নামাজের নিষিদ্ধ সময় কত মিনিট জেনে নিন
প্রিয় পাঠক মন্ডলী আজকে আমরা আলোচনা করব নামাজের নিষিদ্ধ সময় কত মিনিট এবং কোন নামাজের কোন কোন সময় নিষিদ্ধ এই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে।
সুতরাং নামাজের নিষিদ্ধ সময় কত মিনিট এবং নিষিদ্ধ সময় নামাজ পড়লে কি হয় এ বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত হবে জানতে হলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন।
নামাজের নিষিদ্ধ সময় কত মিনিট
নামাজের নিষিদ্ধ সময় এটি মূলত ইসলামী শরীয়তে তিনটি সময় নামাজ আদায় করা নিষেধ। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সূর্যোদয়ের সময়, এবং দ্বিপ্রহর বা মধ্যাহ্নের সময়, ও সূর্যাস্তের সময়। প্রত্যেকটি সময়ের মধ্যেই একেক সময় একেক ধরনের সময় রয়েছে যেই কয়েক মিনিট মূলত নামাজের নিষিদ্ধ সময়।
যেমন, এর সময় সালাতের নিষিদ্ধ সময়ের ব্যক্তি কাল প্রায় ১৫ মিনিট দেখানো হয়। এবং দ্বিপ্রহর বা মধ্যাহ্নের সময় সালাতের নিষিদ্ধ সময় প্রায় তিন মিনিট। তবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়ম অনুযায়ী বা সালাতের নিষিদ্ধ সময় অনুযায়ী তাদের। ৬ মিনিট হিসেবে তারা দেখিয়ে থাকে।
এবং সূর্যাস্তের সময় অর্থাৎ সময় থেকে সূর্য পরিপূর্ণভাবে হস্তমিত হওয়া পর্যন্ত প্রায় নামাজের নিষিদ্ধ সময় এর ব্যক্তি কাল ১৫ মিনিট। কেননা ওই সময়টাই আসরের নামাজ পড়া না হয়ে থাকলে, সূর্যাস্তের যে নিষিদ্ধ সময় রয়েছে শুধুমাত্র ওই দিনের আসরের নামাজটি পড়া যাবে। তবে মাথায় রাখতে হবে নামাজ একদম দেরি করে উচিত নয়।
ফজরের নামাজের নিষিদ্ধ সময় কত মিনিট
ফজরের নামাজের নিষিদ্ধ সময় কত মিনিট? অনেকেই ফজরে অনেক দেরি করে ওঠেন এবং যার ফলে দেখা যায় যে ফজরের সালাতের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যাচ্ছে আপনি নিষিদ্ধ সময় চলে আসছে ওই সময় আপনি নামাজ আদায় করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এই ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে নামাজের কিছু নিষিদ্ধ সময় রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে আপনি কোন ধরনের ফরজ নামাজ, সুন্নত নামাজ, নফল নামাজ এগুলা পড়তে পারবেন না। তো ফজরের নামাজের নিষিদ্ধ সময় কত মিনিট এ সম্পর্কে, বিশেষত সূর্যোদয়ের সময় হিসাব করে দেখানো হয় যে ফজরের নামাজের নিষিদ্ধ সময় প্রায় ১৫ মিনিট।
যোহরের নামাজের নিষিদ্ধ সময়
জোহরের নামাজের নিষিদ্ধ সময় কত মিনিট। আমরা আসলে প্রত্যেক নামাজেই ওয়াক্ত শেষ হওয়ার দিকে নামাজের জন্য দাড়া দাড়া করি কেন? আমাদের সকলেরই উচিত যে নামাজে অতি দ্রুত দেওয়া এবং ওয়াক্তের মধ্যেই জামাতের সাথে নামাজ আদায় করা। এবং নামাজের ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পরে আপনি যদি তাড়াহুড়া করে ফরজ নামাজ বা যে কোন নামাজের জন্য নিয়ত করেন তাহলে সেটি হবে না। তো জোহরের নামাজের নিষিদ্ধ সময় মূলত প্রায় ৩ থেকে ৬ মিনিট।
আসর নামাজের নিষিদ্ধ সময়
আসরের নামাজের নিষিদ্ধ সময় মূলত কত মিনিট? আমরা যদি আসরের নামাজ এর নিষিদ্ধ সময়টা ঠিক রাখতে চাই তাহলে অবশ্যই আমাদের মাগরিবের টা খেয়াল রাখতে হবে। কেননা সূর্যাস্তের সময় বা সূর্য অস্ত যাওয়ার মুহূর্তে আপনি কোন ধরনের নামাজ আদায় করতে পারবেন না।
