আজ ফজরের ওয়াক্ত শুরু ও শেষ জেনে নিন
ফজরের নামাজ পড়লে কি হবে? না পড়লে কি হবে? আসুন এই সকল বিষয়গুলো জেনে নেই। অর্থাৎ চলুন ফজরের সালাতের গুরুত্ব সম্পর্কে জেনে নেই।নামাজ ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজী প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ ।
আজ ফজরের ওয়াক্ত শুরু ও শেষ
প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজের ওই আল্লাহ তায়ালা বিশেষ কিছু ফজিলত দিয়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম ফজরের সালাত। আজকের ফজরের নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়েছে সকাল ৪:২২ মিনিটে এবং শেষ হবে ৫:৩৮ মিনিটে সূর্যোদয়ের সময়.
এছাড়াও যদি আপনারা প্রত্যেকদিন কখন কোন নামাজের ওয়াক্ত কয়টায় হয় এই বিষয়গুলো সম্পর্কে যদি সব সময় আপডেট পেতে চান, অর্থাৎ আজকে ফজরের ওয়াক্ত আজকেও জোহরের ওয়াক্ত এবং আজকে আসরের ওয়াক্তসহ মাগরিব।
আরো পড়ুনঃ নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে জানুন
এবং এশা সহ বিস্তারিতভাবে যদি প্রত্যেকদিন কোন সময় কোন ওয়াক্ত আসে এটা জানতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটা সাজেস্ট করবো একটা অ্যাপস। এই অ্যাপসটি যদি আপনি আপনার ফোনে ইন্সটল করেন তাহলে আপনি প্রত্যেকটা নামাজের ওয়াক্তের সময় আপনার জানিয়ে দিবে রিংটোন এর মাধ্যমে। আর সেই অ্যাপস দুটি হলোঃ
- Muslim Day.
- Muslim Bangla
ফজরের নামাজ পড়লে কি হবে? না পড়লে কি হবে
নামাজ কায়েম করো সূর্য ঢলে পড়ার পর থেকে রাতের অন্ধকার পর্যন্ত এবং কায়েম করো ফজরের নামাজ। নিশ্চয়ই ফজরের নামাজ উপস্থিতির সময়। সূরাঃ বনী ইসরাইল, আয়াতঃ 78 দ্বিতীয় পর্ব
নামাজের মধ্যে যেমন ফজরের রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব তেমনি সময়ের মধ্যে ফজরের সময়ের রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব পবিত্র কোরআনে ফজর নামে একটি সূরাও রয়েছে ওই সূরার শুরুতে মহান আল্লাহ এরশাদ করেছেন শপথ ফজরের (সূরা ফজর প্রথম আয়াত)
হাদিসে ফজরের নামাজের বিশেষ তাগিদ রয়েছে ইবনে আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত মহানবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এরশাদ করেন যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়বে সে আল্লাহর জিম্মায় থাকবে (মুসলিম হাদিসঃ ৬৫৭)
অন্য এক হাদিসে ফজরের নামাজ জামাতে আদায়কারীকে জান্নাতি মানুষ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আবু মুসা আলী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন যে ব্যক্তি দুটি শীতল সময়ে অর্থাৎ ঠান্ডা সময়ে নামাজ আদায় করবে অর্থাৎ ফজরে এবং এশার এই দুই সালাত আদায় করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে( বুখারী ও মুসলিম)
আরো পড়ুনঃ সফলতা নিয়ে উক্তি ২০২৪
ফজরের নামাজ জামাতে আদায়কারীর ১০ টি পুরস্কার
