গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লক্ষণ - ২য় বার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ

প্রিয় পাঠ মণ্ডলী আজকে আলোচনা করব গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ কি? অনেক মেয়েরা আছে যারা এ বিষয়টি শুরুতে বুঝে উঠতে পারেন না তো গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহে কি লক্ষণ হতে পারে এবং ২য় বার যদি আপনি গর্ভবতী হন অর্থাৎ ২য় বার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কি কি? এই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লক্ষণ - ২য় বার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ
গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লক্ষণ এবং গর্ভবতী হওয়ার চতুর্থ সপ্তাহের লক্ষণ যে সমস্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে নিম্নে পুরো পোস্টটি সম্পন্নটা মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন। আশা করছি এখান থেকে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।

গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লক্ষণ

গর্ভধারণের ১ম সপ্তাহটি সাধারণত মেয়েদের পিরিয়ডের প্রথম দিন থেকেই গণনা করা হয়। এ সময় বেশিরভাগ মহিলাই জানেন না যে তারা গর্ভবতী হয়েছেন। তবে কিছু সাধারণ লক্ষণ এবং পরিবর্তন দেখা দিতে পারে যা গর্ভধারণের ইঙ্গিত দিতে পারে:
  • মাসিকের বিলম্ব: গর্ভধারণের অন্যতম প্রধান লক্ষণ হলো মাসিকের সময়কাল বিলম্ব হওয়া। তবে কিছু মহিলার ক্ষেত্রে মাসিক হওয়ার সময় খুব সামান্য রক্তপাত হতে পারে যা 'ইমপ্ল্যান্টেশন ব্লিডিং' নামে পরিচিত।
  • বুকের ব্যথা ও ফুলে যাওয়া: স্তনের নিপল এবং স্তনের অংশগুলো স্পর্শে সংবেদনশীল হতে পারে এবং স্তনগুলো ফুলে যেতে পারে।
  • ক্লান্তি: গর্ভধারণের শুরুর দিকে হরমোনের পরিবর্তনজনিত কারণে অনেক মহিলাই অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব করতে পারেন।
  • মেজাজের পরিবর্তন: হরমোনের পরিবর্তনগুলোর কারণে মেজাজে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। অনেকে খিটখিটে মেজাজ, উদ্বেগ বা বিষণ্ণতা অনুভব করতে পারেন।
  • মর্নিং সিকনেস: যদিও এটি সাধারণত গর্ভধারণের কিছুটা পরে শুরু হয়, তবে কিছু মহিলা প্রথম সপ্তাহ থেকেই বমিভাব বা বমি করতে পারেন, যা সাধারণত সকালে বেশি দেখা যায়।
  • মূত্রত্যাগের তীব্রতা বৃদ্ধি: হরমোনের পরিবর্তনের কারণে প্রথম সপ্তাহ থেকেই মূত্রত্যাগের পরিমাণ বাড়তে পারে।
  • হালকা পেট ব্যথা বা ক্র্যাম্প: কিছু মহিলার পেটে হালকা ব্যথা বা ক্র্যাম্প হতে পারে, যা প্রাথমিক গর্ভধারণের লক্ষণ হতে পারে।
এগুলো সাধারণ লক্ষণ, তবে এই লক্ষণগুলো যে সকল নারীর মধ্যে দেখা দেবে, তা নিশ্চিত নয়। যদি আপনি গর্ভধারণের সম্ভাবনা নিয়ে চিন্তিত হন, তবে একটি গর্ভধারণ পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া উচিত।

গর্ভবতী হওয়ার তৃতীয় সপ্তাহের লক্ষণ

গর্ভবতী হওয়ার তৃতীয় সপ্তাহে লক্ষণগুলি সাধারণত খুব সূক্ষ্ম এবং অনেক নারী এই সময়ে গর্ভধারণের কথা বুঝতে পারেন না। তবে কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে যা কিছু নারী অভিজ্ঞতা করতে পারেন:

অল্প পরিমাণ রক্তপাত বা দাগ হওয়া (ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং)

- যখন নিষিক্ত ডিম্বাণুটি জরায়ুর প্রাচীরে সংযুক্ত হয়, তখন অল্প পরিমাণ রক্তপাত বা হালকা দাগ হতে পারে। এটি ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং নামে পরিচিত এবং সাধারণত গর্ভাবস্থার তৃতীয় সপ্তাহে ঘটে।

