সরকারি চাকরিজীবী মারা গেলে পেনশন পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিন
প্রিয় পাঠক মন্ডলী আজকে আমরা আলোচনা করব সরকারি চাকরিজীবী মারা গেলে পেনশন সম্পর্কে। খুবই ইম্পরট্যান্ট একটি বিষয়, যা কিনা আমাদের সকলের জানা দরকার। কেননা আমাদের মধ্যে অনেকেই সরকারি চাকরি করেন। সুতরাং সরকারি চাকরিজীবী মারা গেলে পেনশন কিভাবে পাওয়া যায় এবং মারা গেলে করণীয় কি এ সকল বিষয় সম্পর্কে বলুন জেনে নেওয়া যাক।
সরকারি চাকরিজীবী মারা গেলে পেনশন কিভাবে পাবেন সরকারি চাকরিরত অবস্থায় যদি মারা যায় কিভাবে পেনশন পাবেন এবং পারিবারিক পেনশন প্রজ্ঞাপন কি এবং সরকারি চাকরিজীবীদের পেনশন নীতিমালা কি কি সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে হলে আজকের পুরো পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন, আশা করছি এখান থেকে সঠিক তথ্যগুলো পেয়ে যাবেন।
সরকারি চাকরিরত অবস্থায় মারা গেলে
সরকারি চাকরিগত অবস্থায় যদি কেউ মারা যায় তাহলে সে কি সরকারিভাবে কোন ভাতা বা অনুদান পাবে? হ্যাঁ অবশ্যই পাবে। তো সরকারি চাকরিরত অবস্থায় মারা গেলে কিভাবে পেনশন পায় এবং কি কি কারণে পেনশন পায় চলুন নিম্ন জেনে নেয়া যাক।
সরকারি চাকরিজীবীদের জীবনসুরক্ষা ও তাদের পরিবারের স্বার্থ রক্ষার জন্য সরকার বিভিন্ন প্রকারের অনুদান ও সুবিধা প্রদান করে থাকে। সরকারি চাকরিরত অবস্থায় কেউ মারা গেলে তার পরিবারের জন্য সরকার থেকে নানান ধরণের আর্থিক সহায়তা ও সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে। তো সরকারি চাকরিরত অবস্থায় মারা গেলে কিভাবে পেনশন পায় এবং কি কি কারণে পেনশন পায় চলুন নিম্ন জেনে নেয়া যাক।
মৃত্যুজনিত অনুদান
সরকারি চাকরিরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে, তার পরিবারকে এককালীন অর্থ প্রদান করা হয়। এই অর্থের পরিমাণ বিভিন্ন দেশে এবং বিভিন্ন সার্ভিসের ক্ষেত্রে ভিন্ন হতে পারে। বাংলাদেশে, সাধারণত এককালীন ২ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অনুদান প্রদান করা হয়। এই অর্থ পরিবারকে প্রাথমিক আর্থিক সমস্যাগুলি সমাধান করতে সহায়তা করে।
পেনশন সুবিধা
সরকারি চাকরিরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে, মৃত ব্যক্তির স্ত্রী বা স্বামী এবং নির্ভরশীল সন্তানদের জন্য পেনশন সুবিধা প্রদান করা হয়। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী সুবিধা যা পরিবারকে নিয়মিত মাসিক আয়ের একটি উৎস প্রদান করে। পেনশনের পরিমাণ সাধারণত মৃত ব্যক্তির শেষ বেতনের একটি নির্দিষ্ট শতাংশ হিসেবে নির্ধারিত হয়।
গ্র্যাচুইটি
সরকারি চাকরিজীবী মৃত্যুবরণ করলে, তার সঞ্চিত গ্র্যাচুইটি অর্থাৎ চাকরির সময়কালের জন্য জমাকৃত একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ তার পরিবারের কাছে প্রদান করা হয়। এই অর্থ পরিবারকে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রদান করে।
ভবিষ্যৎ সঞ্চয় সুবিধা
সরকারি চাকরিজীবীদের ভবিষ্যৎ সঞ্চয় স্কিমের আওতায় জমাকৃত অর্থও পরিবারের কাছে প্রদান করা হয়। যেমন প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স, ও অন্যান্য সঞ্চয় স্কিমের অর্থ।
সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি
সরকারি চাকরিজীবী মৃত্যুবরণ করলে তার সন্তানদের শিক্ষার জন্য বিভিন্ন প্রকারের বৃত্তি ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। এটি সন্তানদের শিক্ষা কার্যক্রম নির্বিঘ্নে চলতে সহায়ক হয়।
চিকিৎসা সুবিধা
মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা সরকারি চিকিৎসা সুবিধা পেতে পারেন। বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাদের চিকিৎসা বিনামূল্যে বা স্বল্প খরচে করানো হয়।
বাসস্থান সুবিধা
সরকারি চাকরিজীবী মৃত্যুবরণ করলে তার পরিবারকে সরকারি বাসস্থান অথবা বাড়ি ভাড়ার সহায়তা প্রদান করা হয়। এটি পরিবারকে স্থায়ীভাবে থাকার জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ প্রদান করে।
আইনগত সহায়তা
সরকারি চাকরিজীবীর মৃত্যুর পর, তার পরিবার কোন আইনগত জটিলতায় পড়লে সরকার থেকে আইনগত সহায়তা প্রদান করা হয়।
সরকারি চাকরিরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করা একটি দুঃখজনক ঘটনা, তবে সরকার বিভিন্ন প্রকারের আর্থিক সহায়তা ও সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। এই সুবিধাগুলি পরিবারের আর্থিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সরকারি চাকরিজীবী মারা গেলে কত টাকা করে পেনশন পায়
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিজীবী মারা গেলে তাদের পরিবারের সদস্যদের পেনশন প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে। পেনশন প্রদানের পরিমাণ ও পদ্ধতি নির্ভর করে বিভিন্ন নিয়ম ও শর্তের উপর। সাধারণত নিচের পদ্ধতিতে পেনশন প্রদান করা হয়:
পেনশনের ধরন:
- পরিবার পেনশন (Family Pension): মৃত সরকারি চাকরিজীবীর পরিবার, যেমন স্ত্রী, সন্তান বা নির্ভরশীলদের পেনশন প্রদান করা হয়।
- আংশিক পেনশন (Partial Pension): কিছু ক্ষেত্রে, সরকারি চাকরিজীবী অবসর নেওয়ার পর কিছু বছর পেনশন গ্রহণ করে থাকেন এবং তার পর মারা যান। তখন তার পরিবারের সদস্যরা আংশিক পেনশন পেতে পারেন।
পেনশনের পরিমাণ:
পেনশনের পরিমাণ সাধারণত মৃত সরকারি চাকরিজীবীর সর্বশেষ প্রাপ্ত বেতনের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়। এটি সাধারণত নীচের নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত হয়:
- সম্পূর্ণ পেনশন (Full Pension): সরকারি চাকরিজীবী তার সেবা শেষ করার পর পুরো পেনশন পেয়ে থাকেন।
- আংশিক পেনশন (Partial Pension): এটি সাধারণত মৃত সরকারি চাকরিজীবীর সর্বশেষ বেতনের ৫০% থেকে ৭০% হয়ে থাকে।
পেনশন প্রদান প্রক্রিয়া:
- পেনশন আবেদনপত্র পূরণ: মৃত সরকারি চাকরিজীবীর পরিবারের সদস্যরা একটি আবেদনপত্র পূরণ করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দিতে হবে।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: আবেদনপত্রের সাথে মৃত্যুসনদ, নোমিনির পরিচয়পত্র, পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কের প্রমাণপত্র ইত্যাদি জমা দিতে হবে।
- অনুমোদন ও যাচাই: সংশ্লিষ্ট দপ্তর আবেদনপত্র যাচাই করে এবং প্রয়োজনীয় অনুমোদন প্রদান করে।