নিম্নে ফজরের নামাজ জামাতে আদায়কারীর ১০ টি পুরস্কার বর্ণনা করা হলোঃফজরের নামাজে দাঁড়ানো সারা রাত দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ার সমান যে ব্যক্তি জামাতের সাথে এশার নামাজ আদায় করল সে যেন অর্ধেক রাত জেগে নামাজ পড়লো আর যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতের সাথে আদায় করল সে যেন পুরো রাত জেগে নামাজ আদায় করল (মুসলিম শরীফ)
ফজরের নামাজ কেয়ামতের দিন নুর হয়ে দেখা দিবে তাদেরকে কেয়ামতের দিন পরিপূর্ণ নুর প্রাপ্তির সুসংবাদ দাও (আবু দাউদ)
যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়বে সে সারাদিন স্বয়ং আল্লাহর জিম্মায় থাকবে (মুসলিম শরীফ )
সরাসরি জান্নাত প্রাপ্তি যে ব্যক্তি দুই শীতল নামাজ পড়বে জান্নাতে প্রবেশ করবে সে আর দুই শীতল নামাজ হলো ফজর ও আসর (বুখারী)
রিজিকে বরকত আসবে - আল্লামা ইবনুল কাইয়ুম রাহিমাহুল্লাহ বলেন সকালবেলার ঘুম ঘরে রিজিক আসতে বাধা দেয় কেননা তখন রিজিক বন্টন করা হয়। (মুসলিম)
ফজরের নামাজ পড়লে দুনিয়া আখেরাতের সেরা বস্তু অর্জিত হয়ে যাবে ফজরের দুই রাকাত নামাজ দুনিয়া ও তার মধ্যে যা কিছু আছে সব কিছু চেয়ে শ্রেষ্ঠ (তিরমিজি)
সরাসরি মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহর দরবারে নিজের নাম আলোচিত হবে তোমাদের কাছে পালাক্রমে দিনে ও রাতে ফেরেস্তারা আসে তারা আসর ও ফজরের সময় একত্রিত হয় যারা রাতের কর্তব্য ছিল তারা উপরে উঠে যায় আল্লাহ তো সব জানেন তবুও ফেরেশতাদেরকে প্রশ্ন করেন আমার বান্দাদেরকে কেমন দেখলে ফেরেশতারা বলে আমরা তাদেরকে নামাজরত রেখে এসেছি যখন গিয়েছিলাম তখন তারা নামাজরত ছিল। (বুখারী)
ফজরের নামাজ দিয়ে দিনটা শুরু করলে পুরো দিনের কার্যক্রমের একটা বরকতম সূচনা হবে ,
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন হে আল্লাহ আমার উম্মতের জন্য তার সকালবেলায় বরকত দান করুন (তিরমিজি)
মহান রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে সমস্ত বিপদ আপদ থেকে হেফাজত করবেন যদি আমরা তার হুকুম সঠিকভাবে মানতে পারি।যদি আমরা ফজরের সালাত সহ প্রত্যেকটা সালাত সঠিকভাবে আদায় করতে পারি সময়মতো আদায় করতে পারি এবং তার যাবতীয় সফল হুকুম আহকাম গুলো সঠিকভাবে মানতে পারি তাহলে মহান রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে দুনিয়া ও আখেরাতে ভালো পুরস্কার দান করবেন।
ফরজ নামাজ আদায় না করা গুনাহের কাজ
ফরজ নামাজ আদায় না করা গুনাহের কাজ। পদ্ধতিগত পার্থক্য থাকলেও আগের নবীদের যুগে নামাজের বিধান ছিল। কিন্তু তাদের পরবর্তী লোকেরা নামাজের প্রতি খুবই গাফেলতি করছিল এর পরিনতি তাদের জন্য হলো জাহান্নাম ।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা'আলা বলেননবী ও হেদায়েত প্রাপ্তদের পর এলো অপদার্থ বংশধর যারা নামাজ বিনষ্ট করলো এবং প্রবৃত্তির পূজারী হল । সুতরাং তারা গাই নামক জাহান্নামের প্রত্যক্ষ করবে তবে যারা এরপর তওবা করে নিয়েছে ঈমান এনেছে এবং নেক আমল করেছে তারাই তো কেবল জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের প্রতি কোন জুলুম করা হবে না ।
( সূরা মারিয়াম ৫৯-৬০)
ব্লগার জাফর সাহেবের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url