স্বপ্নদোষ হলে শরীর দুর্বল হয় কেন - স্বপ্নদোষ বন্ধ করার দোয়া
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ প্রিয় পাঠক আপনি কি স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন ? কিংবা স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তির কোন ইসলামিক উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? যদি তাই হয় তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। এখানে আপনি কিভাবে স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তি লাভ করতে পারবেন, এবং কি কি আমল করলে আপনার স্বপ্নদোষ অতিরিক্ত হওয়া থেকে মুক্তি পাবেন, নিম্নে এই সকল বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে ।
স্বপ্নদোষ থেকে অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ থেকে কিভাবে মুক্তি পাবেন এবং, যেই যেই আমল করলে আপনি সুস্থ থাকবেন। এবং যেই যেই খাবার খেলে আপনার স্বপ্নদোষ ঘন হবে না, এই সকল বিষয় যদি জানতে চান তাহলে এখনই দেরি না করে নিম্নের আর্টিকেলটি পড়ে ফেলুন, আশা করি আপনি যেটা জানতে চাচ্ছেন সেটা পেয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ।
অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তির উপায়
আসলে আমাদের জানা উচিত যে, স্থলনের দিক থেকে আমাদের অর্থাৎ মানুষের দেহে বীর্য হল এক ধরনের প্রস্রাবের মত যেটা কিনা প্রয়োজন মত আমাদের দেহে তৈরি হয় আবার সময়মতো বের হয়ে যায়। আমরা জানি যে বীর্য হল একটি অমূল্য বস্তু কিন্তু এই বিরোধিতা যদি আমাদের দেহে অধিক সময় থেকে যায় তাহলে সেটা আমাদের জন্য ক্ষতিকর। এজন্য আল্লাহ তায়ালার নিয়ম হলো অবিবাহিত যুবকের স্বাভাবিক ও প্রকৃতিগতভাবে দেহ থেকে যথাসময়ে নির্গত হয়ে যাওয়া।
আমরা জানি যে স্বপ্নের মধ্যমে যৌন উত্তেজনা মূলক কোন কিছু দেখলে স্বপ্নে বা করলে তখন বীর্যপাত হয়। আর এই প্রক্রিয়াটাকেই বলে স্বপ্নদোষ যদিও এটা খারাপ কিছুই নয় তাবার যদি এটা বেশি আকারে হয়ে যায় তাহলে এটা আবার খারাপের দিকে চলে যায়। অর্থাৎ যখন মাসে ৬০ থেকে ৫ বারের অধিক হতে থাকে।
আর ওই সময়ই প্রয়োজন হয় আমাদের চিকিৎসাও আনুষঙ্গিক প্রতিব্যবস্থার। সুতরাং আমাদের স্বাভাবিকভাবে স্বপ্নদোষ হওয়াতেই কোনোভাবেই ঘাবড়ানো দরকার নেই, ধারণা করে চিন্তা ভাবনা চিন্তিত হওয়ারও কোনো কারণ নেই। তাহলে সেটা তরল হয়ে যায়। আর এই ইস্থলন হবে এটাই প্রকৃতির নিয়ম। অতএব আমাদের স্বপ্নদোষ হওয়ায় আমাদের বীর্যটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