বুক ভারী লাগা

- এই সময়ে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে স্তনের আকারে কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে, স্তনের স্পর্শকাতরতা বাড়তে পারে এবং ভারী লাগা অনুভূত হতে পারে।

অতিরিক্ত ক্লান্তি

- প্রোজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় আপনি তৃতীয় সপ্তাহে নিজেকে খুব ক্লান্ত এবং অলস অনুভব করতে পারেন।

মুড সুইংস বা মেজাজের পরিবর্তন

- গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে মেজাজে ওঠানামা দেখা দিতে পারে। আপনি হঠাৎ করেই খুশি, দুঃখী বা বিরক্ত হতে পারেন।

মাথা ঘোরা বা মাথাব্যথা

- রক্তচাপের হঠাৎ পরিবর্তন এবং হরমোনের পরিবর্তনের কারণে মাথা ঘোরা বা হালকা মাথাব্যথা হতে পারে।

নিষিক্তকরণের নিশ্চিততা না থাকা

-তৃতীয় সপ্তাহে অনেকেই জানেন না যে তারা গর্ভবতী। নিশ্চিত হওয়ার জন্য, মিস হওয়া মাসিকের পরে একটি গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করা সবচেয়ে কার্যকর।

এই সময়ের লক্ষণগুলি খুবই সূক্ষ্ম এবং অনেক নারী এই সময়ে কিছুই অনুভব করেন না। এটি খুবই স্বাভাবিক। তৃতীয় সপ্তাহে গর্ভধারণ নির্ধারণ করার সবচেয়ে সঠিক উপায় হল মাসিকের তারিখ মিস হওয়ার পর একটি গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করা।

গর্ভবতী হওয়ার চতুর্থ সপ্তাহের লক্ষণ

গর্ভাবস্থার চতুর্থ সপ্তাহে বেশ কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে যা এই সময়ের গর্ভাবস্থার সাথে সম্পর্কিত। যদিও লক্ষণগুলো নারীভেদে ভিন্ন হতে পারে, তবে সাধারণত কিছু সাধারণ লক্ষণ দেখা দেয়। নিচে এই সময়ের কিছু লক্ষণের বিবরণ দেওয়া হলোঃ
গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লক্ষণ - ২য় বার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ
1. মাসিকের বিলম্বঃ গর্ভাবস্থার চতুর্থ সপ্তাহে সবচেয়ে স্পষ্ট লক্ষণ হলো মাসিকের বিলম্ব। যদি মাসিক সময়মতো না আসে, তবে এটি গর্ভাবস্থার একটি প্রধান ইঙ্গিত হতে পারে।

2. স্তন সংবেদনশীলতাঃ এই সময়ে স্তনগুলোতে ব্যথা বা সংবেদনশীলতা দেখা দিতে পারে। স্তনগুলো ফুলে উঠতে পারে এবং নিপলগুলো আরো সংবেদনশীল হয়ে উঠতে পারে।

3. ক্লান্তিঃ প্রথম দিকের গর্ভাবস্থায় প্রোজেস্টেরন হরমোনের বৃদ্ধি ঘটে, যা শরীরকে ক্লান্ত করতে পারে। তাই, আপনি চতুর্থ সপ্তাহে অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব করতে পারেন।

4. মুড সুইংঃ হরমোনের পরিবর্তনের কারণে মুড সুইং বা মানসিক অবস্থার দ্রুত পরিবর্তন হতে পারে। আপনি আনন্দ, বিষণ্ণতা বা উদ্বেগের মিশ্র অনুভূতি পেতে পারেন।

5. মৃদু ক্র্যাম্পঃ চতুর্থ সপ্তাহে মৃদু ক্র্যাম্প বা পেটে টান অনুভব করা স্বাভাবিক। এটি জরায়ুর বৃদ্ধি ও গর্ভের পরিবর্তনের কারণে হতে পারে।

6. খাবারে অরুচি বা প্রবল খিদেঃ কিছু খাবারের প্রতি অরুচি বা প্রবল খিদে অনুভব হতে পারে। এই সময়ে বিশেষ করে কোন নির্দিষ্ট ধরনের খাবার খেতে ইচ্ছা হতে পারে।

7. বমি বা বমি বমি ভাবঃ অনেক নারী চতুর্থ সপ্তাহ থেকেই বমি বমি ভাব অনুভব করেন, যা সাধারণত সকালের দিকে বেশি হয়।

