১০ মাসের শিশুর পাতলা পায়খানা হলে করণীয় - শিশুর পাতলা পায়খানার এন্টিবায়োটিক

প্রিয় পাঠক মন্ডলী আজকে আমরা আলোচনা করব ১০ মাসের শিশুর পাতলা পায়খানা হলে করণীয় বা শিশুর ডায়রিয়া হলে কি কি করণীয় রয়েছে এ সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে। অনেক মা আছেন যারা নতুন অবস্থাতেই বুঝতে পারেন না যে শিশু ডায়রিয়া হলে করণীয় কি এ সকল বিষয়ে সম্পর্কে। তো আপনাদের জন্যই আজকে দশ মাসের শিশুর পাতলা পায়খানা হলে করনীয় কি, এ নিয়ে আর্টিকেল লেখা তো চলুন জেনে নেওয়া যাক।
১০ মাসের শিশুর পাতলা পায়খানা হলে করণীয় - শিশুর পাতলা পায়খানার এন্টিবায়োটিক
সুতরাং চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক, দশ মাসের শিশুর পাতলা পায়খানা হলে করণীয় কি এবং শিশু পাতলা পায়খানার এন্টিবায়োটিক কি এবং শিশুর ডায়রিয়া হলে কি ওষুধ সেবন করাতে হবে? এ সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে নিম্নের পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন। আশা করি বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।

শিশুদের ডায়রিয়া হলে কি করনীয়

শিশুদের ডায়রিয়া হলে করণীয় কি? এ সম্পর্কে অনেকেই জানেন না অর্থাৎ নতুন যারা মা হয়েছেন, এ সকল মানুষরা এ বিষয়ে ধারণা খুব কম রাখেন। তারা ভাবতে থাকে যে সন্তানের ডায়রিয়া হয়েছে এখন যদি কিছু হয়ে যায়। এ বিষয় নিয়ে অনেকেই অনেক বিষয়ে চিন্তাভাবনার মধ্যে পড়ে যান। আসলে এ নিয়ে কোন চিন্তার কারণ নেই আজকে জানবেন যে শিশুদের ডায়রিয়া হলে করণীয় কি সম্পর্কে। 

আসলে শিশুর ডায়রিয়া হয় কোন সময় যখন শিশুর শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয়। আপনার করণীয় হচ্ছে শিশুকে তরল জাতীয় খাবার এবং স্যালাইন খুব বেশি পান করানো। এবং এর পাশাপাশি খাওয়াতে হবে যেমনঃ চিড়ার পানি, ভাতের মার, ডাবের পানি, এবং এর পাশাপাশি টক ্দই, ঘোল, ফলের রস সহ লবণ গুরুর শরবত, এগুলো খাওয়াতে হবে। 
আর তাছাড়া এটা জানেনই যে ডায়রিয়া হলে শরীরটাকে যে পানি এবং লবণগুলো বের হয়ে যায় এগুলো স্যালাইন খুব সহজে পূর্ণ করে দেয়। এবং এরপরেও যদি দেখেন শিশু অনেকটা খারাপ দিকে চলে যাচ্ছে শরীরটা, তাহলে দেরি না করে খুব দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। এবং ভালো ডাক্তার দেখিয়ে ডায়রিয়া ভালো করতে হবে। তো আশা করছি ডায়রিয়া হলে করণীয় কি এ সম্পর্কে জানতে পারলেন।

১০ মাসের শিশুর পাতলা পায়খানা হলে করণীয়

প্রিয় পাঠক আপনার ১০ মাসের শিশুর পাতলা পায়খানা হলে করণীয় কি? অর্থাৎ আপনার একটি দশ মাসের শিশু রয়েছে শিশুটি কিছুদিন পরপরই ডায়রিয়া কিংবা পাতলা পায়খানার রোগে ভুগে থাকে। তো আপনি আপনার দশ মাসের শিশুর পাতলা পায়খানা হলে করনীয় কি বা কি কি করলে খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে চলুন এবার সেটা জেনে নেওয়া যাক। 

আপনার সে সূর্য যখন পাতলা পায়খানা হবে বা ডায়রিয়া হবে তখন তাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। তার কারণ যখন শিশুর ডায়রিয়া হয় তখন তার শরীর একবারে শুকিয়ে যায়। শুধু তাই নয় ওই সময় শিশুর চোখের ঘুম পর্যন্ত কমে যায়। এজন্য সব সময় থাকে ঘুমের মধ্যে রাখতে হবে, যাতে করে তার শরীরটা অনেকটা দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। এবং এর পাশাপাশি সবসময় চেষ্টা করবেন শিশুর হাতগুলো এবং পা গুলো সব সময় সাবান দিয়ে ধৌত করে দেওয়া। 