আরো পড়ুনঃ ইসলামের দৃষ্টিতে স্বপ্নের ব্যাখ্যা pdf
সুতরাং সতর্ক থেকে এবং খুব সিনসিয়ারলি আপনাকে আসরের নামাজের ওয়াক্ত মতই আপনাকে নামাজ পড়তে হবে। আসরের নামাজ নিয়ে কোন ধরনের গাফিলতি আপনার থাকা যাবে না। কারণ আমরা সকলেই জানি যে ওয়াক্ত মত নামাজ আদায় করাটাও কিন্তু ফরজ।
মাগরিবের নামাজের নিষিদ্ধ সময়
মাগরিবের নামাজের নিষিদ্ধ সময় কত মিনিট বা কোন সময় মাগরিবের নামাজ পড়লে নামাজের নিষিদ্ধ সময়ের মধ্যে পড়ে যাবে। আসলে নিষিদ্ধদের সময় এটি মূলত সূর্যের সময় থেকে সূর্য পরিপূর্ণভাবে অস্তমিত হওয়া পর্যন্ত বুঝিয়ে থাকে। অর্থাৎ মাগরিবের নামাজের নিষিদ্ধ সময় মূলত ১৫ মিনিট ধরা হয়ে থাকে। তবে মুসলমান হিসেবে আপনারা সবসময় চেষ্টা করবেন নামাজের বাইরে ভেতরে ফরজ নামাজের বাহিরে ৭ ফরজ। ফরজের মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে যে ওয়াক্ত মত নামাজ পড়া। সুতরাং অবশ্যই চেষ্টা করবেন নামাজের ওয়াক্ত মতই নামাজ আদায় করতে।
নিষিদ্ধ সময়ে নামাজ পড়লে কি হয়
নামাজের নিষিদ্ধ সময়ে নামাজ আদায় করা এটি মূলত ইসলামে হারাম বা মাক্রুহ তাহরিমি বলা হয়ে থাকে। অর্থাৎ এটি ইসলামের কঠোরভাবে একটি অপছন্দনীয় কাজ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এবং হাদিসের মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু সময়ে নামাজ পড়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে যেগুলো কিনা নামাজের নিষিদ্ধ সময়।
আর নামাজের নিষিদ্ধ সময় কোনগুলো এ সম্পর্কে উপরে প্রত্যেকটির বিস্তারিত হবে বলা হয়েছে। সুতরাং আমরা ওই সময়গুলোতে নামাজ পড়া থেকে বিরত থাকবো। কেন না ওই সময়গুলোতে মূলত ইহুদীরা তাদের উপাসনার কাজে ব্যস্ত থাকে এবং তারা ওই সময় মুশফিকরা ওই সময় তাদের এবাদত করে থাকে। এমনকি রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এই সময়টাই কোন ধরনের নফল নামাজ কবুল করা হয় না।
অর্থাৎ আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন এই সময়ে বান্দার কোন নামাজ কবুল করেন না। এবং ইচ্ছাকৃতভাবে এই সময়ে যদি কেউ নামাজ আদায় করে তাহলে সে কঠিন গুনাহে লিপ্ত হবে বা গুনাহ অর্জন করবে। তবে যদি কেউ ভুলবশত পড়ে ফেলেন তাহলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। আশা করছি জানতে পেরেছেন নামাজের নিষিদ্ধ সময় নামাজ পড়লে কি হয় সম্পর্কে।
নামাজের নিষিদ্ধ সময় নিয়ে সর্বশেষ পরামর্শ
প্রিয় পাঠক মন্ডলী আশা করছি আমাদের আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা জানতে পারলেন যে, নামাজের নিষিদ্ধ সময় কোন কোন গুলো এবং কোন সময় নামাজ আদায় করা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং নামাজের নিষিদ্ধ সময় নামাজ আদায় করলে কি হবে এসব বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। ছেন সুতরাং সব মিলিয়ে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে এবং যদি এতটুকু উপকৃত হয়ে থাকে অবশ্যই কমেন্টে জানিয়ে দিবেন। এবং এটি শেয়ার করে দিবেন যেন অন্যরাও পড়ে উপকৃত হতে পারে, ধন্যবাদ।
ব্লগার জাফর সাহেবের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url