8. প্রায়ই প্রস্রাবের বেগঃ এই সময়ে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে বারবার প্রস্রাবের বেগ অনুভব হতে পারে।

যদিও এই লক্ষণগুলো সাধারণত গর্ভাবস্থার ইঙ্গিত দেয়, তবে নিশ্চিত হতে গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করা উচিত। লক্ষণগুলো অন্য কোন কারণে ঘটতে পারে, তাই সঠিক তথ্য ও সেবা পাওয়ার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

২য় বার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ

২য় বার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণগুলি প্রথম গর্ভধারণের সাথে অনেকাংশে মিল থাকে, তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি ভিন্নও হতে পারে। নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি ২য় বার গর্ভবতী হওয়ার সময় সাধারণত দেখা যেতে পারেঃ
  1. স্তনের সংবেদনশীলতা এবং ফোলাঃ গর্ভাবস্থার প্রথম দিকেই স্তন আরও সংবেদনশীল হতে পারে এবং ফোলাও দেখা দিতে পারে।
  2. বমি বমি ভাব বা মর্নিং সিকনেসঃ এটি গর্ভধারণের একটি সাধারণ লক্ষণ, যা দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হলে অনেকেরই দেখা দিতে পারে।
  3. বেশি ক্ষুধা বা খাদ্যের প্রতি আকর্ষণঃ গর্ভধারণের ফলে শরীরে হরমোনের পরিবর্তন ঘটে, যার ফলে খাবারের প্রতি আকর্ষণ বাড়তে পারে।
  4. অতিরিক্ত ক্লান্তিঃ শরীরের ভেতরে গর্ভধারণের কারণে অনেক বেশি শক্তি ব্যয় হয়, যা ক্লান্তির কারণ হতে পারে।
  5. প্রস্রাবের চাপঃ গর্ভাবস্থার প্রথম দিকেই প্রস্রাবের চাপ বেশি অনুভূত হতে পারে।
  6. হালকা রক্তক্ষরণ বা স্পটিংঃ কখনও কখনও গর্ভধারণের প্রাথমিক লক্ষণ হিসাবে হালকা রক্তক্ষরণ দেখা যেতে পারে।
  7. মেজাজের পরিবর্তনঃ হরমোনের পরিবর্তনের কারণে মেজাজ দ্রুত পরিবর্তিত হতে পারে।
  8. পিঠে ব্যথাঃ দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হলে পিঠে ব্যথা সাধারণত বেশি হতে পারে, কারণ শরীর ইতোমধ্যে একবার গর্ভধারণের চাপ অনুভব করেছে।
  9. পেটের আকারে দ্রুত পরিবর্তনঃ দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হলে পেটের আকার প্রথমবারের তুলনায় দ্রুত বড় হতে শুরু করতে পারে, কারণ শরীর আগের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী পরিবর্তনের সাথে দ্রুত মানিয়ে নেয়।
  10. গর্ভধারণের পরীক্ষা পজিটিভ হওয়াঃ উপরের লক্ষণগুলির পর গর্ভধারণের পরীক্ষা করার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যেতে পারে।
এছাড়া, গর্ভাবস্থার লক্ষণগুলি প্রতিটি মহিলার জন্য ভিন্ন হতে পারে এবং দ্বিতীয়বার গর্ভধারণে কিছু নতুন লক্ষণও দেখা দিতে পারে।

পিরিয়ডের লক্ষণ বনাম গর্ভাবস্থার লক্ষণ

পিরিয়ড এবং গর্ভাবস্থার লক্ষণগুলোর মধ্যে অনেক সাদৃশ্য থাকলেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে। নিচে এই দুটি অবস্থার লক্ষণগুলোর তুলনামূলক বিশ্লেষণ দেওয়া হলো:

পিরিয়ডের লক্ষণ:

  • পেটব্যথাঃ পিরিয়ডের আগে বা সময়ে পেটের নিচের অংশে ব্যথা হতে পারে।
  • বুকের কোমলতাঃ পিরিয়ডের আগে স্তনের কোমলতা এবং ফোলাভাব অনুভূত হতে পারে।
  • বমি বমি ভাবঃ কিছু মহিলার পিরিয়ডের আগে বা সময়ে হালকা বমি বমি ভাব হতে পারে।
  • মেজাজ পরিবর্তনঃ হরমোনের পরিবর্তনের কারণে পিরিয়ডের আগে মেজাজ খিটখিটে বা মনমরা হয়ে পড়তে পারে।
  • ব্লোটিংঃ পেট ফোলা বা ব্লোটিংয়ের অনুভূতি পিরিয়ডের আগে সাধারণ লক্ষণ।
  • ক্ষুধামন্দাঃ কিছু মহিলার ক্ষুধা বেড়ে যায়, আবার কারো ক্ষুধা কমে যায়।
  • থাকানো রক্তস্রাবঃ পিরিয়ড শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণত প্রাথমিক কয়েকদিনে হালকা থেকে ভারী রক্তস্রাব দেখা যায়।

গর্ভাবস্থার লক্ষণ:

  • বিলম্বিত পিরিয়ডঃ পিরিয়ড না হওয়া গর্ভাবস্থার প্রথম লক্ষণ হতে পারে।
  • বুকের কোমলতা এবং ফোলাভাবঃ স্তনগুলি আরও সংবেদনশীল এবং ফোলাভাব অনুভূত হতে পারে।
  • বমি বমি ভাব (মর্নিং সিকনেস): গর্ভাবস্থার শুরুতেই বমি বমি ভাব, বিশেষ করে সকালে, সাধারণ লক্ষণ।
  • বিপরীতমুখী ক্ষুধাঃ গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে কিছু খাবারের প্রতি অনীহা বা আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে।
  • অতিরিক্ত ক্লান্তিঃ গর্ভাবস্থার কারণে শরীরে হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়, যা অতিরিক্ত ক্লান্তির কারণ হতে পারে।
  • প্রস্রাবের প্রবণতা বৃদ্ধিঃ গর্ভাবস্থার শুরুতে প্রস্রাবের পরিমাণ এবং ঘনত্ব বেড়ে যেতে পারে।
  • হালকা ব্লিডিং বা স্পটিংঃ কিছু মহিলার গর্ভাবস্থার শুরুতে হালকা স্পটিং হতে পারে, যাকে ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং বলা হয়।

গর্ভবতী হওয়ার দ্বিতীয় মাসের লক্ষণ

গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় মাসে বিভিন্ন শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তন দেখা দেয়। সাধারণত এই সময়টি অনেক মহিলার জন্য প্রথম ত্রৈমাসিকের অংশ হিসেবে বিবেচিত হয় এবং কিছু লক্ষণ প্রথম মাস থেকেই শুরু হতে পারে। নিচে দ্বিতীয় মাসে সাধারণত দেখা যাওয়া কিছু লক্ষণ উল্লেখ করা হলোঃ
  • মর্নিং সিকনেসঃ সকালবেলা বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া এই সময়ের একটি সাধারণ লক্ষণ। এটি দিনভর চলতে পারে এবং খাবারের গন্ধ থেকেও হতে পারে।
  • অবসাদ এবং ক্লান্তিঃ শরীরের হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে ক্লান্তি এবং ঘুম ঘুম ভাব অনুভব হতে পারে।
  • স্তনের পরিবর্তনঃ স্তনগুলি ফুলে যেতে পারে, কোমল হয়ে উঠতে পারে, এবং বেদনাও হতে পারে। স্তনের নিপলে রংয়ের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যেতে পারে।
  • বারবার প্রস্রাবের বেগঃ জরায়ুতে রক্ত প্রবাহ বাড়ার কারণে প্রস্রাবের বেগ বৃদ্ধি পায়।
  • বাতাস বা গ্যাসের সমস্যাঃ হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে পেট ফাঁপা, গ্যাসের সমস্যা এবং হজমে সমস্যা হতে পারে।
  • মুড সুইংসঃ হরমোনের ওঠানামার ফলে মনের উপর প্রভাব পড়তে পারে, যা আবেগের পরিবর্তন বা মুড সুইংসের কারণ হতে পারে।
  • ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া বা ক্ষুধা না লাগাঃ কিছু খাবার থেকে বিরক্তি লাগতে পারে, আবার কিছু খাবারের প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যেতে পারে।
  • পেটের নিচের অংশে টান বা ব্যথাঃ জরায়ু বড় হতে থাকায় তলপেটে হালকা টান বা ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
  • ত্বকের পরিবর্তনঃ হরমোনের কারণে ত্বকে ব্রণ বা ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠতে পারে।
এই লক্ষণগুলো প্রত্যেক নারীর জন্য একরকম নাও হতে পারে। যদি কোন অস্বস্তিকর লক্ষণ বা সমস্যা দেখা দেয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ

পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে গর্ভবতী হওয়ার কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে, যদিও এগুলো সবসময় প্রত্যেকের ক্ষেত্রে দেখা যাবে না। নিচে কয়েকটি সাধারণ লক্ষণ দেওয়া হলোঃ
  • স্তনের সংবেদনশীলতা ও ফুলে যাওয়াঃ গর্ভধারণের প্রথমদিকে হরমোন পরিবর্তনের কারণে স্তন ফুলে যেতে পারে এবং সংবেদনশীল হয়ে উঠতে পারে। এটি মিস হওয়া পিরিয়ডের আগেই শুরু হতে পারে।
  • গর্ভের হালকা রক্তক্ষরণ বা ক্র্যাম্পঃ কিছু মহিলার ক্ষেত্রে গর্ভপাতের কারণে হালকা রক্তক্ষরণ হতে পারে, যা সাধারণত গর্ভধারণের ৬-১২ দিনের মধ্যে ঘটে। এটি প্রায়ই নিয়মিত পিরিয়ডের তুলনায় কম এবং হালকা হয়। এছাড়াও, কিছু মহিলার ক্ষেত্রে হালকা ক্র্যাম্পও হতে পারে।
  • অতিরিক্ত ক্লান্তিঃ গর্ভধারণের প্রথম দিকে প্রজেস্টেরন হরমোনের বৃদ্ধি আপনার শরীরকে ক্লান্ত করে তুলতে পারে।
  • বমি বমি ভাব বা বমিঃ অনেক মহিলার ক্ষেত্রে পিরিয়ড মিস হওয়ার আগেই সকালে বমি বমি ভাব (মর্নিং সিকনেস) হতে পারে।
  • খাবারের প্রতি আকর্ষণ বা বিতৃষ্ণাঃ কিছু খাবারের প্রতি আকর্ষণ বাড়তে পারে আবার কিছু খাবার একদম ভালো নাও লাগতে পারে।
  • মেজাজের পরিবর্তনঃ হরমোন পরিবর্তনের কারণে মেজাজের ওঠানামা হতে পারে।
  • মূত্রত্যাগের প্রবণতা বৃদ্ধিঃ গর্ভাবস্থার শুরুতে আপনার শরীরে অতিরিক্ত রক্ত উৎপন্ন হয়, যা কিডনিকে বেশি প্রস্রাব তৈরি করতে বাধ্য করে এবং এটি প্রায়ই প্রস্রাব করার অনুভূতি দিতে পারে।
এই লক্ষণগুলি মিস হওয়া পিরিয়ডের আগেই প্রকাশ পেতে পারে, তবে এগুলো নিশ্চিতভাবে গর্ভধারণের লক্ষণ নয়। এই লক্ষণগুলো অন্যান্য কারণেও হতে পারে, তাই নিশ্চিত হতে হলে গর্ভধারণ পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে।

লেখকের সর্বশেষ পরামর্শ

প্রিয় পাঠক মন্ডলী আশা করছি আজকের এই পুরো পোস্টটি পড়ে আপনারা এতটুকু জানতে পারবেন গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ এবং কোন মাল যদি দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হয় তাহলে দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কি কি এ সকল বিষয় সম্পর্কে এবং এর পাশাপাশি গর্ভবতী সংক্রান্ত সকল বিষয়ে সম্পর্কে। যদিও আপনারা এর চাইতেও সঠিক পরামর্শ পেয়ে যাবেন যদি ডাক্তারের কাছে যান। 
কারণ সেখানে তারা আপনাকে চেকআপ করে তারা আপনাকে জানাবে এবং পরামর্শ দিবে কি কি করা লাগবে। তবে আপনার জানা থাকলে যে কি কি লক্ষণ হতে পারে। সুতরাং আজকের পোস্টটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্টে মন্তব্য করে জানিয়ে দিবেন এবং এরকম আরো পোস্ট পেতে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন আমি আপনাদের জন্য আরো পোস্ট তৈরি করবো ইনশাল্লাহ। আজকের মত এখানে শেষ করছি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, খোদা হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ব্লগার জাফর সাহেবের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url