কারণ অনেক সময় দেখা যায় যে শিশুর হাত নোংরা থাকার কারণে ওই হাত যখন আঙ্গুল যখন মুখে দেয় তখন এতে করে নোংরা পেটের মধ্যে যায়, এবং এতে করে ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া নিম্নে ১২টি করণীয় সম্পর্কে দিয়ে দেওয়া হল এগুলো অবশ্যই ফলো করবেন।
  1. পর্যাপ্ত তরল দেওয়াঃ শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি, ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন (ORS) এবং মাতৃদুগ্ধ খাওয়াতে হবে।
  2. মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানোঃ শিশুকে মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানো অব্যাহত রাখুন কারণ এতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং ইমিউন সাপোর্ট পাওয়া যায়।
  3. বিশেষ খাবার দেওয়াঃ শিশুকে নরম এবং সহজপাচ্য খাবার যেমন ভাত, ডাল, আলু, আপেল, কলা ইত্যাদি খাওয়াতে পারেন।
  4. ইলেকট্রোলাইট সরবরাহঃ ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন (ORS) এর মাধ্যমে ইলেকট্রোলাইট সরবরাহ করতে পারেন।
  5. স্যানিটেশন বজায় রাখাঃ শিশুর আশেপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে এবং প্রতিবার পায়খানা করার পর ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে।
  6. চিকিৎসকের পরামর্শঃ দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, বিশেষ করে যদি শিশুর পাতলা পায়খানা বেশিদিন ধরে থাকে।
  7. পেট ম্যাসাজ করাঃ পেটের হালকা ম্যাসাজ শিশুর আরাম দেবে এবং পেট ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।
  8. জ্বর হলে প্যারাসিটামলঃ যদি জ্বর থাকে, চিকিৎসকের পরামর্শে শিশুকে প্যারাসিটামল দেওয়া যেতে পারে।
  9. প্রবায়োটিকস দেওয়াঃ চিকিৎসকের পরামর্শে প্রোবায়োটিক সাপ্লিমেন্টস দেওয়া যেতে পারে যা অন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
  10. কোনো নতুন খাবার দিলে বন্ধ করাঃ যদি কোনো নতুন খাবারের পর শিশুর পাতলা পায়খানা শুরু হয়ে থাকে, তবে তা বন্ধ করে দিন।
  11. নিয়মিত তাপমাত্রা পরীক্ষা করাঃ শিশুর শরীরের তাপমাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে এবং জ্বরের লক্ষণ থাকলে ব্যবস্থা নিতে হবে।
  12. প্রচুর বিশ্রাম দেওয়াঃ শিশুকে প্রচুর বিশ্রাম দিতে হবে এবং আরামদায়ক অবস্থানে রাখতে হবে যাতে তার শরীর দ্রুত সেরে উঠতে পারে।
এছাড়া শিশুর কোনো অ্যালার্জি বা বিশেষ চিকিৎসার প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

শিশুর ডায়রিয়া হলে কি ওষুধ

শিশুর ডায়রিয়া হলে সাধারণত কয়েকটি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। ওষুধ ছাড়াও কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি এবং ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলা উচিত। নিম্নে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়ে দেওয়া হলোঃ

ওষুধ এবং চিকিৎসা

  • ওআরএস (ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন): ডায়রিয়ার সময় শরীর থেকে প্রচুর পানি এবং লবণ বেরিয়ে যায়, যা পূরণ করা খুবই জরুরি। ওআরএস এই ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে।
  • জিঙ্ক ট্যাবলেট: ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী জিঙ্ক ট্যাবলেট খাওয়ানো যেতে পারে। এটি ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
  • প্রোবায়োটিকস: কিছু ক্ষেত্রে ডাক্তার প্রোবায়োটিকস সাপ্লিমেন্ট দিতে পারেন, যা শিশুর অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
  • এন্টিবায়োটিকস: যদি ডায়রিয়া ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে হয় তবে ডাক্তার এন্টিবায়োটিক দিতে পারেন। তবে, এটি শুধুমাত্র ডাক্তারের পরামর্শে খাওয়াতে হবে।

ঘরোয়া পদ্ধতি

  • পর্যাপ্ত পানি ও তরল পদার্থঃ শিশুকে পর্যাপ্ত পানি এবং তরল (যেমন ফ্ল্যাট সোডা, স্যুপ, নারকেল পানি) খাওয়াতে হবে।
  • মাল্টি-গ্রেইন ও কম মসলাযুক্ত খাবারঃ ডাল, খিচুড়ি, কলা, টোস্ট ইত্যাদি খাবার খাওয়ানো যেতে পারে।
  • বুকের দুধঃ যদি শিশু বুকের দুধ খায়, তবে তা বন্ধ করা উচিত নয়। বুকের দুধ ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুদের জন্য খুবই উপকারী।