- পেনশন বিতরণ: অনুমোদন প্রাপ্তির পর পেনশন প্রদান শুরু হয় এবং নির্ধারিত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পেনশনের টাকা জমা হয়।
বিশেষ সুবিধা:
কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষ সুবিধা ও আর্থিক সহায়তাও প্রদান করা হয়, যেমন:
- মৃত্যু সহায়তা অনুদান (Death Gratuity): মৃত সরকারি চাকরিজীবীর পরিবারকে এককালীন অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়।
- স্বাস্থ্য সুবিধা: কিছু ক্ষেত্রে, পরিবারের সদস্যরা স্বাস্থ্য সুবিধা পেতে পারেন।
এই পদ্ধতিগুলো প্রযোজ্য হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি নিয়মাবলী অনুসরণ করতে হয় এবং নির্ধারিত ফরম ও প্রমাণপত্র সঠিকভাবে জমা দিতে হয়। সবগুলো কাগজপত্র সঠিকভাবে জমা দেওয়ার পরেই আপনি পেনশন পাবেন আশা করছি জানতে পারলেন সরকারি চাকরিজীবী মারা গেলে কত টাকা পেনশন পায় এবং কি পদ্ধতিতে পাই এই সম্পর্কে।
পেনশনার মারা গেলে করণীয়
পেনশনার মারা গেলে তাঁর পরিবারের সদস্যদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হয়। এখানে বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হলো:
1. মৃত্যুসনদ সংগ্রহ: মৃত্যুর পর প্রথমেই স্থানীয় পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মৃত্যুসনদ সংগ্রহ করতে হবে।
2. পেনশন দপ্তরে জানানো: মৃত্যুর ঘটনা সংশ্লিষ্ট পেনশন দপ্তরে জানাতে হবে। এ জন্য একটি আবেদনপত্র জমা দিতে হবে যেখানে মৃত্যুসনদ সংযুক্ত থাকবে।
3. নোমিনি বা পরিবারের সদস্যদের তথ্য প্রদান: মৃত পেনশনারের পেনশন পাওয়ার জন্য নোমিনি বা পরিবারের সদস্যদের পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে। সাধারণত নিচের কাগজপত্র প্রয়োজন হয়:
- - মৃত্যুসনদ
- - নোমিনির পরিচয়পত্র (জাতীয় পরিচয়পত্র)
- - পরিবারিক সম্পর্কের প্রমাণপত্র (যেমন: বিয়ের সনদ, জন্ম সনদ)
- - ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য
4. পেনশন বন্ধের আবেদন: মৃত পেনশনারের পেনশন বন্ধ করার জন্য একটি আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। এ আবেদনপত্রে মৃত্যুসনদ, পরিচয়পত্র, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে।
5. পেনশন দপ্তরের অনুমোদন: আবেদনপত্র এবং সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যাচাইয়ের পর, পেনশন দপ্তর পরিবার পেনশনের অনুমোদন প্রদান করবে।
6. ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পেনশন জমা: অনুমোদন প্রাপ্তির পর, পরিবারের পেনশন নির্ধারিত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হবে।
7. অন্যান্য সুবিধা ও সহায়তা: পরিবারের সদস্যরা যদি অন্য কোন সুবিধা বা সহায়তা পাওয়ার যোগ্য হন তবে সে জন্যও আবেদন করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, মৃত্যু সহায়তা অনুদান ইত্যাদি।
এই পদক্ষেপগুলো নিশ্চিতভাবে অনুসরণ করলে পেনশনারের মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যরা সঠিক সময়ে এবং সঠিকভাবে পেনশন ও অন্যান্য সুবিধা পেতে পারেন।
মৃত ব্যক্তির পেনশন কে পাবে
