন পর মাসিক হয়। এই সকল বিষয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

পিল খাওয়ার কতদিন পর মাসিক হয় 

আসলে নারীদের সব সময় নির্দিষ্ট একটা সময় মাসিক হয় না, এটা যেহেতু হয় হরমোনের কারণে তাই বিভিন্ন ধরনের ঔষধ বাতিল সেবন করার মাধ্যমে মাসিকের তারিখ ৫ - ৭ দিন কিংবা ৮ - ১০দিন পিছিয়ে যেতে পারে। সুতরাং এই সব বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। অবস্থা দুশ্চিন্তা না করে, আরো কিছুদিন দেখুন যে আপনার শরীরের কি অবস্থা মাসিক হচ্ছে কিনা। 

আর আমরা জানি যে, মাসিক খাওয়ানোর জন্য ইমারজেন্সি পিল খাওয়ানো হয় না। আসলে যদি অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ রোধ করা হয় রোধ করার চিন্তা ভাবনা কেউ করে তাহলে তখন সেই অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ রোধ করার জন্য ওই মেয়েকে তখন অর্থাৎ গর্ভধারিনী মাকে তখন ইমারজেন্সি পিল সেবন করানো হয়। আর একটা বিষয় মনে রাখতে হবে। 

যে এই পিলটা ইমারজেন্সি পিল খাওয়ানোর কারণে অনেক সময় মাসিক টা মেয়েদের আগে বা পরে হতে পারে। আবার ঠিক সময়ও হতে পারে আবার কখনো কখনো ঠিক সময়ে নাও হতে পারে। তাই ওই যে বললাম এই নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কোন কারণ নেই তবে, এটা যদি মাসিকের সময় এই সময়টা পার করে দ্বিগুণ সময় অতিক্রম করে ফেলে তাহলে, যথাযথ দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করতে হবে। 

সুতরাং বিষয়টা হলো এটা সবসময় মাথায় রাখতে হবে যে, পিল খাওয়ার পর মাসিক টা বিলম্বিত হয় একটু। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে আগেও মাসিক হয়ে যায় অর্থাৎ আপনি নির্দিষ্ট সময়ের আগেই। আপনার মাসিক শুরু হওয়ার সম্ভাব্য দিন পর্যন্ত আপনি অপেক্ষা করুন। আর যদি দেখেন যে সঠিক সময়ে আপনার মাসিক টা হচ্ছে না। তখন আপনি সর্বোচ্চ ১২ - ১৪ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। আর তারপরে আপনি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন প্রয়োজনে আপনি প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে পারেন। আশা করি বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন।

কোন পিল খেলে মাসিক হয় 

কোন পিল খেলে মাসিক হয় কিংবা কোন পিল খেলে মাসিক হয় না এরকম সমস্যা মধ্যে অনেক মেয়েরাই জড়িত, সুতরাং আসুন জেনে নেই। যে কোন কোন পিল খেলে মাসিক হয়। আসলে সব রকম পিল সেবন করলেই মাসিকটা হয় অনেক সময় এজন্য পিল টা সেবন করা হয় যে আনওয়ান্টেড প্রেগন্যান্সি থেকে দূরে থাকার জন্য। 

আর আপনি যখন হঠাৎ করে প্রেগন্যান্ট হয়ে যাবেন আর ওই সময় আপনি চাচ্ছেন যে বাচ্চাটা আপনার না হোক অর্থাৎ বাচ্চাটা আপনি চাইছেন না, ওই সময় আপনাকে, পিলটা সেবন করতে হবে। আর এই পিলটা যদি আপনি সঠিক নিয়মে সেবন করতে পারেন তাহলে কোন রকমের ঝামেলা ছাড়াই, আপনি আপনার বাচ্চাটাকে নষ্ট করতে পারবেন। 

আবার এটা মনে রাখবেন যে যখন আপনার বাচ্চাটা নষ্ট হয়ে যাবে কিছুদিনের মধ্যেই তার কিছুদিনের মধ্যেই আপনার মাসিকটা আবার শুরু হবে। আর এই ধরনের কাজগুলো আপনাকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করতে হবে এটা তো অবশ্যই জানেন। তাছাড়া যদি এই সময়টা পার হয়ে যায় তাহলে কোন রকমের পিল খেলেও আপনি আপনার মাসিক হবে না বা বাচ্চাটাও হবে না। 
আর এজন্যই আপনাকে সঠিক নিয়মে এই বিলটা সেবন করতে হবে তাহলে আপনি কোন রকমের সমস্যা ছাড়াই এই সমাধান করতে পারবেন। তবে আপনি সব পিলগুলো চেয়ে , একটি পিল খেতে পারেন যেটি আপনার খুব দ্রুত মাসিক টা চালু করতে সহযোগিতা করবে। আর সেই পিল টার নাম হল নেরিক্স পিল। আর এই নেরিক্স পিল টা হল ইমারজেন্সি একটা পিল, যেই পিল টা মাসিক হোকানোর জন্য খাওয়ানো হয়।