কিংবা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে কিংবা এরকমভাবে চিন্তা করে নিজেকে দুর্বল করা ঠিক হচ্ছে না। এটা অবশ্য ঠিক যে অতিরিক্ত মাত্রায় যদি হয়ে যায় কিংবা এই প্রক্রিয়াটা যদি আমাদের অতিরিক্ত মাত্রায় হয় তাহলে সেটা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে আপনার যদি এরকম ভাবে স্বপ্নদোষ ঘন ঘন হয় তাহলে নিম্নলিখিত কিছু উপদেশ মালা গ্রহণ করুন ইনশাল্লাহ কমে যাবে।
- যৌন উত্তেজনামূলক কোন ভিডিও কিংবা কোন কিছু দেখাশোনা কিংবা পড়া থেকে দূরে থাকতে হবে।
- আমাদের মন থেকে সকল যৌন চাহিদা ও বিবাহ চিন্তা দূর করা উচিত আর তার জন্য ব্যবস্থাময় যেকোনো ধরনের কাজ খুঁজে নিন। ইসলামিক দিন ও আখেরাতমূলক বক্তৃতা শুনে কিংবা আলোচনা করে অথবা পড়ে সময়টাকে কাজে লাগিয়ে দেন।
- আপনার যদি সম্ভব হয় তবে নির্জন থাকা বা একাকী কোন জায়গায় বাস করা কিংবা কোন কুসংস্বর্গ ত্যাগ করবেন। এবং পরহেজগার বন্ধুর বাছাই করবেন।
- বিভিন্ন রকমের গুরুপাক ও উত্তেজক খাদ্য গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবেন। বিশেষ করে রাত্রে এই সকল খাদ্য থেকে বেঁচে থাকবেন।
- নিয়মিত যদি পারেন ঠান্ডা পানিতে গোসল করবেন।
আর সব সময় মনে রাখবেন যে সিনেমা ভিডিও টিভি বা নোংরা পত্রপত্রিকায় নারীর অর্ধনগ্ন দেহের ছবি কিংবা যেকোনো মেলায় গেলে কিংবা হাটে বাজারে বেপর্দা মহিলা দেখলে তা থেকে দূরে থাকবেন আর যদি এরকমটা না পারেন তাহলে আপনার রাত্রে কিন্তু স্বপ্নদোষ থেকে বাঁচতে পারবেন না। বুঝতেই তো পারছেন উঠতি বয়সের তরঙ্গায়িত এমন যৌবন জ্বালাকে দমন করতে আমাদের প্রয়োজন হয় সব পরহেজগারীর।
আর আল্লাহ তায়ালা ভীতির শীতল পানি দিয়ে আমাদের সে আগুন যদি আমরা না-নিভাতে পারি তাহলে স্বাস্থ্য হানি অবধার্য। হ্যাঁ আরো একটি বিষয় স্বপ্নদোষের জ্বালাতন থেকে বাঁচতে গিয়ে কোন প্রকার শিরকে পতিত হবেন না যেমন কোন প্রকারের তাবিজ কিংবা অষ্টধাতুর মাদুলি ইত্যাদি, এই সকল আরও হাতে বা কোমরে বেঁধে স্বপ্নদোষ বন্ধ করার এ সকল বেকার অপচেষ্টা কখনো করবেন না।
এতে লাভের কোন তো কিছু হবেই না উল্টো আপনার ডবল ক্ষতি হবে পয়সাও যাবে এবং আপনি শির্কের মধ্যে পতিত হবেন, তবে শোয়ার সময় বিভিন্ন শরীয়ত সম্মত আদব পালন করে স্বপ্নদোষ বন্ধ করতে পারবেন। যেমনঃ শোয়ার সময় ওযু করে শুবেন, অতঃপর বিছানায় ডান কাঁত হয়ে শুবেন, উবুর হয়ে চেষ্টাও করবেন না।