আপনার পরিবারে বা আপনার কোন কাছের কোন ব্যক্তি যদি মারা যায় এবং ওই ব্যক্তি যদি সরকারি চাকরি করে থাকে তাহলে ওই মৃত ব্যক্তির পেনশন কে পাবে এ নিয়ে অনেকেই দ্বিধার মধ্যে পড়ে থাকেন। তো মৃত ব্যক্তির পেনশন কিভাবে চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক।
কোন সরকারি চাকরিজীবী কর্মচারী যদি মারা যায় কোন এক্সিডেন্ট বা যেকোনো কারণবশত তাহলে ওই ব্যক্তির পেনশন পায় মূলত তার নমিনি। এবং যদি সে ক্ষেত্রে ওই কর্মচারীর কোন নমিনি না থেকে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে ওই সময় তার এই পেনশনটি পাবে তার সম্পত্তির যেকোনো উত্তরাধিকারী যদি থাকে অর্থাৎ তার স্বামী কিংবা স্ত্রী।
আর তাছাড়া পারিবারিক যে কোন পেনশন এর উদ্দেশ্য পরিবার কিংবা পুরুষ কর্মচারী যদি হয়ে থাকে তাহলে তার স্ত্রী কিংবা যদি সে ক্ষেত্রে কোন নারী কর্মচারী হয়ে থাকে তাহলে তার হাজবেন্ড এবং এর পরেই অধিকার রাখে কর্মচারীর সন্তান। তো আশা করছি জানতে পারলেন মৃত ব্যক্তির পেনশন কে পাবে এবং কিভাবে পাবেন এ সম্পর্কে।
সরকারি চাকরিজীবীদের পেনশন নীতিমালা
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিজীবীদের পেনশন নীতিমালা বেশ কয়েকটি ধাপে বিভক্ত এবং এতে বিভিন্ন শর্ত ও প্রক্রিয়া উল্লেখ করা হয়েছে। এই নীতিমালা সাধারণত অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ কর্তৃক নির্ধারিত হয়। এখানে সরকারি চাকরিজীবীদের পেনশন নীতিমালার মূল দিকগুলো সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করা হলো:
পেনশনের প্রকারভেদ:
- অবসরকালীন পেনশন (Retirement Pension): সরকারি চাকরিজীবী নির্ধারিত বয়সে (সাধারণত ৫৯ বছর) অবসর নেওয়ার পর এই পেনশন পান।
- অকালীন পেনশন (Premature Pension): কোনো কারণে নির্ধারিত বয়সের আগে অবসর নিলে এই পেনশন পাওয়া যায়।
- পারিবারিক পেনশন (Family Pension): পেনশনভোগী মৃত্যুবরণ করলে তাঁর নির্ভরশীল পরিবার সদস্যরা এই পেনশন পান।
পেনশনের হিসাব:
- - পেনশনের পরিমাণ সাধারণত চাকরিজীবীর সর্বশেষ মাসিক বেতনের একটি নির্দিষ্ট শতাংশ হিসেবে নির্ধারিত হয়।
- - অবসরকালীন পেনশন সাধারণত সর্বশেষ মাসিক বেতনের ৫০% থেকে ৭০% পর্যন্ত হয়।
যোগ্যতা
- - নির্ধারিত বয়সে অবসর গ্রহণ।
- - ২০ বছরের সেবা পূর্ণ হওয়া।
- - প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সনদ বা বিশেষ ক্ষেত্রে ছাড় প্রাপ্ত হলে।
পারিবারিক পেনশন:
- - পেনশনার মৃত্যুবরণ করলে তাঁর নির্ভরশীল স্ত্রী/স্বামী, সন্তান বা বাবা-মা পারিবারিক পেনশন পান।
- - মৃত্যুসনদ, পরিচয়পত্র, এবং সম্পর্কের প্রমাণপত্র জমা দিয়ে আবেদন করতে হয়।
অন্যান্য সুবিধা:
- মৃত্যু সহায়তা অনুদান: পেনশনার মৃত্যুবরণ করলে এককালীন সহায়তা প্রদান করা হয়।
- চিকিৎসা ভাতা: কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসা ভাতা প্রদান করা হয়।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- - অবসরপ্রাপ্তির আবেদন ফর্ম
- - চাকরির সনদ
- - জাতীয় পরিচয়পত্র
- - ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য
- - মৃত্যুসনদ (পারিবারিক পেনশনের ক্ষেত্রে)