সতর্কতা

  • জলবাহিত রোগঃ শিশুকে নিরাপদ পানি খাওয়ানোর দিকে খেয়াল রাখুন।
  • হাত ধোয়াঃ শিশুর ডায়রিয়ার সময় ও পরবর্তীতে হাত ধোয়া জরুরি।
  • ডাক্তারের পরামর্শঃ যদি ডায়রিয়া ২৪ ঘণ্টার বেশি স্থায়ী হয়, বা যদি শিশুর শরীর দুর্বল, বারবার বমি বা জ্বর থাকে, তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
শিশুর ডায়রিয়া হলে নিজে থেকে কোনো ওষুধ খাওয়ানো উচিত নয়। ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলা সবচেয়ে ভালো।

১ বছরের শিশুর ডায়রিয়া হলে করণীয়

১ বছরের শিশুর ডায়রিয়া হলে তাকে সঠিক যত্ন এবং চিকিৎসা প্রদান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডায়রিয়ার ফলে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি এবং লবণ বেরিয়ে যায়, যা শিশুর জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। নিচে ডায়রিয়া হলে করণীয় কিছু পদক্ষেপ বর্ণনা করা হলো:

ওআরএস (ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন)

  • ওআরএস খাওয়ানোঃ ওআরএস পাউডার পানি মিশিয়ে শিশুকে খাওয়াতে হবে। ওআরএস পানীয় শিশুর শরীরের লবণ এবং পানির ভারসাম্য রক্ষা করে। সাধারণত প্রতি ডায়রিয়া পর্বে ৫০-১০০ মিলিলিটার ওআরএস খাওয়ানো উচিত।
  • বুকের দুধ বা ফর্মুলাঃ যদি শিশু বুকের দুধ খায়, তবে তা চালিয়ে যেতে হবে। বুকের দুধ শিশুর জন্য নিরাপদ এবং পুষ্টিকর। যদি শিশু ফর্মুলা খায়, তবে তা খাওয়ানো অব্যাহত রাখতে হবে, তবে পানির সাথে ফর্মুলা মিশ্রণের পরিমাণ নিশ্চিত করুন।

তরল এবং পুষ্টিকর খাবার

  • নিরাপদ পানিঃ পর্যাপ্ত নিরাপদ পানি খাওয়াতে হবে।
  • মাল্টি-গ্রেইন খাবারঃ খিচুড়ি, ডাল, কলা, সেদ্ধ আলু ইত্যাদি সহজপাচ্য এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো যেতে পারে।
  • ফল এবং সবজিঃ কলা, আপেল এবং অন্যান্য পুষ্টিকর ফল খাওয়ানো যেতে পারে, তবে সবজি সেদ্ধ করে দিতে হবে।

ঘরোয়া যত্ন

  • পর্যাপ্ত বিশ্রামঃ শিশুকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিতে হবে।
  • পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতাঃ শিশুর পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। খাওয়ানোর আগে ও পরে এবং পটি পরিবর্তনের পরে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
  • পটি পরিবর্তনঃ ডায়রিয়ার সময় পটি পরিবর্তন করতে হবে যাতে ত্বকের সমস্যা না হয়।

ডাক্তারের পরামর্শ

ডাক্তারের সাথে যোগাযোগঃ যদি ডায়রিয়া ২৪ ঘণ্টার বেশি স্থায়ী হয়, বা শিশুর শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, বারবার বমি হয়, জ্বর থাকে বা শরীরে পানি শূন্যতার লক্ষণ দেখা দেয় (যেমন চোখের চারপাশের ত্বক শুকিয়ে যাওয়া, কম প্রস্রাব হওয়া), তাহলে ডাক্তারের সাথে অবিলম্বে যোগাযোগ করতে হবে।

এড়িয়ে চলার বিষয়

  • এন্টিবায়োটিকের ব্যবহারঃ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক খাওয়ানো উচিত নয়। অধিকাংশ ডায়রিয়া ভাইরাস সংক্রমণ থেকে হয় এবং এন্টিবায়োটিক কার্যকর নয়।
  • মিষ্টি পানীয় ও জুসঃ ডায়রিয়ার সময় মিষ্টি পানীয় ও জুস এড়িয়ে চলা উচিত কারণ এটি ডায়রিয়া বাড়িয়ে দিতে পারে।
শিশুর ডায়রিয়া হলে সময়মতো এবং সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ, যেন শিশুর শরীরে পানি এবং লবণের ঘাটতি না হয় এবং শিশুটি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারে।

