ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর ১০ লক্ষণ জেনে নিন
প্রিয় পাঠক মন্ডলী আজকে আমরা জানবো ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর ১০ লক্ষণ সম্পর্কে। কোন ব্যক্তি যদি ক্যান্সার হয় তাহলে সে কিভাবে বুঝবে এবং কি কি লক্ষণ দেখা দিতে পারে এ সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর ১০ লক্ষণ, এবং ক্যান্সার সনাক্ত করার উপায় সহ ব্লাড ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর লক্ষন সহ ক্যান্সার আক্রান্ত সম্পর্কিত সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন।
মেরুদন্ডের ক্যান্সারের লক্ষণ
মেরুদন্ডের ক্যান্সারের লক্ষণ সম্পর্কে অনেকেরই অনেক জানার আগ্রহ। আসলে মেয়েটা স্ট্যাটিক ক ফাইনাল ক্যান্সার যেটাকে বলা হয় এটি যখন শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে তখন এটিকে মেরুদন্ডে পৌঁছে যাওয়ার পরে তখন এটাকে মেরুদন্ড ক্যান্সার বলা হয় বা মেরুদন্ডের ক্যান্সারের লক্ষণ দেখা দেয়।
যদি মেরুদন্ডে টিউমার তৈরি হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে কিছু লক্ষণ যেমন পিঠে ব্যথা হতে পারে, স্নায়ুতন্ত্রের বিভিন্ন কাজকে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। নিম্নে মেরুদন্ডের ক্যান্সারের কয়েকটি লক্ষণ দিয়ে দেওয়া হলোঃ
- যদি পূর্বে পিঠে ব্যথা অনুভব করে থাকেন তাহলে সেই ব্যথাটা কমে যাবে।
- নতুন করে পিঠে ব্যথা সৃষ্টি হবে এবং সেটি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।
- এবং বুকের চারিপাশ দিয়ে ব্যথা সৃষ্টি হবে যা মেরুদন্ড থেকে বিকিরণ হবে।
- বিভিন্ন অন্ত্রের এবং মূত্রাশয়ের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাবে।
- পেশীগুলো অনেকটা দুর্বল হয়ে যাবে এবং সকল ধরনের কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে।
- মেরুদন্ড এবং এর চারিপাশের অসরতা সৃষ্টি হবে।
তো এই সকল লক্ষণ গুলো দেখা যাবে, যখন কিনা আপনার মেরুদন্ডে ক্যান্সার হবে। এবং এ সকল কোন কিছু যদি টের পান তাহলে মনে করবেন যে আপনার মেরুদন্ডে ক্যান্সার হয়েছে।
কানের ক্যান্সারের লক্ষণ
কোলেস্টিয়াটোমা সাধারণত একটি সিস্ট বা থলির আকারে গঠন হয়, যা পুরোনো ত্বকের স্তরগুলোকে ঝরিয়ে দেয়। এই মৃত ত্বকের কোষ জমা হতে থাকলে, এটি ক্রমশ আকারে বৃদ্ধি পায় এবং মধ্যকর্ণের সূক্ষ্ম হাড়গুলোর ক্ষতি করতে পারে। এর ফলে শ্রবণশক্তি, ভারসাম্য এবং কখনো কখনো মুখের পেশীগুলোর কার্যকারিতাও প্রভাবিত হতে পারে। সাধারণত, কোলেস্টিয়াটোমা সাধারণত একটি কানে উপসর্গ সৃষ্টি করে। এই সমস্যার লক্ষণগুলোর মধ্যে নিম্নলিখিত যেকোনো একটি থাকতে পারে:
- কানের ভিতরে অবিরাম শব্দ (টিনিটাস)
- কানে সংক্রমণ
- কানে ব্যথা
- মাথা ঘোরা বা ভার্টিগো
- এক কানে পূর্ণতার অনুভূতি
- কান থেকে দুর্গন্ধযুক্ত তরল নির্গত হওয়া
- মুখের একপাশে দুর্বলতা
- এক কানে শ্রবণশক্তি হ্রাস