ঘুমানোর পূর্বে আয়তাল কুরসি পাঠ করবেন এবং যদি পারেন সুরাতুল ইখলাস সূরাতুল ফালাক সূরাতুল নাস এই সূরা গুলো পড়ে দুই হাতে ফুক দিয়ে সমস্ত শরীরে বুলিয়ে নেবেন এবং এরূপ তিনবার করবেন। যতক্ষণ না আপনার ঘুম না আসছে এরকম ভাবে বিভিন্ন রকমের দোয়া, কোরআন অথবা মুখস্ত যে কোন কিছু পাঠ করতে থাকবেন। আর ভুলেও এই সময় সবার সময় যৌন বা বিবাহের চিন্তা মনে আনবেন না।
আর যদি কখনো ঘুমের সময় খারাপ স্বপ্ন দেখেন তাহলে জেগে উঠবেন উঠে বাম দিকে থুথু ফেলবেন তিনবার। আর তখন শয়তানের অনিষ্ট থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবেন এবং আপনি যেই পাশ হয়ে শুয়ে ছিলেন ওই পাশ পরিবর্তন করবেন। আর আমাদের জানা আছে যে বিরোধী হয় তাহলে গোসল করতে হবে কারণ গোসল করা আমাদের জন্য ফরজ হয়ে যায়।
অবশ্য যদিও খারাপ স্বপ্ন দেখলে এবং জেগে উঠে কাপড় যদি ভিজে না দেখেন তাহলে গোসল আপনার জন্য ফরজ হবে না। তবে যদি আপনি তাহলে তখন আপনার জন্য গোসলটা ফরজ হয়ে যাবে। আর যদি স্বপ্ন দোষ, এরকম ভাবে রাতেই হয় তাহলে আপনি ফজরের নামাজের আগেই গোসল সেরে জামাতের সাথে নামাজ আদায় করবেন।
আয় জেনে রাখবেন যে আল্লাহর ফরজ আদায়ের লজ্জা করা হারাম। উত্তেজনার পর পুরুষাঙ্গে যদি দেখেন যে পাতলা আঠালো পানি দেখা যায় তাহলে সেটা কেবল ধুয়ে অজু করবেন তাহলে সেটাই আপনার জন্য যথেষ্ট হবে আর এতে গোসল আপনার জন্য ফরজ হবে না। আর সব সময়ের জন্য ধাতু ধরার রোগ থাকলে প্রত্যেক নামাজের জন্য কাপড় বদলে ওযু করা জরুরি।
অতএব আমাদের যৌবনের যৌন জ্বালার অন্ধকারে বিভ্রান্ত না হয়ে ধৈর্য ধরা উচিত। তারপর যত সময়ে একটি মনের মত সঙ্গিনী খুঁজে বিবাহ করা। আর আপনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যদি আপনি আয় রোজগার করেন তাহলে বিবাহ করে ফেলবেন এতে করে আপনি এরকম স্বপ্ন 10 থেকে বাঁচতে পারবেন। আর বিবাহের মাধ্যমে আপনার মন ও জীবন আলোকিত হবে তারপর আপনি যতবার সম্ভব নিয়মিতভাবে যৌন মিলন করবেন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবেন তখন আপনি আপনার মনের তখন সকল চিন্তা দূর চিন্তা দূরীভূত হয়ে যাবে।
স্বপ্নদোষ বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়
স্বপ্নদোষ বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় বলতে গেলে প্রথমে বলতে হয় যে আপনার জীবনধারার পরিবর্তন করতে হবে। যেমন আপনাকে খাদ্যাভাস চেঞ্জ করতে হবে আরো শারীরিক পরিবর্তন আনতে হবে পাশাপাশি আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। তবে বাড়িতেই কয়েকটি কাজ আপনি করতে পারেন সেগুলো কি কি নিম্নে উল্লেখিত করা হলোঃ