শিশুর পাতলা পায়খানার এন্টিবায়োটিক

শিশুর পাতলা পায়খানা হলে সে ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক খাওয়া কতটুকু জরুরী বা এটি কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ এবং এর কি কি ক্ষতিকর দিক বা ভালো দিক রয়েছে এ সম্পর্কে চলুন এবার বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

সাধারণ নীতি

  • ভাইরাল ডায়রিয়াঃ অধিকাংশ শিশুদের পাতলা পায়খানা (ডায়রিয়া) ভাইরাসের কারণে হয়, যেমন রোটা ভাইরাস। ভাইরাল ডায়রিয়ার ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক কার্যকর নয়।
  • ব্যাকটেরিয়াল ডায়রিয়াঃ কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষ করে যদি ডায়রিয়া ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে হয়, তখন এন্টিবায়োটিক প্রয়োজন হতে পারে। এই ধরনের ডায়রিয়ার লক্ষণগুলো হলো রক্তমিশ্রিত পায়খানা, জ্বর, এবং শিশুর অবস্থা গুরুতর হলে।

এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের প্রয়োজন

এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র একজন প্রশিক্ষিত চিকিৎসক নিতে পারেন। কিছু সাধারণ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ যেখানে এন্টিবায়োটিক প্রয়োজন হতে পারেঃ
  1. শিগেলা (Shigella)** সংক্রমণ
  2. ক্যাম্পিলোব্যাক্টার (Campylobacter)** সংক্রমণ
  3. সালমোনেলা (Salmonella)** সংক্রমণ

এন্টিবায়োটিকের উদাহরণ

  • আজিথ্রোমাইসিন (Azithromycin): সাধারণত শিশুদের ব্যাকটেরিয়াল ডায়রিয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়।
  • সিপ্রোফ্লোক্সাসিন (Ciprofloxacin): কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, তবে শিশুদের জন্য এর ব্যবহার সীমিত এবং বিশেষ নজরদারীতে।

করণীয়

  • চিকিৎসকের পরামর্শঃ শিশুদের এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।
  • পর্যাপ্ত তরল ও পুষ্টিঃ শিশুর ডায়রিয়ার সময় পর্যাপ্ত ওআরএস, পানি, এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো অব্যাহত রাখতে হবে।
  • পুনর্বাসনঃ শিশুর ডায়রিয়া থেমে গেলে, ধীরে ধীরে সাধারণ খাদ্য তালিকায় ফিরে আসা উচিত।
  • সতর্কতা
  • এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্সঃ অপ্রয়োজনীয় এন্টিবায়োটিক ব্যবহার এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স তৈরি করতে পারে, যা ভবিষ্যতে চিকিৎসা কঠিন করে তুলতে পারে।
  • পার্শপ্রতিক্রিয়াঃ এন্টিবায়োটিকের পার্শপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, যেমন পেট ব্যথা, বমি, এবং ডায়রিয়া। তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধের মাত্রা এবং সময়কাল মেনে চলা জরুরি।
শিশুর ডায়রিয়া হলে, সঠিক চিকিৎসা এবং যত্নের জন্য প্রথমে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত এবং ডাক্তারের নির্দেশনা মেনে এন্টিবায়োটিক বা অন্য যে কোনো ওষুধ ব্যবহার করা উচিত।

সর্বশেষ পরামর্শ:১০ মাসের শিশুর পাতলা পায়খানা হলে করণীয়

প্রিয় পাঠক মন্ডলী আশা করছি আমাদের আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা জানতে পারলেন,১০ মাসের শিশুর পাতলা পায়খানা হলে করণীয় কী এ সম্পর্কে। এবং এর পাশাপাশি আরো জানতে পারলেন শিশুদের যদি ডায়রিয়া হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার করণীয় কি এবং ডায়রিয়া হলে অ্যান্টিবায়োটিক এবং কি কি ওষুধ খাওয়ানো প্রয়োজন এসকল বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

এবং এর পাশাপাশি ঘরোয়া কিছু উপায় সম্পর্কেও বলে দেওয়া হয়েছে। তো আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে অবশ্যই সেটা কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন। এবং এটি শেয়ার করে দেবেন যেন অন্যরাও পড়ে উপকৃত হতে পারে। আজকের মত এখানেই শেষ করছি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ব্লগার জাফর সাহেবের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url