যদি কোলেস্টিয়াটোমার চিকিৎসা দীর্ঘ সময় ধরে না করা হয়, এটি কানের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে, বিশেষত ভারসাম্য রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলিতে। এমনকি এটি আপনার ভিতরের কানে পৌঁছে মস্তিষ্কে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। এর ফলে মস্তিষ্কে পুঁজ-ভরা ফোলা (অ্যাবসেস) বা মেনিনজাইটিস হতে পারে, যদিও এই জটিলতাগুলি খুবই বিরল।
চর্ম ক্যান্সারের লক্ষণ
অতিরিক্ত রোদে ঘোরাঘুরি, অতিরিক্ত মেকআপ ব্যবহার, নিয়মিত মেডিকেল চেকআপ এড়িয়ে চলা, ঘন ঘন ব্লিচ করা এবং ব্র্যান্ডহীন কসমেটিকস ব্যবহার ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। স্কিন ক্যান্সারের লক্ষণ যেভাবে বুঝবেন
- ত্বকে গোল দাগঃ শরীরের ত্বকের একটি নির্দিষ্ট স্থানে গোল দাগ হতে পারে, যা স্কিন ক্যান্সারের লক্ষণ। এটি কালো, গোলাপি, লাল বা বাদামি রঙের হতে পারে এবং চামড়ার উপরিভাগে স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হয়।
- চুলকানি বা জ্বলুনিঃ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই দাগে চুলকানি বা জ্বলুনি থাকে না। তবে দাগের পরিবর্তন লক্ষ করুন।
- তিল বা আঁচিলের পরিবর্তনঃ শরীরে থাকা তিল বা আঁচিলের আকার ও রঙে পরিবর্তন হলে সতর্ক হতে হবে। এটি স্কিন ক্যান্সারের প্রাথমিক সংকেত হতে পারে।
- নিচের ঠোঁটে দাগঃ নিচের ঠোঁটের চারপাশে কোনো দাগ থাকলে এটি হরমোনজনিত ব্রণ নাও হতে পারে। এটি হজমজনিত সমস্যা বা এনজাইম ফাংশনজনিত সংকেতও হতে পারে। সাধারণত এই স্থানে ব্রণ দেখা যায় না।
- হরমোনজনিত সমস্যাঃ বয়ঃসন্ধিকাল, ঋতুস্রাব বন্ধ, বা হরমোন ভারসাম্যহীনতার কারণে ব্রণ, চুল পড়া, শুষ্ক ত্বক বা অতিরিক্ত চুল বৃদ্ধি হতে পারে। যদিও এ লক্ষণগুলো চিকিৎসকের সাহায্য ছাড়া নিশ্চিত করা কঠিন।
- পানি শোষণ ও ত্বকের অবস্থাঃ শরীর পর্যাপ্ত পানি শোষণ না করলে ত্বক শুষ্ক ও নিস্তেজ হয়ে পড়বে। পর্যাপ্ত পানি পান করলে সাধারণত ত্বকে দাগ দেখা যায় না।
- ফুসকুড়ি ও ফোসকাঃ ত্বকে ফুসকুড়ি, লাল ফোসকা বা এ ধরনের উপসর্গ স্কিন ক্যান্সারের সম্ভাব্য লক্ষণ হতে পারে।
পরামর্শ: উপরের লক্ষণগুলোর কোনোটি দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রথম ধাপেই সচেতনতা ও চিকিৎসা গ্রহণ করলে ক্যান্সার নিরাময়ের সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
ক্যান্সার শনাক্ত করার উপায়
ক্যান্সার শনাক্ত করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। এগুলোর মধ্যে কিছু সাধারণ পদ্ধতি হলো:
1. শারীরিক পরীক্ষাঃ শরীরের কোনো অস্বাভাবিক ফোলা, চাকা, দাগ, বা ঘা পরীক্ষা করা হয় যা দীর্ঘদিন ধরে সেরে উঠছে না।
2. ল্যাবরেটরি পরীক্ষা:
- রক্ত পরীক্ষা: যেমন CBC (Complete Blood Count) পরীক্ষা।
- মূত্র বা অন্যান্য তরল পরীক্ষা: ক্যান্সারের কোনো অস্বাভাবিকতা চিহ্নিত করা।
- ইমেজিং টেস্ট: এক্স-রে: শরীরের ভেতরের অস্বাভাবিকতা দেখতে সাহায্য করে।
- CT স্ক্যান, MRI, বা PET স্ক্যান: শরীরের ভেতরের অঙ্গ এবং টিস্যুর বিস্তারিত ছবি পাওয়ার জন্য।
3. আল্ট্রাসাউন্ড: টিউমার বা অস্বাভাবিক বৃদ্ধি শনাক্ত করতে।