- প্রথমেই বলতে চাই যে আপনাকে একাকীত্ব দূর করতে হবে, যদি সম্ভব হয় রাতে কখনো একা একা শুবেন না। এবং স্মার্টফোন থেকে দূরে থাকবেন কারণ সেখানে অনেক ধরনের নগ্ন ছবি আসে চোখের সামনে পড়ে যায়।
- ধ্যান করার চেষ্টা করবেন ধ্যান করলে মনোযোগ বাড়ে আর অভ্যন্তরে অনুভূতিগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় এর ফলে পুরুষরা কিছু কাজ করার থেকে নিজেকে নিজেদেরকে রাখতে পারবেন। এটি সব দোষ বন্ধ করার জন্য একটি ভীষণ উপকারী বিষয়।
- রাত্রে যখন শুইতে যাবেন তখন গন্ধসার তেল দিয়ে গোসল করলে আপনার শরীর অনেক আরামদায়ক হবে এবং আপনি খুব শান্তিতে ঘুমাতেও পারবেন।
- ব্যায়াম এবং যোগাসন একজন পুরুষ মানুষকে তার শরীর মন এবং তার মস্তিষ্কের ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহযোগিতা করে অতএব আপনি নিয়মিত প্রত্যেক দিন সকালে যোগাসন করলে সেসব যৌন কাজ থেকে বিরত থাকতে পারবেন যেগুলোতে রাত্রে স্বপ্নদোষ হতে পারে।
- আপনি আপনার খাদ্যাভাসে আম্লিক খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিন, কারণ সেগুলোতে যৌন চাহিদা বেশি হয় আর বিশেষ করে রাত্রে তো এসব খাবার খাবেন না।এরপরও যদি আপনার রাত্রে স্বপ্নদোষ বন্ধ না হয় তাহলে আপনাকে পরামর্শ নিতে হবে একজন সেক্সোলজি কাছে থেকে।
- ঘুমাতে যাবার আগে প্রস্রাব করে নেবেন যদিও এটি স্বপ্নদোষের চিকিৎসা নয় তবে এটি স্বপ্নদোষের চাপ কমাতে আপনাকে সহযোগিতা করবে।
- ঘুমাতে যাবার পূর্বে এক কাপ ঋষি পাতা এর চা পান করবেন ।এটা পান করলে আপনি অনেকটা স্বপ্নদোষ থেকে বাঁচতে পারবেন। অর্থাৎ কম হবে।
- অশ্বগন্ধা স্বপ্নদোষের সৃষ্ট সমস্যায় উপকারসহ সর্বোপরি যৌন স্বাস্থ্য শুদ্ধি হরমোন ব্যালেন্স এবং আপনার হস্তমৈথুনের ফলে যে দুর্বল হয়ে যাওয়া বিতর্কিত ভাবে ছোটখাটো ইঞ্জুরি গুলো সারিয়ে তোলা যায়। যদি এটা খেতে পারেন।
- ঘুমানোর পূর্বে আপনি অতিরিক্ত পানি পান করবেন না যদি সামান্য পরিমাণ প্রসবের লক্ষণও যদি আপনার থেকে থাকে বিছানায় যাওয়ার আগে আপনি প্রস্রাব করে নিন এটা আপনার স্বপ্নদোষ হওয়া থেকে বাধা সৃষ্টি করবে।
- রাতে খাবার খাওয়ার পরেই পরেই ঘুমাতে যাবেন না কিছুক্ষণ আপনি হাটাহাটি করতে পারেন।
স্বপ্নদোষ বন্ধ করার দোয়া
স্বপ্নদোষ বন্ধ করতে চাইলে যে সকল দোয়া দরুদ করবেন, আসলে এটা হচ্ছে একটি প্রাকৃতিক নিয়ম যে, এটা আমাদের সকলেরই হবে এখন এটা যদি নিয়মের বাইরে হয়, অর্থাৎ যদি অতিরিক্ত হতে থাকে তাহলে এটা থেকে কিভাবে মুক্তি পাবেন?