ফেমিকন পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয় 

ফেমিকন পিল, যেটা খাবার বিল হিসেবে সবচাইতে ভালো এবং কার্যকরী তিল হিসেবে পরিচিত। যা সম্পূর্ণভাবে আপনার মুখে সেবন যোগ্য। আসলে এই ফেমিকন পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয় এই প্রশ্নের উত্তরটা দিতে গেলে বলবো যে, প্রতিদিন যদি আপনি একটি করে ২১ দিনে মোট 21 টি সাদা পিল সেবন করেন তাহলে তার ঠিক পরের দিন থেকেই প্রতিদিন যদি একটি করে আপনি সাত দিনে মোট সাতটি বাদামী রঙের বিল খান।

তাহলে আপনার মাসিক টা আবার হবে আর কতদিন পর হবে সেটি হল, বাদামী রঙের বিলটা খাওয়ার সময় সম্ভবত আপনার মাসিক হবে। আর আপনি মাসিকটা যদি আরম্ভ হয়ে যায় তাহলে আপনি আবার বাদামী রংয়ের পিল টা খাওয়া বন্ধ করে দিবেন না যেন। বাদামী পিল টা আপনি নিয়মিত সাত দিন খেলে আপনার শরীরের লৌহ সল্পতা পূরণ করে দিবে। তাছাড়াও এই পিলটা খাওয়ার নির্দিষ্ট নিয়ম থাকবে একটা আর এই সময়ে আপনার মাসিক শুরু যদি না হয়ে থাকে। তাহলে আপনি আন্তঃসত্তা কি না তা জানার জন্য আপনি আর ভালো চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরামর্শ নিবেন।

পিল খাওয়া বন্ধ করার কতদিন পর মাসিক হয় 

পিল খাওয়া বন্ধ করার কতদিন পর মাসিক হয়, আসলে হুট করে পিল খাওয়া বন্ধ করলে ঠিক মেয়েদের মাসিকের ঝামেলা হতে পারে, যা স্বাভাবিকভাবে এরকম করাটা মেয়েদের উচিত হয় না। আপনাকে তিন মাস পরপর বিল খেতে হবে তার পর আস্তে আস্তে ২ - ৩ ধাপ হলে আপনি পিল খাওয়া বন্ধ করতে হবে। তাহলে আমি মনে করি আপনার কোন সমস্যা হবে না। পিল খাওয়ার পর যদি মাসিকটা বন্ধ হয়ে থাকে তাহলে আপনি আয়রন ট্যাবলেট ভিটামিন খাবার ও জিম করতে হবে। 

আর আপিল খাওয়া বন্ধ করে দিলে যদি আপনি, সেটা ২৮ তারিখ বন্ধ করেন তাহলে, ১০ - ১৫ দিনের মধ্যে আপনার আবার মাসিক শুরু হবে। আসলে এই বিলটা খাওয়া বন্ধ করার পর মাসিক হইতে কিছুদিন দেরি হয় তবে ওই যে বললাম যে দুশ্চিন্তা করার কোন কারণ নেই। কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। কিছুদিন নির্দিষ্ট যে সময় রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে যদি মাসিক আবার শুরু না হয় তাহলে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করতে পারেন।

ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার পর মাসিক না হলে করনীয়

আসলে এটা একটি বিশাল বড় ধরনের সমস্যা, যে ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার পরও অনেক সময় মাসিক মেয়েদের হয় না। তখন আপনার কি কি করনীয় হতে পারে। তখন আপনি নিজেই যেই কাজগুলো করতে পারেন সেগুলো হল, প্রথমে আপনি বিল সেবনের পরে যদি মাসিক না হয় বন্ধ হয়েই থাকে, তাহলে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। 

আর ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আপনি আয়রন জাতীয় ট্যাবলেট সেবন করবেন। যেটা কিনা আপনাকে রক্তশূন্যতার হাত থেকে রক্ষা করবে। আর যদি দেখেন তারপরে অন্যের মাসিক টা দ্রুত চালু হচ্ছে না, তখন আপনি যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন এবং আপনার প্রেগনেন্সি টা টেস্ট করবেন। আশা করি এতে আপনার সমস্যার সমাধান হবে ইনশাল্লাহ।

শেষ কথা

প্রিয় বোনেরা, আশা করি এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন যে, পিল খাওয়ার পরেও যদি মাসিক বন্ধ না হয়ে থাকে, তাহলে আপনি কি কি উপায়ে সেই মাসিকটা আবার চালু করতে পারবেন। এবং কোন পিল খেলে আপনার দ্রুত মাসিকটা চালু হবে। সে সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করলাম।আশা করি আপনি উপকৃত হবেন এবং আপনার কাছের বন্ধুদেরকে উপকৃত করবেন। সুতরাং সঠিক নিয়মে জীবন যাপন করুন। এ সকল প্রাকৃতিক প্রক্রিয়াগুলো কখনো গোপন না করে এই সমস্যার কথাগুলো আপনার মাকে কিংবা পরিবারের কাউকে জানাবেন। যেহেতু এটা আপনার জীবনের সাথে সম্পর্কিত একটি বিষয়। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ব্লগার জাফর সাহেবের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url