4. বায়োপসি (Biopsy): টিউমার বা অস্বাভাবিক টিস্যু থেকে স্যাম্পল নিয়ে মাইক্রোস্কোপে পরীক্ষা করা হয়। এটি ক্যান্সার শনাক্ত করার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি।
5. এন্ডোস্কোপি: শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ যেমন পাকস্থলী বা অন্ত্র পরীক্ষা করার জন্য বিশেষ যন্ত্র ব্যবহার করা হয়।
6. জেনেটিক পরীক্ষা: নির্দিষ্ট জেনেটিক মিউটেশন বা ঝুঁকির কারণ শনাক্ত করতে।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করতে সাহায্য করে।
ব্লাড ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ
একজন ক্যান্সার রোগীর আটটি লক্ষণ পর্যবেক্ষণ করেই অনুমান করা সম্ভব, তিনি আর কতদিন বেঁচে থাকতে পারেন। নতুন এক গবেষণায় এমনটাই উঠে এসেছে। এই গবেষণা পরিচালনা করেছেন ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের এমডি অ্যান্ডারসন ক্যান্সার সেন্টারের গবেষকরা। ক্যান্সার' জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এর আগে বেশ কিছু গবেষণায় কেবল মৃত্যুপথযাত্রী রোগীদের শনাক্ত করার উপায় সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গিয়েছিল।
গবেষণায় দেখা গেছে, গবেষকরা প্রতিদিন তাদের রোগীদের দিনে দুইবার পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং দৈহিক ও মানসিক পরিবর্তনের ৫২টি ভিন্ন লক্ষণ শনাক্ত করেছেন। এসব লক্ষণের ভিত্তিতে মোট ৮টি নির্দিষ্ট চিহ্ন পাওয়া গেছে। আগের গবেষণার ওপর ভিত্তি করে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, এই চিহ্নগুলো থাকা রোগীদের মধ্যে কারা মৃত্যুবরণ করবেন।
পরীক্ষা করা ৩৫৭ জন রোগীর মধ্যে ৫৭ শতাংশ মারা গেছেন। যেসব রোগীর মধ্যে এই ৫২ ধরনের লক্ষণ পাওয়া গিয়েছিল, তারা সাধারণত তিন দিনের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন।গবেষক ডেভিড হুই জানিয়েছেন, যেসব রোগী তিন দিনের মধ্যে মারা গেছেন, তাদের মৃত্যুর আগে থেকেই এই লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে শুরু করেছিল। উল্লেখযোগ্য এই ৮টি লক্ষণ হলোঃ
- আলোর প্রতি চোখের পিউপিল কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায় না।
- কথা বলার সময় মুখ ও জিহ্বার প্রতিক্রিয়া কমে যায়।
- দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পায়।
- রোগী প্রায়ই চোখের পাতা বন্ধ করতে ব্যর্থ হন।
- নাক থেকে ঠোঁটের কোণ পর্যন্ত তৈরি হওয়া রেখায় গভীর ভাঁজ পড়ে।
- মাথা সামনের দিকে নুয়ে আসে।
- গলায় গর গর শব্দ হয়।
- গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনালের ওপরের অংশে রক্তক্ষরণ দেখা দেয়।
এই ৮টি লক্ষণ যেসব রোগীর মধ্যে দেখা গেছে, তারা সবাই পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন। সূত্র: ফক্স নিউজ
ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায়
লিউকোমিয়া বা ব্লাড ক্যান্সার, আধুনিক সময়ে অত্যন্ত গুরুতর একটি রোগ হিসেবে বিবেচিত। পূর্বে, যদি কোনও রোগীর শরীরে ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ত, তা হলে রোগী ও তার পরিবার গভীর উদ্বেগে পড়ে যেতেন। মনে হতো, যেন জীবন থেমে যাবে, আর এক অজানা মৃত্যুভয়ের ছায়া গ্রাস করত। একসময় এই রোগটি অত্যন্ত জটিল এবং প্রাণঘাতী হিসেবে পরিচিত ছিল। তবে সময়ের সঙ্গে চিকিৎসাবিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে এখন পরিস্থিতি অনেক বদলেছে।