আসলে এইটা আমাদের হওয়ার কারণ হলো আমরা উপরে বিস্তারিত জানছি যে আল্লাহতালা এরকম ভাবে স্বপ্নের মাধ্যমে আমাদের শরীরের ভেতরকার ক্ষতিকার যেই বীর্য গুলো আছে সেগুলো বের করে দেন স্বপ্নের মাধ্যমে। তো এইটা যেন অতিরিক্ত মাত্রায় না হয় এজন্য কিছু আমল আমরা নিয়মিত করতে পারি। যেমনঃ
- আমরা যখন ঘুমানোর ইচ্ছা করব তখন আমরা যেন অজু করে ঘুমাবো।
- ঘুমানোর পূর্বে 10 থেকে 15 বার দুরুদ শরীফ পড়বো।
- ঘুমানোর পূর্বে যাদের আয়াতুল কুরসি জানা আছে তারা সকলে আয়াতুল কুরসি পড়ে বুকে ফু দিয়ে ঘুমাবো।
- ঘুমানোর পূর্বে ঘুমাবো যদি আপনার খাট কিংবা আপনার শোবার জায়গা যদি উত্তর দক্ষিণ করে বিছানো থাকে তাহলে চেষ্টা করবেন কিবলামুখী হয়ে ঘুমানোর।
- এছাড়াও আরও একটি আমল করতে পারেন সেটি হল পবিত্র কুরআনুল কারীমের ৩০ নম্বর পাড়ায় (সুরাতুল তারিক) এটা পড়ে শয়ন করবেন। আর ঘুম না আসা পর্যন্ত হালকা করে জিকির করবেন এবং অন্যান্য যেই দোয়াগুলো দোয়া দরুদগুলো আছে সেগুলো পড়তে পড়তে ঘুমাবেন আশা করি আল্লাহর রহমতে আপনি স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তি পেতে পারবেন।
স্বপ্নদোষ হলে শরীর দুর্বল হয় কেন
আসলে আমরা সকলেই অবগত আছি যে আমাদের প্রত্যেকটা পুরুষেরই এরকম স্বপ্নদোষ হয়। আসলে এটাতে কোন দুর্বল অনুভূত হয় না আসলে যে দুর্বলতা অনুভূত হয় সেটা হচ্ছে আমাদের মনের দুর্বলতা। কারণ দেখুন আমরা যখন ফিজিকালি সেক্সুয়াল করি তখন দেখেন কোন রকমের দুর্বলতা ভাব হয়।কিন্তু যখন স্বপ্নদোষ হয়ে যায় তখন আমরা নিজেদেরকে মনে করি যে আমাদের শরীর দুর্বল লাগছে।
আসলে এখন আমাদের সমাজে অনেক ধরনের মানুষ পেয়েছে যারা হাটে, বাজার্, ঘোরাফেরা করে আর এখন তো জানেনই যে হাটে বাজারে অনেক হকার হকারদের অভাব নেই। তারা বিভিন্ন রকমের কথা বলে এবং বিভিন্ন রকমের ঔষধ বেচাকেনা করে যেমন তারা অনেক সময় বলে থাকে যে যাদের যাদের এরকম স্বপ্নদোষ রোগ রয়েছে যাদের দুর্বলতা ভাব হয় তারা এটা কিনুন, ওইটা কিনুন।
তারা আসলে এগুলা বলে তাদের ব্যবসার কারণে আসলে স্বপ্নদোষের পরে আমাদের যে দুর্বলতা তা ভাব হয় সেটা হচ্ছে আমাদের মনের দুর্বলতা স্বপ্নদোষের কারণে পুরো দুর্বলতা হয় না। আর যখন আমাদের শরীর থেকে বীর্য বের হয় তখন একটু হলেও ক্লান্তি লাগবেই।
কারণ যখন ধরেন আমরা কোন ব্যক্তিকে ব্লাড দেই, সেই ব্লাড দেওয়ার পরে যেমন আমাদের শরীরে ক্লান্ত হয়, তেমনিভাবে বীর্য বের হলেও আমাদের ক্লান্তি ভাব হয়। কারণ বীর্য তো তৈরি হয় রক্ত থেকে। সেখানে একটু একটু দুর্বলতা কিংবা ক্লান্তি ভাব হওয়াটাই স্বাভাবিক।
স্বপ্নদোষ বন্ধ করার খাবার
অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ বন্ধ করতে যে সমস্ত খাবারগুলা খাবেন সেগুলোর কিছু তালিকা আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলোঃ
- সব সময় ঠান্ডা তরকারি বা ঠান্ডা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন, যেমন লাউ খাবেন লাউ এর মধ্যে শরীর ঠান্ডা করার মতন গুনাগুন রয়েছে এবং সেটা শরীর গরম হতে দেয় না তাই স্বপ্নদোষ সেই লাউ রুখতে পারে। আর এই লাউ দুইভাবে ব্যবহার করে খেতে পারেন আপনি; ঘুমানোর পূর্বে লাউ এর জুস করে খেতে পারেন। অথবা তিলের তেলের সাথে এটাকে মিশিয়ে মালিশ করে নিতে পারেন।
- বৈজি বা আমলার রস শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে সহযোগিতা করবে আপনাকে। এইটা বিশ্বাস করা যায়, যে এক গ্লাস বইসই ফলের রস যদি কেউ খায় তাহলে সে স্বপ্নদোসের হাত থেকে মুক্তি পায়।
- আমরা জানি যে পেঁয়াজ এবং রসুনের মধ্যে শারীরিক নানান রকম অসুস্থতা সারিয়ে তোলার ক্ষমতা রয়েছে। ৩ থেকে ৪ কোয়া রসুন আর পেঁয়াজ সালাত করে খেলে অতিরিক্তস্বপ্নদোষ হবে না।
- আগে থেকে ভিজিয়ে রাখা এলমন্ড কলা আদা যদি দুধে মিশিয়ে খাওয়া যায় তবে রাত্রে ধাতু নির্গমনের হাত থেকে রেহায় পেতে পারেন। কারণ আমরা জানি যে কলার মধ্যে শরীর ঠান্ডা করার গুণ রয়েছে যা আপনার এরকম স্বপ্নদোষের মতন সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সহযোগিতা করে।
- তাছাড়া আপনি যদি দই খান দই খেলেও এই সমস্যার হাত থেকে আপনি রেহাই পেতে পারেন। কারণ আপনার শরীরটাকে ঠান্ডা করে রাখে। আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তো বাড়িয়ে তোলেই।
- আপনি ছেলের ই বা মিথের রস খেতে পারেন, কারণ মিথের রস বা সেলেরি অকাল বীর্যপাত ও অতিরিক্ত স্বপ্নদোষের মতন রোগের ভীষণ কার্যকরী। আর এটি যদি আপনি সরাসরি খেতে না পারেন তব.২:১ অনুপাতে মধুর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।
বিশেষ পরামর্শ:স্বপ্নদোষ হলে শরীর দুর্বল হয় কেন
স্বপ্নদোষ কোন খারাপ বিষয় নয় এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এটি প্রত্যেকটা মানুষেরাই হয়ে থাকে বয়ঃসন্ধিকালে যখন কেউ ধাপ দেয় তখন তার এইটা দেখা দেয়, তো এইটা নিয়ে ঘাবড়ানোর কোন কিছু নেই। এইটা ছেলে মেয়ে উভয়েরই হয়ে থাকে। এখন এই স্বপ্ন দশটা যদি অতিরিক্ত হয়ে যায় তাহলে এইটার জন্য ওপরে যা যা আলোচনা করা হলো।
এগুলা নিয়ম মাফিক মানবেন। আর আজকের আমাদের সমাজে প্রচলিত ধারণা স্বপ্নদোষ নিয়ে অনেক রোগী স্বপ্নদোষ হওয়াকে মারাত্মক রোগ হওয়া বলে মনে করে। তাদের ধারণা কেমন যে, যৌবনে এটা একটা বড় যৌন সম্পর্কিত অনেকে আছে নানা ধরনের চিকিৎসা কার আনন্দ এমনকি স্বপ্নদোষ ও হস্তমৈথুনের জন্য প্রচলিত ব্যয়বহুল অনেক ধরনের চিকিৎসা করে থাকেন।
এদের অজ্ঞতার সুযোগ নেন অনেকে। এমনকি স্বপ্নদোষ কে ভয়াবহ রোগ হিসেবে অভিহিত করে রোগের মনে তারা আতঙ্ক সৃষ্টি করে দেই। যেটা আসলে আতঙ্কের কিছুই না। অতএব ভয়ের কোন কারণ নেই এবং সব সময় আল্লাহ তায়ালার উপর ভরসা রাখবেন আল্লাহ তাআলা আপনাকে এই সমস্ত রোগ থেকে মুক্তি দিবেন ইনশাআল্লাহ।
ব্লগার জাফর সাহেবের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url