সরকারি পেনশন নীতিমালার বিস্তারিত বিবরণ অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়। এছাড়া সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকেও প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা যেতে পারে।
পারিবারিক পেনশন প্রজ্ঞাপন
বাংলাদেশে পারিবারিক পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বা নীতিমালা বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে প্রকাশিত হয়। পারিবারিক পেনশনের নীতিমালা ও প্রজ্ঞাপনগুলোতে পেনশনের পরিমাণ, আবেদন প্রক্রিয়া, এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের বিবরণ উল্লেখ থাকে। প্রজ্ঞাপনের মূল বিষয়বস্তু:
পারিবারিক পেনশনের পরিমাণ
- - মৃত সরকারি চাকরিজীবীর সর্বশেষ প্রাপ্ত বেতনের নির্দিষ্ট শতাংশ পরিবার পেনশন হিসেবে প্রদান করা হয়।
- - সাধারণত, বেতনের ৫০%-৭০% পর্যন্ত পরিবার পেনশন হিসেবে প্রদান করা হতে পারে।
নোমিনি ও পেনশন পাওয়ার যোগ্য ব্যক্তি
- - মৃত চাকরিজীবীর স্ত্রী/স্বামী, সন্তান, এবং নির্ভরশীল বাবা-মা এই পেনশন পাওয়ার যোগ্য।
- - পেনশন পাওয়ার যোগ্য ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়।
আবেদন প্রক্রিয়া
- - মৃত্যুসনদ, নোমিনির পরিচয়পত্র, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্বলিত আবেদনপত্র পেনশন দপ্তরে জমা দিতে হয়।
- - পেনশন দপ্তর আবেদনপত্র যাচাই করে এবং অনুমোদন প্রদান করে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটঃ বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (www.mof.gov.bd) প্রজ্ঞাপন পাওয়া যেতে পারে। এখানে প্রজ্ঞাপন ও সার্কুলার সেকশনে গিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রজ্ঞাপন ডাউনলোড করা যায়।
সরকারি গেজেটঃ সরকারি গেজেটে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনগুলোও সংগ্রহ করা যায়। এটি সাধারণত স্থানীয় প্রশাসনিক অফিস বা সরকারি লাইব্রেরিতে পাওয়া যায়।
উদাহরণ হিসেবে একটি সাধারণ পারিবারিক পেনশন প্রজ্ঞাপন:
- প্রজ্ঞাপন নং: ২০২০/পেনশন/অর্থ বিভাগ**
- তারিখ: ০১ জানুয়ারি, ২০২০**
এই প্রজ্ঞাপনটি একটি উদাহরণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে। সঠিক এবং সর্বশেষ প্রজ্ঞাপনের জন্য সরকারি ওয়েবসাইট বা সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে বিস্তারিত সংগ্রহ করতে হবে।
সরকারি চাকরিজীবী মারা গেলে পেনশন এ নিয়ে সর্বশেষ
প্রিয় পাঠক মন্ডলী আশা করছি আমাদের আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা জানতে পারলেন সরকারি চাকরিজীবী মারা গেলে পেনশন কিভাবে পাবে এবং কে পাবে এবং কি কি করনীয় রয়েছে এ সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে। তো আজকের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে আমি মনে করি। এবং এর পাশাপাশি আজকের এই পোস্টটি আপনার কাছেও ভালো লেগেছে এবং আপনারা উপস্থিত বড় উপকৃত হয়েছেন। যদি আমাদের পোস্টটি আসলে আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্টে জানিয়ে দিবেন। এবং নতুন নতুন পোস্ট আপডেট পাওয়ার জন্য ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি, আল্লাহ হাফেজ।
ব্লগার জাফর সাহেবের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url