বর্তমানে, কোনও রোগীর ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়লেও আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। এই বিশ্বাসের কথা তুলে ধরেছেন অ্যাপোলো হসপিটালের হেমাটোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট এবং অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপন বিভাগের প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর ডা. অনুপম চক্রপাণি। তিনি মনে করেন, সঠিক চিকিৎসা ও সময়মতো পদক্ষেপের মাধ্যমে এই রোগকে জয় করা সম্ভব।
তীব্র ব্লাড ক্যান্সারের ক্ষেত্রে শরীরে হঠাৎ অপরিণত শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। এই ধরনের ক্যান্সার শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে বেশি সাধারণ। তীব্র ব্লাড ক্যান্সার প্রধানত দুই ধরনের হতে পারে: তীব্র মাইলয়েড লিউকোমিয়া এবং তীব্র লিম্ফোব্লাস্টিক লিউকোমিয়া।
অন্যদিকে, দীর্ঘস্থায়ী ব্লাড ক্যান্সারের ফলে তুলনামূলকভাবে পরিণত শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। এটি সাধারণত ৫০ থেকে ৬০ বছর বয়সীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। দীর্ঘস্থায়ী ব্লাড ক্যান্সারেরও দুটি প্রধান ধরন রয়েছে: দীর্ঘস্থায়ী মাইলয়েড লিউকোমিয়া এবং দীর্ঘস্থায়ী লিম্ফোব্লাস্টিক লিউকোমিয়া।
- ব্লাড ক্যান্সার থেকে প্রতিরোধের উপায়:
- কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি একসঙ্গে গ্রহণকারী রোগীদের মধ্যে ব্লাড ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রায় ২০ গুণ বেড়ে যায়।
- তেজস্ক্রিয়তা থেকে দূরে থাকতে হবে।
- রাসায়নিক দ্রব্যের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে।
- এক্স-রে এবং নিউক্লিয়ার বিভাগের কাজ করার সময় বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে।
- ধূমপান এবং তামাকজাত পণ্য ব্যবহার পরিহার করতে হবে।
সর্বশেষ পরামর্শ
প্রিয় পাঠক মন্ডলী আশা করছি আমাদের আজকের এই সম্পূর্ণ পোস্টটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। অর্থাৎ আমাদের আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। তবে আজকের এই পোস্টটি খুবই সেনসিটিভ আপনারা যদি কেউ ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই খুব দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করুন। এবং অবশ্যই ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর কি কি লক্ষণ এ সকল বিষয়ের সম্পর্কে সবসময় জেনে রাখবেন। সব মিলিয়ে যদি আমাদের আজকের ভালো লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্টে জানিয়ে দিবেন। এবং পোস্টটি শেয়ার করে দিবেন যেন অন্যরা করে উপকৃত হতে পারে এবং জানতে পারে। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url